Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে সুলতানি শাসকদের ভূমিকা। 

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে দিল্লির সুলতানি শাসকদের অবদান। 

মোঙ্গল কারা ? মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে দিল্লির সুলতানি শাসকদের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি আলোচনা কর। 




মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে সুলতানি শাসকদের ভূমিকা :- 


মোঙ্গলরা ছিলেন মধ্য এশিয়ার এক যাযাবর সম্প্রদায়ের অন্তর্গত যোদ্ধা। আমির খসরু মোঙ্গলদের নৃশংস যোদ্ধা ও যাযাবর বলে উল্লেখ করেছেন। মোঙ্গলরা ছিলেন প্রচন্ড সাহসী , রণনিপুণ , পারদর্শী যোদ্ধা। দিল্লির সুলতানি শাসনকালে ইলতুৎমিশের সময়কাল থেকে অজস্রবার মোঙ্গলরা ভারত আক্রমণ করেন। মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে দিল্লির সুলতানি শাসকগণ ভিন্ন ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছিলেন।    

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো  

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে ইলতুৎমিশের ভূমিকা :- 

১২২১ খ্রিস্টাব্দে ইলতুৎমিশের রাজত্বকালে দুর্ধর্ষ মোঙ্গল অধিপতি চেঙ্গিস খাঁ খারাজিম রাজ্য আক্রমণ করেন। ফলে খারাজিম রাজ্যের অধিপতি কাস্পিয়ান সাগর অভিমুখে পলায়ন করেন এবং যুবরাজ জালালউদ্দিন মাঙ্গবার্ণী পাঞ্জাবে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ফলে চেঙ্গিস খাঁ সিন্ধু পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে পশ্চিম পাঞ্জাব ও সিন্ধুপ্রদেশের বিস্তীর্ন অঞ্চল ধ্বংস করেন। এই সময় অন্য কোনো পথ খোলা না থাকায় জালালউদ্দিন মাঙ্গবার্ণী ইলতুৎমিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু ইলতুৎমিশ এই সময় তাঁকে আশ্রয় প্রদান করে তথা চেঙ্গিস খাঁর বিরাগভাজন হয়ে নিজের তথা দিল্লি সুলতানির বিপদ ডেকে আনার পক্ষপাতী ছিলেন না। তাই ইলতুৎমিশ জালালউদ্দিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইলতুৎমিশের বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতায় প্রসন্ন হয়ে চেঙ্গিস খাঁ ভারত ত্যাগ করেন। বলা বাহুল্য ইলতুৎমিশের এই রাজনৈতিক বিচক্ষণতার ফলে দিল্লি সুলতানি এক ভয়ানক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়। 

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে গিয়াসউদ্দিন বলবনের ভূমিকা :- 

১. বলবনের ভাতুষ্পুত্র দুর্ধর্ষ সেনাপতি শের খাঁ - কে সমগ্র সীমান্ত অঞ্চলে মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। 
২. বিরাট অশ্বারোহী বাহিনী সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিযুক্ত হয়। প্রতিটি বাহিনীতে প্রায় আঠারো হাজার অশ্বারোহী সেনা ছিল। 
৩. সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বহু দুর্গ নির্মাণ করেন এবং সেগুলিতে সর্বদা সেনাবাহিনী নিযুক্ত থাকতো। 
৪. শের খাঁ - এর মৃত্যুর পর মোঙ্গলদের হাত থেকে সীমান্তের নিরাপত্তাবিধানের জন্য বলবন সীমান্ত অঞ্চলকে দুটি ভাগে ভাগ করেন - মুলতান ও দীপালপুর , সামানা অঞ্চল। মুলতান ও দীপালপুরের দায়িত্বে থাকে জ্যেষ্ঠ পুত্র সুলতান মহম্মদের হাতে এবং সামানা অঞ্চলের দায়িত্ব থাকে দ্বিতীয় পুত্র বঘরা খাঁ - এর হাতে।  
৫. ১২৮৬ খ্রিস্টাব্দে মোঙ্গলরা পুনরায় মুলতান আক্রমণ করে। সুলতান মহম্মদ মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সসৈন্যে অগ্রসর হলেও মোঙ্গলদের প্রবল আক্রমণে অবশেষে সুলতান মহম্মদ নিহত হন। পুত্রের এই অকালমৃত্যু সহ্য করতে না পেরে বলবন ১২৮৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে আলাউদ্দিন খলজির ভূমিকা :- 

আলাউদ্দিনের রাজত্বকালে ১২৯৭ থেকে ১৩০৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোঙ্গলরা প্রায় সাতবার ভারত আক্রমণ করেন। আলাউদ্দিন খলজি মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে একদিকে প্রতিরোধ নীতি ও অন্যদিকে আক্রমনাত্মক নীতি গ্রহণ করেন। 
১. রাজধানী সিরি - তে স্থানান্তর করে সসৈন্যে সেখানে অবস্থান করেন। 
২. উত্তর - পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য দীপালপুর ও সামানা অঞ্চলে দুর্গ নির্মাণ করে সেই অঞ্চলে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেন। 
৩. উত্তর - পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব অর্পিত হয় গাজি মালিক - এর উপর। ইনি পরবর্তীকালে গিয়াসউদ্দিন তুঘলক নামে পরিচিত হন। 
৪. উত্তর - পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের সমস্ত পুরোনো দুর্গগুলিকে সংস্কার করা হয় ও কিছু নতুন দুর্গ স্থাপন করা হয়। প্রতিটি দুর্গে প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন রাখা হয়। 
৫. দিল্লিতে একটি বিশেষ সৈন্য বাহিনী সর্বদা মোতায়েন রাখা হয়। 
৬. সমগ্র দিল্লিকে প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত করা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় সেনা শিবির স্থাপন করা হয়। 

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের ভূমিকা :- 

১৩২৪ খ্রিস্টাব্দে গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের রাজত্বকালে মোঙ্গলরা পুনরায় ভারত আক্রমণ করে। কিন্তু গিয়াসউদ্দিনের সেনাবাহিনীর প্রবল আক্রমণে মোঙ্গলবাহিনী পরাজিত হয় ও বিতাড়িত হয়। গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের রাজত্বকালে মোঙ্গলরা আর ভারত আক্রমণ করেনি। 

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে মহম্মদ বিন তুঘলকের ভূমিকা :- 

ইতিপূর্বে মহম্মদ বিন তুঘলক মোঙ্গল আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে রাজধানী দিল্লি থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন। কিন্তু , এরপরেই সুলতানের দিল্লিতে অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে মোঙ্গলরা তার্মাসিরিণের নেতৃত্বে ভারত আক্রমণ করে পাঞ্জাব , লাহোর ও মুলতান দখল করেন। এরপর তারা দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেন। মহম্মদ বিন তুঘলক মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধ করার পরিবর্তে প্রচুর অর্থ প্রদানের মাধ্যমে মোঙ্গলদের হাত থেকে দিল্লি রক্ষা করেন।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো         

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

দিল্লি সুলতানির সংহতিসাধনে বলবন কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ? 

দিল্লির সুলতানি আমল। দিল্লি সুলতানাত। 

গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব ও রাজতান্ত্রিক আদর্শ। 

রাজতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষায় বলবন কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন ?   

বলবনের নরপতিত্বের আদর্শ। 




দিল্লি সুলতানি সংহতিসাধনে বলবনের ভূমিকা :- 

সিংহাসনারোহনের পর বলবনকে বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যাগুলি হল - 
(১) ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বরণী-র মতে , আইন - শৃঙ্খলার সমস্যা ছিল বলবনের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা। 
(২) দিল্লির নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিতে মেওয়াটি ও অন্যান্য দস্যুদের উপদ্রবে জনজীবনে নিরাপত্তার অভাব দেখা দেয়। 
(৩) চল্লিশ চক্রের সীমাহীন ঔদ্ধত্য , আমির - ওমরাহদের ক্ষমতালিপ্সা , উদ্ধত ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রবল সমস্যার সৃষ্টি করে। 
(৪) কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতার সুযোগে দেশে আইন - শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে , রাজপদের গুরুত্ব হ্রাস পায় , সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারায় , রাজকীয় মর্যাদা শোচনীয়ভাবে খর্ব হয়। 
(৫) বহিরাগত মোঙ্গলদের ধারাবাহিক আক্রমণে সাম্রাজ্যের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়। 

উক্ত সমস্যাগুলিকে দূর করে এক শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত শাসন ও রাজতন্ত্রের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

অরাজকতা দমন :- 
১. সুলতানি যুগের সূচনা থেকেই রাজপুতানার মেওয়াট নামক স্থানের অধিবাসীরা দিল্লি ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে দস্যুবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। মানুষের জীবন ও সম্পত্তির কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এই সমস্যার অবসানকল্পে বলবন দিল্লির সন্নিহিত অঞ্চলের সব বন জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করেন , যাতে দস্যুরা সেখানে কোনোভাবেই আশ্রয় না পায়। এরপর অতর্কিত আক্রমণের দ্বারা তিনি বহু মেওয়াটিদের হত্যা করেন এবং তাদের গ্রামগুলি পুড়িয়ে দেন। এছাড়াও ঐসকল স্থানে পুলিশ ও সেনা - চৌকি স্থাপন করে আফগান সেনা মোতায়েন করা হয়। 

২. গঙ্গা ও যমুনার দোয়াব অঞ্চলের হিন্দু কৃষক ও জমিদাররা তুর্কি শাসন মেনে নিতে পারেন নি। তাদের উপদ্রবে সকল বাণিজ্যপথগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বলবন বিদ্রোহী গ্রামগুলিতে আক্রমণ করেন। সকল সক্ষম পুরুষদের হত্যা করা হয় , নারী ও শিশুদের দাস - দাসীতে পরিণত করা হয়। সমগ্র অঞ্চলটিকে ছোট ছোট ইক্তা - য় ভাগ করে সেগুলির শাসনভার তুর্কি সেনাপতিদের হাতে দেওয়া হয়। 

৩. অযোধ্যার অন্তর্গত কাম্পিল , পাতিয়ালি - ইত্যাদি অঞ্চলের দস্যুদের উপদ্রবে সুলতানি সাম্রাজ্যের ব্যবসা - বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বলবন উক্ত অঞ্চলগুলিতে দুর্গ নির্মাণ করে সেখানে আফগান সেনা নিয়োগ করেন। 

৪. এরপর তিনি কাটেহার - এর বদাউন , আমরাহো প্রভৃতি অঞ্চলের দস্যুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। কঠোর দমননীতি ও নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ঐসকল অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। 

৫. ১২৬৮ - ১২৬৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি জাদ বা লবণ পর্বত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহী খোক্কর উপজাতিদের দমন করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

রাজকীয় আদর্শের প্রতিষ্ঠা :- 
ডক্টর কে এ নিজামি বলেছেন , দিল্লির সুলতানদের মধ্যে একমাত্র বলবনই খুব স্পষ্ট করে রাজতন্ত্র সম্পর্কে নিজ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আমির - ওমরাহদের শক্তি খর্ব করে রাজশক্তির মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন - 
১. তিনি নিজেকে '' নায়েবৎ - ই - খুদাই '' বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে ঘোষণা করেন। 
২. তিনি '' জিল্লিলাহ '' উপাধি গ্রহণ করে ঘোষণা করেন তার কাজের জন্য তিনি ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। 
৩. তিনি কোনো সাধারণ মানুষ বা নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের সাথে সাক্ষাৎ বা বাক্যালাপ করতেন না। 
৪. তিনি পারসিক দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে দরবারে '' সিজদা '' ও '' পাইবস '' প্রবর্তন করেন। 
৫. তিনি সর্বদা ভীতি উদ্রেককারী দেহরক্ষীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে রাজদরবারে প্রবেশ করতেন। 
৬. দরবারে সমস্ত রকম আমোদ - প্রমোদ , কৌতুক , মদ্যপান নিষিদ্ধ হয়। 
৭. একমাত্র '' উজির '' ছাড়া দরবারে কেউ তার সাথে কথা বলতে পারতো না। 

এইভাবে চূড়ান্ত গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে তিনি প্রমান করেন যে সুলতান সকলের উর্ধে। 

চল্লিশ - চক্রের উচ্ছেদ :- 
চল্লিশ চক্রের একজন হয়ে চল্লিশ চক্রকে সোপান হিসেবে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতায় আরোহন করলেও তিনি উপলব্ধি করেন , চল্লিশ চক্রই হল সুলতানের ক্ষমতার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এবং রাষ্ট্রশক্তির প্রধান নিয়ামক। তাই তিনি চল্লিশ চক্রকে উচ্ছেদ করে নিজের এবং নিজের উত্তরাধিকারীদের সিংহাসন সুনিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কর্তব্যে অবহেলা বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই তিনি তাদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত , জরিমানা , মৃত্যুদন্ড , এমনকি বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করতেও তিনি বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হতেন না। এইভাবে কঠোর ও নৃশংস পন্থা প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি চল্লিশ চক্রকে ধ্বংস করেন। তবে চল্লিশ চক্রের ধ্বংসের ফলে  তুর্কি শাসকগোষ্ঠী দুর্বল হয়ে পরে। 

শক্তিশালী গুপ্তচর বিভাগ গঠন :- 
সাম্রাজ্যের সকল প্রকার খবর , সুলতানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র - ইত্যাদি বিষয়ে সর্বদা অবগত থাকার জন্য বলবন এক শক্তিশালী গুপ্তচর বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর আমলে গুপ্তচরদের বলা হত - বারিদ। সাম্রাজ্যের সকল অংশে গুপ্তচরদের নিয়োগ করা হত। সৈন্যবাহিনীর উচ্চ পদাধিকারী , প্রাদেশিক শাসনকর্তা , আমির - ওমরাহ , রাজকর্মচারী , এমনকি রাজপরিবারের সদস্যদের উপরেও নজরদারি করার জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করা হত। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুদৃঢ়করণ :- 
বলবন প্রশাসনিক ব্যবস্থার সকল দুর্বল দিকগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলির সংস্কারসাধন করেন। তিনি কোনো রাজকর্মচারীদের হাতেই অধিক ক্ষমতা প্রদান করতেন না। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা নিয়মিত সুলতানের কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে বাধ্য থাকতেন। তৎকালীন সময়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চল ছিল - মুলতান ও লখনৌতি। এই দুই অঞ্চলে শাসনকার্যের জন্য বলবন সরাসরি তাঁর দুই পুত্র বুঘরা খাঁন ও মহম্মদকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। ইক্তাদারদের হিসাব পত্র পরীক্ষা করার জন্য '' খোয়াজা '' নামক একশ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। 

সামরিক বাহিনীর সংস্কার ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠা :- 
মধ্যযুগে সুলতানি শাসনের মূল ভিত্তি ছিল সামরিক বাহিনী। তাই বলবন একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্দেশ্যে বলবন বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন - 
১. শুধুমাত্র অল্পবয়স্ক যুবকদের সেনাদলে নিযুক্ত করা হয় ও জমির পরিবর্তে মাসিক নগদে বেতন দানের ব্যবস্থা করা হয়। 
২. সেনাবাহিনীর সদস্য বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়। 
৩. স্বয়ং সুলতানের অধীনে একটি বৃহৎ সেনাদল মোতায়েন থাকে। 
৪. সেনাদলের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত অনুশীলন করা হত। 
৫. সেনাবাহিনীর উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইমাদ - উল - মুলক নামে এক ব্যক্তিকে যুদ্ধমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন। 

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধ :- 
১. মোঙ্গলদের হাত থেকে সীমান্তের নিরাপত্তাবিধানের জন্য বলবন সীমান্ত অঞ্চলকে বলবন দুটি ভাগে ভাগ করেন - মুলতান ও দীপালপুর , সামানা অঞ্চল। মুলতান ও দীপালপুরের দায়িত্বে থাকে জ্যেষ্ঠ পুত্র সুলতান মহম্মদের হাতে এবং সামানা অঞ্চলের দায়িত্ব থাকে দ্বিতীয় পুত্র বঘরা খাঁ - এর হাতে।  
২. বিরাট অশ্বারোহী বাহিনী সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিযুক্ত হয়। প্রতিটি বাহিনীতে প্রায় আঠারো হাজার অশ্বারোহী সেনা ছিল। 
৩. সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বহু দুর্গ নির্মাণ করেন এবং সেগুলিতে সর্বদা সেনাবাহিনী নিযুক্ত থাকতো। 
৪. বলবনের ভাতুষ্পুত্র দুর্ধর্ষ সেনাপতি শের খাঁ - কে সমগ্র অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

বঙ্গদেশে বিদ্রোহ দমন :- 
বলবনের বার্ধক্য ও মোঙ্গল আক্রমণের সুযোগ নিয়ে বাংলার শাসনকর্তা তুঘ্রিল খাঁ ১২৭৮ খ্রিস্টাব্দে বলবনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তুঘ্রিলকে দমন করার জন্য অযোধ্যার শাসক মালিক তুরমাতি প্রেরিত হলে তিনি পরাজিত হন। এরপর স্বয়ং বলবন তুঘ্রিলের বিরুদ্ধে যাত্রা করেন এবং তুঘ্রিল রাজধানী লক্ষণাবতী ত্যাগ করে সোনারগাঁও ও সেখান থেকে উড়িষ্যা পলায়ন করেন। অবশেষে বলবনের অতর্কিত আক্রমণে তুঘ্রিলের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তুঘ্রিল নিহত হন। বলবন তুঘ্রিলের অনুচরদের নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলায় দিল্লি সুলতানির শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। 

কৃতিত্বের দিক দিয়ে বিচার করলে বলবনকে দিল্লির সুলতানদের অন্যতম বলা যেতে পারে। তিনি প্রায় চল্লিশ বছর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই সময়কালের মধ্যে তিনি মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধে এক সুদূরপ্রসারী ফলদায়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন - এটি ছিল তাঁর রাজত্বকালের অন্যতম সাফল্য। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল - তা দূর করে বলবন এক শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থার প্রণয়ন করেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজপদের গৌরবকে পুনরুদ্ধার করেন - এটি তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
     
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কুতুবউদ্দিন আইবকের ভূমিকা আলোচনা কর। 

দিল্লির সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। 

স্বাধীন সুলতানির সূচনায় কুতুবউদ্দিন আইবকের ভূমিকা। 

Role of Qutubuddin Aibek to established Delhi Sultanate. ( In Bengali )  




দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কুতুবউদ্দিন আইবকের ভূমিকা :-    

কুতুবউদ্দিন আইবক ১২০৬ - ১২১০ খ্রিস্টাব্দ। 

 
প্রথম জীবন :- 
কুতুবউদ্দিন আইবকের জন্ম হয় তুর্কিস্থানের এক উপজাতি পরিবারে এবং জাতিতে তিনি ছিলেন তুর্কি। কিন্তু খুব ছোটবেলাতেই তিনি ক্রীতদাসে পরিণত হন। এক দাস ব্যবসায়ী নিশাপুর নামক স্থানে তাঁকে নিয়ে এলে নিশাপুরের কাজী তাঁকে ক্রয় করেন এবং তাঁকে সাহিত্য , দর্শন ও সামরিক শিক্ষা প্রদান করেন। কিন্তু এরপর সেই কাজীর মৃত্যু হলে পুনরায় কুতুবউদ্দিন ক্রীতদাসে পরিণত হন এবং মোহাম্মদ ঘোরী তাঁকে ক্রয় করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

মহম্মদ ঘোরীর প্রভাব :- 
মহম্মদ ঘোরী কুতুবউদ্দিনকে দাস হিসাবে ক্রয় করার পর তাঁর সাহিত্য প্রতিভা , সামরিক প্রতিভার পরিচয় পান। তাঁর রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে মহম্মদ ঘোরী তাঁকে প্রথমে একজন সাধারণ সৈনিক পদে নিযুক্ত করেন এবং তারপর '' আমির -ই - আখৌর '' বা অশ্ববাহিনীর অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন। 

মহম্মদ ঘোরীর ভারত আক্রমণ ও কুতুবউদ্দিনের কৃতিত্ব :- 
১১৯১ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের প্রথম যুদ্ধে এবং ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে কতুবউদ্দিন মহম্মদ ঘোরীর সেনাপতি হিসাবে দক্ষতার পরিচয় প্রদান করেন। তরাইনের যুদ্ধের পর মহম্মদ ঘোরী ভারত ত্যাগ করলে তাঁর বিজিত রাজ্যগুলির দায়িত্ব কুতুবউদ্দিনের উপর অর্পিত হয়। 

রাজ্যজয় ও বৈবাহিক সম্পর্ক :- 
১১৯২ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি একে একে হান্সি , মীরাট , দিল্লি , বারাণসী , রণথম্ভোর জয় করেন। এরপর ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে ও ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কনৌজ ও কালিঞ্জর জয় করেন। এইভাবে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘোরীর মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তুর্কি প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেন। 
এছাড়াও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতার পরিচয় দিয়ে তিনি তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। 
প্রথমতঃ তিনি মহম্মদ ঘোরীর প্রধান সেনাপতি তাজউদ্দিনের কন্যাকে বিবাহ করেন। 
দ্বিতীয়তঃ মুলতানের শাসনকর্তা নাসিরুদ্দিন কুবাচার সঙ্গে নিজ ভগিনীর বিবাও দেন। 
তৃতীয়তঃ নিজ কন্যার সঙ্গে ইলতুৎমিসের বিবাহ দেন। 

সিংহাসনারোহণ :- 
মহম্মদ ঘোরী মৃত্যুর পূর্বেই কুতুবউদ্দিনকে ভারতে নিজ বিজিত রাজ্যগুলির উত্তরাধিকারী মনোনীত করে গিয়েছিলেন। মহম্মদ ঘোরীর মৃত্যুর পর ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে লাহোরের তুর্কি নাগরিকদের আমন্ত্রণে '' মালিক '' উপাধি ধারণ করে দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। এরপর ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সুলতান তথা মহম্মদ ঘোরীর উত্তরাধিকারী গিয়াসউদ্দিন মামুদ কুতুবউদ্দিনকে '' সুলতান '' উপাধিতে ভূষিত করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

কুতুবউদ্দিনের সমস্যা :- 
১২০৬ খ্রিস্টাব্দে সুলতানির সূচনা করেই কুতুবউদ্দিন একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। সমস্যাগুলি হল - 
(১) সিংহাসনে কুতুবউদ্দিনের কোনো বৈধ অধিকার ছিল না। কেননা একদিকে তিনি ছিলেন দাস এবং অন্যদিকে মহম্মদ ঘোরী তাঁকে সরাসরি উত্তরাধিকারী বলে ঘোষণা করেন নি। 
(২) তাজউদ্দিন দিল্লির সিংহাসনের উপর নিজের অধিকার দাবী করেন। 
(৩) ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘোরীর মৃত্যুর পর রাজপুত শাসক ও রাজন্যবর্গ কুতুবউদ্দিনের বিরোধিতা করতে থাকেন। 
(৪) মধ্য এশিয়ার আলাউদ্দিন মহম্মদ গজনি ও দিল্লি দখলের চেষ্টা শুরু করলে কুতুবউদ্দিনের নিকট এক প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। 

সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ :- 
উক্ত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য কুতুবউদ্দিন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন - 
(১) ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘোরীর উত্তরাধিকারী গিয়াসউদ্দিন ঘুর কুতুবউদ্দিনকে '' সুলতান '' উপাধিতে ভূষিত করেন। এর ফলে কুতুব দাসত্ব থেকে মুক্তি পান। 
(২) তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়ে তিনি কঠোর হাতে তাঁকে দমন করেন। 
(৩) রাজপুত রাজন্যবর্গের প্রতি তিনি বিচ্ছিন্ন ও নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন। 
(৪) বাংলার শাসনকর্তা আলিমর্দানকে নিজ পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। 
(৫) সাম্রাজ্যের সর্বত্র এক কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। 
(৬) সামরিক শক্তিকে সুদৃঢ় করেন। 

রাজ্যশাসনের প্রকৃতি :- 
কুতুবউদ্দিন মাত্র চার বছর রাজত্ব করেন। মূলতঃ সামরিক শক্তির উপরেই তাঁর সাম্রাজ্যের ভিত রচিত হয়েছিল। তিনি শাসন সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সংস্কার সাধন করেন নি। বিভিন্ন অঞ্চলের শাসনভার স্থানীয় কর্মচারীদের উপর ন্যাস্ত ছিল। কুতুবউদ্দিন পূর্ববর্তী রাজস্ব ব্যবস্থাকে অপরিবর্তিত রেখেছিলেন। গ্রাম ও শহরে মুসলমান শাসনকর্তারা সেনাধ্যক্ষ ও কাজীর সাহায্যে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। যদিও কুতুবউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন উদারচেতা। তাই মুসলিম সাহিত্যিকরা তাঁকে '' লাখবক্স '' উপাধিতে ভূষিত করেছেন। 

ডক্টর নিজামি কুতুবউদ্দিন সম্পর্কে বলেছেন - '' Aibek was a military leader par - excellence .'' কুতুবউদ্দিনের কৃতিত্ব সম্পর্কে ডক্টর হাবিবুল্লাহ বলেছেন - '' He combined the intrepidity of the Turk with the refined taste and generosity of the Persion . ''        

সাহিত্য , শিল্প - সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের প্রতি অনুরাগ :- 
কুতুবউদ্দিন শিক্ষাচর্চা ও সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। ঐতিহাসিক হাসান নিজামি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। এছাড়াও স্থাপত্যের প্রতিও কুতুবউদ্দিন গভীর অনুরাগী ছিলেন। তিনি দিল্লিতে '' কোয়াত - উল - ইসলাম '' নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এছাড়াও বিখ্যাত সুফী সাধক কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নাম অনুসরণে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে কুতুবউদ্দিন কুতুবমিনারের নির্মাণকার্য শুরু করেন।     

পরিশেষে বলা যায় , ঐতিহাসিকদের মধ্যে অনেকেই কুতুবউদ্দিনকে দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করেন না। তবে , দিল্লি সুলতানির ভিত রচনা এবং সুলতানির সূচনার ক্ষেত্রে কতুবউদ্দিনের কৃতিত্বকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায়না। ঘুর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে তিনি স্বাধীন সুলতানির সূচনা করেন। ডক্টর হাবিবুল্লাহ কুতুবউদ্দিনকেই দিল্লি সুলতানির প্রধান স্থপতি বলে দাবী করেছেন।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো                                   

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

কপোতাক্ষ নদ চতুর্দশপদী কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বদেশপ্রীতির পরিচয় দাও। 

কপোতাক্ষ নদ চতুর্দশপদী কবিতায় বঙ্গভূমির প্রতি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের যে গভীর অনুরাগ ফুটে উঠেছে - তার পরিচয় দাও। 



কপোতাক্ষ নদ - কবিতায় কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বদেশপ্রীতির পরিচয় :- 

কপোতাক্ষ নদ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা একটি চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট। কপোতাক্ষ নদ কবিতার মধ্যে দিয়ে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বদেশপ্রীতির পরিচয় পাওয়া যায়। কপোতাক্ষ নদ কবিতার মধ্যে দিয়ে কবি স্বদেশের প্রতি তাঁর আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইউরোপীয় সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভের ইচ্ছা নিয়ে তিনি পাশ্চাত্যে পাড়ি দিলেও - নিজ স্বদেশের কথা এবং বঙ্গভূমির প্রতিটি  বিষয়ের জন্য তাঁর হৃদয় সর্বদা ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। জননী বঙ্গভূমি যেন পরম মাতৃস্নেহে সর্বদা তাকে আহ্বান করছেন। সেজন্য বঙ্গজননীর তীব্র স্নেহ আহ্বানে তিনি বারবার স্বদেশে ফিরে যেতে চেয়েছেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

বস্তুতঃপক্ষে কপোতাক্ষ নদ হল কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাগরদাড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদ। এই নদকে ঘিরে কবির শৈশবের বিভিন্ন ঘটনা , বিভিন্ন স্মৃতি - কবির স্মরণে ও মননে সদাজাগ্রত। শৈশবের সেই দিনগুলি , কপোতাক্ষ নদের স্মৃতি - ইত্যাদি কবি মনকে আকুল করে তোলে।  সেই সকল স্মৃতি যেন সর্বদা তাঁকে আহ্বান করে। কবির নিজের নিজের ভাষায় - 
'' সতত , হে নদ , তুমি পড় মোর মনে ! 
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ; '' 
এই ছত্রটির মধ্যে দিয়েই কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্বদেশের প্রতি তাঁর তীব্র অনুরাগের পরিচয় দিয়েছেন। কপোতাক্ষ নদের স্মৃতি কবির মনে সদা জাগ্রত এবং একাকী সময়কালে সেই স্মৃতি আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। 

শুধু জাগ্রত অবস্থায় নয় - ঘুমের মধ্যে , স্বপ্নের মধ্যে - সর্বদা কপোতাক্ষ নদ এবং তার সাথে জড়িত স্মৃতি কবিমনকে উতলা করে। মানুষ ঘুমের মধ্যে এবং স্বপ্নের মধ্যে তীব্রভাবে কাঙ্খিত বিষয়কে উপলব্ধি করে , তার পেছনে ছুটতে থাকে এবং তাঁকে যেন কাছে পায়। এ যেন এক মায়ামন্ত্র - যা কবিমনকে এক অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে তোলে। কবি বলেছেন - 
'' সতত ( যেমনি লোক নিশার স্বপনে 
শশানে মায়া মন্ত্রধ্বনি ) তব কলকলে 
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে ! '' 
এই ছত্রটির মাধ্যমে একথা পরিষ্কার যে , কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মায়াময় স্বপ্নের মধ্যে কপোতাক্ষ নদের ধ্বনি শুনতে পান এবং এভাবেই কবি দেশান্তরে নিজের জন্মভুমিকে উপলব্ধি করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

পাশ্চাত্য দেশে কবি বহু নদনদী প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রতিটি ভূমিরূপ , প্রতিটি নদনদী আপন সৌন্দর্যে অপরূপ। সকল সৌন্দর্য দর্শনেই হৃদয় ও মন জুড়িয়ে যায়। কিন্তু শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ যেভাবে কবি মনকে আকুল করে তোলে তা যেন আর কেউই করতে পারে না। কবি বলেছেন - 
'' বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ - দলে , 
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে ? '' 
এখানে কবি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন - পৃথিবীর সকল নদী আপন সৌন্দর্যে মহিমান্বিত হলেও তার মধ্যে যেন স্নেহের ছোঁয়া নেই। কবির শৈশবের সেই কপোতাক্ষ নদ যেন মাতৃরূপে এবং মাতৃস্নেহ ছায়ায় কবিকে বেঁধে রেখেছেন। 

কবি পাশ্চাত্য দেশ গমনের পর সেখানে যেন মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এখানে কবির স্বদেশপ্রেম কপোতাক্ষ নদ-কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখানে কবি কপোতাক্ষ নদের জলকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কবির ভাষায় - '' দুগ্ধ-সোতোরূপী তুমি জন্মভূমি - স্তনে। '' প্রবাসের জীবন যন্ত্রণাময় ও হতাশাক্লিষ্ট। সেই হতাশাময় জীবনে কবির স্মৃতিপটে বারবার উপস্থিত হয়েছে শৈশবের সেই কপোতাক্ষ নদের চিত্র। 

দেশান্তরে গিয়ে কবি শৈশবস্মৃতি যন্ত্রণায় কাতর। জীবনে হাজারো ব্যস্ততার মাঝে কবির মনে এ সংশয়ও এসেছে যে আর কখনো তিনি জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারবেন কি'না ! আর কখনো কপোতাক্ষ নদের কোলে তিনি পৌঁছতে পারবেন কি'না ! কবির নিজের ভাষায় - 
'' আর কি হবে দেখা ? '' 
কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি জননী মাতৃভূমির কাছে এ প্রার্থনাও করেছেন যে - কপোতাক্ষ নদ যেন কবিকে স্নেহময় পরশে জড়িয়ে রাখে ; বঙ্গভূমির মানব যেন তাকে বন্ধুভাবে মনে রাখে। 

পরিশেষে বলা যায় যে , '' কপোতাক্ষ নদ '' চতুর্দশপদী কবিতাটি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বদেশপ্রেমের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই চতুর্দশপদী কবিতাটিতে কবির স্বদেশপ্রেম কেন্দ্রীভূত হয়েছে কপোতাক্ষ নদকে কেন্দ্র করে। স্বদেশ বঙ্গভূমির থেকে দূরে গিয়েই কবি উপলব্ধি করেছেন - স্বদেশ বঙ্গভূমির মাতৃরূপী মহিমা ও স্নেহস্পর্শের। তাই এই চতুর্দশপদী কবিতাকে স্বদেশপ্রেমের এক উৎকৃষ্ট  নিদর্শন বলা যেতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

প্রতিবাদের নাটক হিসাবে নবান্ন নাটকের আলোচনা কর। 

নবান্ন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের নাটক - বিশ্লেষণ কর। 

'' নবান্ন একই সঙ্গে দুর্গতি ও প্রতিরোধের নাটক '' - আলোচনা কর। 




প্রতিবাদের নাটক নবান্ন :- 


বাংলা নাট্যজগতে এক প্রবাদপ্রতিম মানুষ হলেন বিজন ভট্টাচার্য। তাঁর লেখা নবান্ন নাটকটিকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের নাটক হিসাবে বিবেচিত করা হয়। গণনাট্য হিসাবে নবান্ন নাটকটি প্রতিবাদের নতুন ভাষা সংযোজন করেছে। নবান্ন নাটকটি যে শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করেছে তা নয় , তা সমকালীন বাঙালিদের মধ্যে অত্যাচারী সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক নতুন প্রেক্ষাপট রচনা করে। বস্তুতঃ নাটকটি তৎকালীন সময়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক আলোড়ন সৃষ্টি করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

নাটকের শুরুতেই নাটকের ঘটনাস্থল দেখা যায় আমিনপুর গ্রাম। এই আমিনপুর গ্রাম হল মেদিনীপুর জেলার অংশ। এই মেদিনীপুর জেলা ছিল তৎকালীন সময়ে বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পীঠস্থান। নাটকে দেখা যায় , সেই সময়ে বিপদ এসেছিল তিন দিক দিয়ে। 
প্রথমতঃ একদিকে ছিল , সাম্রাজ্যবাদী শাসকের প্রবল অত্যাচার ; গ্রামের পর গ্রাম লুঠ করা ; মানুষের সম্পত্তি ও প্রাণ হরণ করা ; মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া। 
দ্বিতীয়তঃ আবার অন্যদিকে ছিল - প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ভয়ঙ্কর বন্যা , ধ্বংসাত্মক ঝড় গ্রামগুলিকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছে আর এর হাত ধরে এসেছে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী।  
তৃতীয়তঃ দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সুযোগ নিয়ে একদল স্বার্থান্মেষী ও সুযোগসন্ধানী মানুষ কালোবাজারি করে , পণ্যের অবৈধ মজুদ করে সাধারণ মানুষকে অবাধ শোষণ করে চলেছে। 
এই তিন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে গ্রাম বাংলার জীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দুর্যোগপূর্ণ , অত্যাচারক্লিষ্ট মানুষের প্রতিবাদের স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য তাঁর নবান্ন নাটকে। 

নাটকে দেখা যায় , গ্রামের সমাদ্দার পরিবারকে কেন্দ্র করেই নাটকের যাবতীয় ঘটনাক্রম আবর্তিত হয়েছে। কিন্তু নাটকের বক্তব্য আমিনপুর গ্রাম বা সমাদ্দার পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি - তা দেশ কালের সীমা অতিক্রম করে শোষিত , দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জীবন পরিচয় ও প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল। নাট্যকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সমাদ্দার পরিবারকে সামনে রেখে তৎকালীন সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চালচিত্রকে উপস্থাপন করেছেন। একদিকে সাম্রাজ্যবাদী শাসকের অত্যাচার ও অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ - এই দুয়ের যাঁতাকলে পড়েও আমিনপুর গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। 

নাটকের প্রথম তিনটি অঙ্কে দেখা যায় , আমিনপুর গ্রামের অধিবাসীদের জীবন অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারে জর্জরিত গ্রামের সচ্ছল পরিবারগুলিও চূড়ান্ত হীন হয়ে পড়েছে। সমাদ্দার পরিবারের মত সচ্ছল পরিবারের অবস্থায় অত্যন্ত সংকটের মধ্যে পড়েছে। আবার দুর্ভিক্ষ , মহামারী ,কালোবাজারি - ইত্যাদি বাংলার গ্রামগুলিকে শ্মশান করে তুলেছে। গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহরে চলে আসছে একমুঠো অন্নের আশায়। কালিধনের মত কিছু অসাধু কিছু ব্যবসায়ী কালোবাজারির সঙ্গে সঙ্গে নারী ব্যবসাও শুরু করেছে। এই সময় আবার একদল চিত্র সাংবাদিক সেই দুর্গতির ছবি তুলে ধরে '' বাংলার ম্যাডোনা '' নাম দিয়ে ছাপতে চায়। সবমিলিয়ে এক অসহায় অবস্থার চিত্র তুলে ধরেছেন নাট্যকার নাটকের প্রথম তিনটি অঙ্কে। 

কিন্তু , চতুর্থ অঙ্ক থেকেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের চিত্র তুলে ধরেছেন নাট্যকার। অসীম নির্যাতন , মহামারীর যন্ত্রনা , কালোবাজারির প্রকোপ - সমস্ত প্রতিকূল অবস্থা থেকে মানুষের উত্তরণ ঘটে ; মানুষ গ্রামে ফিরে আসে। তাঁরা জোট বাঁধে , নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে সম্মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তিলাভ সম্ভব নয়। নিরঞ্জন - প্রমুখের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে প্রতিরোধ। প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নতুন করে ধান চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুধিষ্ঠিরের শেখানো বুলির পরিবর্তে নিজ অভিজ্ঞতা উপর বিশ্বাস রেখে নিজেরাই আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা স্থির করে। '' ধর্মগোলা '' বা ধানের গোলা তৈরী করে তাতে ধান জমা করে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি নেয়। 

কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আমিনপুর গ্রামের মানুষেরা হঠাৎ করে তৈরী হওয়া প্রতিকূল পরিস্থিতির কথাও ভোলেনা। তারা বুঝতে পারে , শুধু ফসল ফলালেই সমস্যার সমাধান হবেনা। এর জন্য চাই সংঘবদ্ধতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমেই ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান সম্ভব। মন্বন্তরের বিপর্যয় দিয়ে নাটকের শুরু হলেও নাটকের শেষে নবজীবনের মহামন্ত্রের জয়গান শোনা যায়। বিপর্যস্ত মানুষ গ্রামে ফিরে এসে নতুনকরে সংঘবদ্ধভাবে বাঁচার ও প্রতিরোধের শপথ নিয়েছেন। মন্বন্তরের , শোষণ - ইত্যাদি চরম প্রতিকূল পরিস্থির মধ্যেও মানুষ নতুন ধান উৎপাদন করে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে। এইভাবে অসহায়তা , প্রতিকূলতা , দুর্ভিক্ষ ও সমস্যার মধ্যে দিয়ে নাটকের শুরু হলেও পরিণতিতে নাটকটি হয়ে উঠেছে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের নাটক। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো                            

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Minutes of meeting. 

How to write minutes of meeting. 

Sample of minutes of meeting .




A meeting of the Malda Blood Donors was held on 3rd May , 2022 at 12 noon at the Seminar Hall in Malda where the following matters were discussed : 
(i) Minutes of the previous meeting held on 15/03/2022.
(ii) Need to organise blood donation camps.
(iii) Arrange special camps on the importance of blood donation for the people.

Draft the minutes of the above meeting.


Ans. 

                              Malda Blood Donors Association .

                    Minutes of the meeting of the members of the association.

May 3rd , 2022 

A meeting of the members of Malda Blood Donors Association was held on 3rd May , 2022 at the Seminar Hall in Malda.

Attendance :- 
Lifetime members present : All 
Voting Members absent : None.
Guests : 
(i) Dr. A.K. Sarkar - principle , Gour Mahavidyalaya .
(ii) Dr. P. Sikdar - Social worker .
(iii) Mrs. A. Sen - Health care provider.  

Approval of minutes :- 
A motion to approve the previous meeting minutes from 15th March , 2022 , was made by Dr. Ashish Banerjee , the secretary of the Malda Blood Donors Association and seconded by Smt. Jaya Sen.
The report stated that more than one hundred blood donation camps were organised by the Malda Blood Donors Association with its other associates like - political organisations , non governmental organisations , different schools , colleges and clubs. More than five thousand donors donated blood at those blood donation camps. Malda Blood Bank played an important role to collect and preserve the collected blood. 

Chief Secretary Report :- 
Dr. Ashish Banerjee , the Chief Secretary of Malda Blood Donors Association , reviewed the agenda and welcomed everyone to the meeting. Next , the Chief Secretary unfolded another report about the present situation of the need of the blood in various hospitals and health care providers located in Malda District. The report told that there is a huge need to fulfill the demand of blood in various hospitals and other health care providers. It was an estimate that ten thousand pouches of blood needed every month in Malda. 

Future Proposal :- 
The discussion was continued and it was decided that Malda Blood Donors Association will organise some special blood donation camps to fulfill the demand of blood in the various hospitals and other health care providers in Malda district. It was also decided that one hundred and fifty blood donation camps will be organised in next month in the different parts of Malda. 

Announcements :- 
(i) The total one hundred and fifty units or branches of the Malda Blood Donors Association will organise minimum one camp in their unit area.

(ii) Malda Blood Donors Association will collect data from the health dept. for the absolute number of pouches of blood needed every month in Malda. 

Adjournment :- 
The meeting was adjourned at 2.45 p.m. .     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো 

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

'' জননী জন্মভূমিশ্চ '' কবিতার বিষয়বস্তু। 

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের '' জননী জন্মভূমিশ্চ '' কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা। 

'' জননী জন্মভূমিশ্চ '' কবিতায় কবির জীবন দর্শন। 




জননী জন্মভূমিশ্চ কবিতার বিষয়বস্তু :- 


জননী জন্মভূমিশ্চ কবিতাটি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বদেশ , মানবতা ও জীবন দর্শনমূলক কবিতা।  কবিতার প্রতিটি অংশে ফুটে উঠেছে কবির একান্ত অসহায়তা। এখানে কবি সমাজের প্রতিটি সংবেদনশীল মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। কিছুটা হতাশা , কিছুটা অসহায়তা , কিছুটা মানবতাবোধ - এই তিনের সংমিশ্রণে কবিতাটি পাঠকবর্গের নিকট এক সংবেদনশীল আবেদন রেখেছে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

কবিতার শুরুতেই , প্রথম অংশে , কবিতা শুরু হয়েছে মৃত্যুর পদধ্বনির মধ্যে দিয়ে। প্রিয় মানুষের মৃত্যু মানুষের অসহায় অবস্থাকে চূড়ান্তভাবে প্রকট করে। তাই মৃত্যু ঘটলেও তা সকলকে ম্লানমুখে মেনে নিতে হয়। চলে যাওয়া মানুষটির জন্য বেদনাবোধ তৈরি হলেও দৈনন্দিনের ব্যস্ততা , দৈনন্দিন জীবনযাত্রার দাবীটা এতটা প্রবল থাকে যে সেই বেদনাবোধ যেন ধীরে ধীরে মুছে যেতে থাকে। বাস্তবের প্রবল দাবি মানসিক চাহিদাগুলির পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। 

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে তিনি মানুষের দিকে তাকিয়েছেন। বাস্তব - বর্তমান জীবনে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক , স্বার্থকেন্দ্রিক হতে বাধ্য হয়েছেন। চূড়ান্ত আত্মকেন্দ্রিকতা মানুষের মধ্যে আপোষের মনোভাব জাগ্রত  করেছে। মানুষ যেন একেবারে পাথর হয়ে গেছে। কবির ভাষায় , '' মানুষ নামের এক রকম পাথর , '' ।পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা , ঘাত-প্রতিঘাত , হিংসাত্মক আচরণ , বৈষম্য , পরাধীনতা ইত্যাদি কোনো  কিছুতেই মানুষ যেন আজ বিচলিত হয় না। নিজের স্বার্থ বাদ দিলে কোনো কিছুই যেন তাকে প্রভাবিত করতে পারে না। 

তাই তৃতীয় অনুচ্ছেদে কবি আত্মদর্শন করতে চেয়েছেন। কবির ভাষায় -
'' আয়নার সামনে কেউ দাঁড়ালে 
শুধু আয়নাটাই কথা বলে। 
কী যে বলে , তা জানার মানুষ 
আজ আর আমি খুঁজে পাই না। ''
নিজের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কবি উপলব্ধি করেছেন - মানুষ আজ নিজের সাথে পরিচিত নয়। নিজের চাহিদা - প্রত্যাশা সবকিছুই যেন বাস্তবের প্রবল দাবীতে কোথায় যেন উবে গেছে। নিজের কথা শোনার ক্ষমতা আর মানুষের মধ্যে অবশিষ্ট নেই। 

চতুর্থ অনুচ্ছেদে তিনি স্বদেশের কথা বলেছেন। মানুষের মধ্যে স্বাদেশিকতা আজ বিলুপ্ত। মানুষ আজ নিজের চারপাশের গন্ডি ছাড়িয়ে সমাজের বৃহত্তর অংশের খবর রাখেনা। রাষ্ট্রের অচল ব্যবস্থাকে তিনি কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

কিন্তু কবি স্মৃতির দিকে তাকিয়ে উজ্জ্বল দিনের সন্ধান পান। যেখানে এক সময় পাখি ডাকতো , ফুল ফুটত। ছোটবেলার অসীম আকাঙ্ক্ষা , ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা - জীবন বসন্তের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করে। কিন্তু যৌবনে পা দিয়েই সে উন্মাদনাপূর্ণ ও আশা-আকাঙ্খায় পরিপূর্ণ মানসিকতা বাস্তবের প্রবল চাপে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। শৈশব ও কৈশোরের জগৎজোড়া স্বপ্ন বিলুপ্ত হয়। কবির  ভাষায় - 
'' তারপর বাঘের মত এক দুপুর এসে আমার মায়ের 
পাড়া জ্বালানো ছোট ছেলেটাকে  ......................
তার কোন চিহ্নই আর পাওয়া গেল না , '' 
কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মানুষের প্রতিনিধিস্বরূপ কবি আবার সেই স্বপ্নে পরিপূর্ণ , উন্মাদনাপূর্ণ   দিন গুলোকে মনে করার চেষ্টা করেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূল হলেও শৈশব ও কৈশোরের সেই উন্মাদনাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। জীবন সায়াহ্নে এসে মানুষ উপলব্ধি করে আগত মৃত্যু তার সকল উন্মাদনার বসন্তের অবসান ঘটায়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Application for the post of asstt. teacher in ABC school.   



ABC School wants to employ teachers for classes V to VIII. Write a job application for the post and attach your CV with the application. 


To 
The Secretary, 
ABC High School, 
PO Mokdumpur,
Malda . 

Sir, 

In response to your advertisement published in the Statesman dated 1st June'2022 for the posts of asstt. teachers for classes V to VIII ,  I beg to offer myself as a candidate for the same. As regards my qualification , I beg to state that I passed the M.A. in English from Gour Banga University in 2019. The following CV in support of my candidature are furnished for your perusal. 
Finally , I beg to assure you that I shall discharge my duties to your complete satisfaction if I am selected. 

                                           Curriculum Vitae :-  


Name : 

Father's Name : 

DOB :

Address : 

Academic Qualification : 
(i) Passed secondary examination in 2012 .
(ii) Passed higher secondary examination in 2014.
(iii) Passed Honours in English in 2017.
(iv) passed MA in English in 2019. 

Experience : Working as an asstt. teacher from 2019 in XYZ School (A Privet Secondary School. ) 

I earnestly pray to you to favour me with a post applied for. The photocopies of certificates and marksheets are enclosed herewith.   

Yours faithfully, 
Name + Address + Date. 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো


Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Write an advertisement to sell your mobile phone.  

Suppose you want sell your smartphone. Write an advertisement for an English newspaper. 

Advertisement to sell smartphone. 




Smartphone is for sell . 

A Samsung J7 model smartphone is for sell in good and running condition . It has 2GB RAM , 16GB internal memory and expandable upto 132GB , 16 and 4 megapixels back and front camera , earphones available , 5000 MaH battery , 2.2 GHz octa processor. Android 8.1 version , no scratch and no dents , sound quality and speakers are excellent , blue in colour , all the legal papers are available , warranty period is also enjoyable . Interested people may contact 0123456789 . 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Write a newspaper report on a road accident. 




Another road accident in Malda caused five injuries.


By a staff reporter , Malda 1st June'22 , another road accident took place at Rathbari crossing in Malda . It was around 2 pm when a fully loaded lorry collided with a passenger car. The car smashed badly and the five passengers of that car including the car driver were seriously injured. The injured passengers were immediately sent to Malda Medical College and Hospital by the local people with the help of traffic police . Of those injured passengers a woman and her child were released soon after the first - aid treatment. But the driver and other passengers are still in danger. 

After that incident the traffic was disrupted badly. But the police arrived on that scene and they made their serious efforts to make the traffic normal. However, the lorry driver was arrested on spot . Preliminary investigations revealed that the accident happened when the lorry lost its control . The people demanded that there should be a more active and effective traffic system on that kind of busy road. The traffic police personnel assured the people on that concerned matter.   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (64)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates