Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা। 

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ত্রুটি। 

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার অসুবিধা। 




অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা। 

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং মানবজীবনে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ভূমিকাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে যা কিছু শেখে - তা'ই হল অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাও সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত নয়। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সীমাবদ্ধতাগুলি হল - 

১. শিক্ষকের অভাব :- 
উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার একটি বড় ত্রুটি। একজন উপযুক্ত শিক্ষক একটি বিষয় বা পাঠক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সেতুবন্ধনের কাজ করে এবং শিক্ষার্থীর নিকট বিষয়টিকে সহজ ও সরল করে তোলে। ফলে একটি বিষয় বা সমস্যার অভিজ্ঞতা লাভ করা শিক্ষার্থীর পক্ষে সহজ হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় সেই সুযোগ নেই। 

২. উপযুক্ত পাঠক্রমের অভাব :- 
উপযুক্ত পাঠক্রম শিক্ষার্থীর শিক্ষাকে একটি নির্দিষ্ট বিজ্ঞানসম্মত পথে পরিচালিত করে। শিক্ষার্থীর জ্ঞান হয়ে ওঠে সুব্যবস্থিত ও সুনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় কোনোরূপ পাঠক্রমের অস্তিত্ত্ব না থাকায় শিক্ষর্থীর শিক্ষা নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করা সম্ভব হয়না। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. মূল্যায়নহীনতা :- 
মূল্যায়ণ একদিকে যেমন শিক্ষার্থীর সামর্থ্য ও দুর্বলতা শিক্ষকের নিকট উন্মোচিত করে , তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীও ও সামর্থ্য ও দুর্বলতাগুলিকে চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় মূল্যায়ণের কোনো অস্তিত্ত্ব না থাকায় সে সুযোগ নেই। 

৪. শংসাপত্রের অভাব :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক নয় তাই শিক্ষালাভের পর শংসাপত্রেরও কোনো অস্তিত্ব থাকেনা। কিন্তু বাস্তব জীবনে শংসাপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃত্তি ও পেশার জগৎ , সরকারি  কাজকর্ম - ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই সংসাপত্রের প্রয়োজন হয়। শংসাপত্রের অভাবে শিক্ষার্থীর জ্ঞান স্বীকৃতি পায়না। 

৫. বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা শিক্ষার্থীর জীবনকে সমৃদ্ধ করলেও বাস্তব জীবনে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বড়ই অভাব। বাস্তব সমাজে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা যেহেতু শিক্ষার্থী নিজেই শেখে - তাই সেই শিক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা আজ পর্যন্ত স্বীকৃত নয়। 

৬. গ্রহণযোগ্যতার অভাব :- 
নির্দিষ্ট শিক্ষক , পাঠক্রম , মূল্যায়ণ - ইত্যাদি ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ঘটে এবং যেহেতু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক নয় - তাই অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা কম। যেমন , কোনো শিক্ষার্থী কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্নাতকোত্তর জ্ঞান অর্জন করলেও সমাজ , কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাক্ষেত্রে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকেনা। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. পর্যবেক্ষণ ও অনুকরণের কুপ্রভাব :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পরিচালিত হয় কেবলমাত্র পর্যবেক্ষণ ও অনুকরণের দ্বারা। তাই অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাতে বহুক্ষেত্রেই শিক্ষার্থী জ্ঞানলাভের পরিবর্তে শুধুমাত্র অনুকরণ করতে শেখে এবং সামগ্রিকভাবে বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনা। ফলে শিক্ষার্থীর জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। 

৮. শিশুর সামগ্রিক বিকাশের পক্ষে উপযুক্ত নয় :- 
একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন - মানসিক , নৈতিক , সামাজিক , জ্ঞানমূলক , বৌদ্ধিক , কৃষ্টিমূলক , বৃত্তিমূলক - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের বিকাশ। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা দ্বারা কোনো অবস্থাতেই শিশুর উপরোক্ত চাহিদাগুলির পর্যাপ্ত বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। 

৯. অসম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিশুর অভিজ্ঞতা থাকে অসম্পূর্ণ। বিষয়ের গভীরে সে জ্ঞানলাভের সুযোগ পায়না। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শুধুমাত্র অনুকরণের দ্বারা শিক্ষার্থী কিছু প্রাথমিক জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত হয় ঠিকই ; কিন্তু শিক্ষক , পাঠক্রম , পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদির অভাবে তাকে অসম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। 

১০. সমাজ পরিবর্তনের উপযুক্ত নয় :- 
রাশিয়ার চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ভি আই লেনিন শিক্ষাকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার বলেছেন। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থী নিজের প্রয়োজনভিত্তিক কিছু তাৎক্ষণিক ও অসম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে। সমাজের গতিপ্রকৃতি , সামাজিক বিভিন্ন আদর্শ , সমাজ পরিবর্তনের রীতি , জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন - ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কার্যকর নয়।       

পরিশেষে বলা যায় , অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিক্ষার্থীর জীবনে এর গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায়না। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাও সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। তাই শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য প্রয়োজন নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মেলবন্ধন।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো  
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিদ্যালয়ের ভূমিকা। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষামূলক ভূমিকা। 

শিশু শিক্ষায় বিদ্যালয়ের ভূমিকা। 




নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিদ্যালয়ের ভূমিকা। 


নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার চারটি প্রধান উপাদানের মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান উপাদান হল বিদ্যালয়। নিজের জীবনের একটি বড় সময় শিশু বিদ্যালয়ে অতিবাহিত করে। শিশুর জ্ঞানের বিকাশ , বৌদ্ধিক বিকাশ , সামাজিকীকরণ এবং সর্বোপরি ব্যক্তিত্বের বিকাশ - ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হল একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম। একটি শিশুর জীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা বহুমুখী এবং এর প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। 

১. জ্ঞানার্জন ও বৌদ্ধিক বিকাশ :- 
শিশুর সকল চাহিদার মধ্যে একটি অন্যতম হল জানার চাহিদা। বিদ্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণীতে শিশুকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। যেহেতু এটি নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম , তাই জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে শিশু যাতে বৈচিত্রময় জ্ঞানের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে - সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। এই বৈচিত্রপূর্ণ জ্ঞানার্জনের ফলে শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে। 

২. সামাজিকীকরণ :- 
বিদ্যালয় হল সমাজের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। একটি শিশু তার পরিবারের বাইরে বিদ্যালয়ের মাধ্যমেই বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে পরিচিত হয়। বিদ্যালয়ের পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির মাধ্যমে শিশু তার সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে অবগত হয়। সামাজিক নিয়ম , স্বীকৃত আচার - আচরণ , নৈতিকতা - ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। এইভাবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. ব্যক্তিত্বের বিকাশ :- 
প্রতিটি শিশুর চাহিদা , সামর্থ্য , মেধা , রুচি ও আগ্রহ - ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন। শিশুর মধ্যে যেসকল সম্ভাবনা থাকে সেগুলিকে চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই সকল সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপায়িত করা - হল বিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিদ্যালয় শিশুর সামাজিক , প্রক্ষোভিক , মানসিক , নৈতিক , কৃষ্টিমূলক - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটিয়ে শিশুকে উপযুক্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তোলে। 

৪. গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ের পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে খুব সহজেই শিশুর মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ ঘটে। গণতান্ত্রিক আদর্শের বিভিন্ন বৈশিষ্ট , গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সর্বোপরি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে মানুষ অবগত হতে পারে। 

৫. সৃজনশীলতা ও কৃষ্টিমূলক বিকাশ :- 
বিদ্যালয় জীবনে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের আগ্রহ , সামর্থ্য ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত হতে পারে ; যেমন - সাহিত্যচর্চা , আবৃতি চর্চা , অঙ্কন , নৃত্য , ভাস্কর্য , ক্রীড়া। শিক্ষার্থী বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এইসকল কর্মকান্ডে নিযুক্ত হয়ে নিজেদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে। 

৬. সু - অভ্যাস গঠন :- 
শিক্ষার্থীরা যাতে উপযুক্ত প্রাত্যহিক অভ্যাস রপ্ত করতে পারে - সেবিষয়ে বিদ্যালয় কঠোর দৃষ্টি রাখে। যেমন - বইপত্র যত্ন করা , জামা - কাপড় পরিষ্কার রাখা , নখ - চুল সঠিক রাখা , হাত ধোয়া - ইত্যাদি বিষয়গুলি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে রপ্ত করে ফেলে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. পরিবেশ সচেতনতা :- 
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে প্রতিটি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পরিবেশের বর্তমান সমস্যাগুলি কী কী , সেই সমস্যা দূর করতে শিক্ষার্থীদের কর্তব্য কী - এইসকল বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সচেতন করে। আজকের পরিবেশ সচেতন শিক্ষার্থীদের দ্বারা আগামীদিনে পরিবেশ সংরক্ষিত হবে - এমনটা আশা করা যায়। 

৮. সাংস্কৃতিক বিকাশ :- 
প্রতিটি সমাজের একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতি থাকে। বিদ্যালয় থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। এইভাবে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংস্কৃতির সঞ্চালন ঘটে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে চালিত হয়। 

৯. জাতীয় চেতনার বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে জাতির ইতিহাস , প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক ভূগোল , স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস , জাতীয় ঐতিহ্য - এইসকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে - যা শিক্ষার্থীদের জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটাতে সহায়তা করে। 

১০. আন্তর্জাতিকতাবোধের বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ের পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন , তাদের লক্ষ্য - উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি - ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে এইসকল বিষয় পাঠের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর চেতনা আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত হয় এবং তাদের আন্তর্জাতিকতাবোধের বিকাশ ঘটে। 

১১. মূল্যায়ন :- 
মূল্যায়ন বিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মূল্যায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষক জানতে পারেন শিক্ষার্থীদের মেধা ও দুর্বলতার দিকগুলি এবং অন্যদিকে শিক্ষার্থীও নিজেদের দক্ষতা ও দুর্বলতার বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। ফলে মূল্যায়ন শিক্ষার্থীকে আত্মসমীক্ষায় সহায়তা করে। 

১২. বৃত্তিমূলক বিকাশ :- 
শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তিমূলক বিকাশ ঘটানো। বৃত্তি ও পেশা জগতের বিভিন্ন দিকগুলি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিকট উন্মোচিত করে। শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দমত কোনো একটি বৃত্তি বা পেশাতে নিজেকে নিযুক্ত করার লক্ষ্যে নিজেকে যোগ্য করে তোলার প্রস্তুতি নিতে পারে।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতা। 

গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতা। 



অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতা। 


শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে প্রধানতঃ চারটি গণমাধ্যমের উল্লেখ করা যেতে পারে - বেতার , দূরদর্শন , সংবাদপত্র ও চলচ্চিত্র। এছাড়া বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া - একটি অন্যতম প্রধান গণমাধ্যম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমগুলির বিবিধ ইতিবাচক দিক থাকলেও তার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতাগুলি হল - 

১. নিরপেক্ষতার অভাব :- 
বর্তমানে গণমাধ্যম কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদগুলি অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে থাকে। রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে অধিকাংশ মিডিয়া হাউসগুলি পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশন করছেন। ফলে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত সংবাদ থেকে। বহুক্ষেত্রেই সামাজিক ঘটনাপ্রবাহগুলির বিকৃত পরিবেশন ঘটছে। 

২. আরোপিত জনমত :- 
পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশনের ফলে জনমত ভুলপথে পরিচালিত হচ্ছে। রাজনৈতিক দল , কর্পোরেট হাউসগুলি নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করছে এবং একটি নির্দিষ্ট পক্ষে জনমতকে প্রভাবিত করছে। এই আরোপিত জনমত জাতীয় নীতি ও কর্মসূচিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তুলেছে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. বিদ্যুৎ নির্ভরশীলতা :- 
একমাত্র সংবাদপত্র বাদ দিলে অন্যান্য সকল প্রকার গণমাধ্যম বিদ্যুৎ নির্ভর। ফলে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই - সেই সকল এলাকার মানুষ গণমাধ্যমগুলির সুফল ভোগ করতে পারেন না। ফলে প্রচলিত সামাজিক ভাবধারা থেকে তাঁরা পিছিয়ে পড়েন। 

৪. কুরুচিকর চলচ্চিত্র :- 
আজকাল বাণিজ্যিক স্বার্থে এমন বহু চলচ্চিত্র তৈরী হচ্ছে যা গণশিক্ষার পরিবর্তে জনগণকে ভুলপথে পরিচালিত করছে। অপ্রয়োজনীয় হিংস্রতা , যৌনতা , যৌন পণ্য হিসাবে নারীদের উপস্থাপন - এইসকল বিষয়গুলি দর্শকের মনকে অসামাজিক ও বিকৃত করে তোলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চলচ্চিত্র তার শিক্ষামূলক ভূমিকা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। 

৫. বিজ্ঞাপনের আধিক্য :- 
বহুক্ষেত্রেই গণমাধ্যমগুলি পরিচালিত হয় বিজ্ঞাপনের টাকায়। কিন্তু বর্তমানে গণমাধ্যমগুলিতে বিজ্ঞাপনের হার এতটাই বেড়েছে যে প্রকৃত সংবাদ বা অনুষ্ঠান উপেক্ষিত হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন সংবাদপত্র ও দূরদর্শনের পরিসরকে সংক্ষিপ্ত করে তোলে ; সংবাদ পরিবেশনের জায়গা ও সময় কমে যায়। 

৬. পীত সাংবাদিকতা :- 
বর্তমানে বহু সংখ্যক সাংবাদিক সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য প্রকৃত সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে সংবাদকে একটি মনোরঞ্জনের মোড়কে প্রকাশ করার প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। এই পীত সাংবাদিকতা সাংবাদিক আদর্শের পরিপন্থী এবং এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দর্শক , পাঠক ও শ্রোতাদের। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের অভাব :- 
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মিডিয়া হাউস কর্পোরেট জগতের সদস্য। ফলে প্রতিটি গণমাধ্যমে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে খুব কম। সকল গণমাধ্যম বর্তমানে মানুষের বিনোদনের চাহিদা পরিতৃপ্ত করতে ব্যাস্ত। ফলে বর্তমান সময়কালে গণমাধ্যমকে কেবলমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। 

৮. গ্ল্যামার , অর্থ ও যশের হাতছানি :- 
ইন্টারনেট নির্ভর সামাজিক মাধ্যমগুলি শিশু ও কিশোর মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সামাজিক মাধ্যমগুলি থেকে অভিজ্ঞতালাভ , জ্ঞানার্জন , তথ্য সংগ্রহ - ইত্যাদির পরিবর্তে সামাজিক মাধ্যমগুলি প্রতিষ্ঠা ও অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের ভয়ঙ্কর হাতছানি দিচ্ছে। কলুষিত হচ্ছে শৈশব ও কৈশোর। শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবন ভুলে গিয়ে রুপোলি পর্দার নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। 

৯. অনুকরণ :- 
চলচ্চিত্র , সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদিতে প্রদর্শিত - অন্ধকার জগৎ , বলপ্রয়োগ , যৌনতা , মাদক সেবন - ইত্যাদিকে বহু শিক্ষার্থী আধুনিকতা বলে মনে করছে এবং এইসকল অভ্যাসগুলি অনুকরণ করতে চাইছে। ফলে জাতির মেরুদন্ড হিসাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা ভয়ঙ্কর প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়েছে। 

১০. সময়ের অপচয় :- 
সোশ্যাল মিডিয়া , চলচ্চিত্র - ইত্যাদি মাধ্যম থেকে বহু শিক্ষার্থী স্থুল আনন্দ খোঁজার তাগিদে ঘন্টার পর ঘন্টা অপচয় করে। ফলে একদিকে যেমন বিঘ্নিত হয় তাদের শিক্ষা অন্যদিকে বাস্তব সমস্যাকে উপেক্ষা করে তারা অলীক কল্পনার জগতে বাস করতে পছন্দ করে। 

পরিশেষে বলা যায় , অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমগুলির ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু তার নেতিবাচক দিকগুলির সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার ও গণমাধ্যম ব্যবহার করার পূর্বে সতর্ক থাকা দরকার।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের ভূমিকা। 

শিশু শিক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা।

গণমাধ্যমের শিক্ষামূলক কার্যাবলী। 




অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের ভূমিকা। 


অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে গণমাধ্যমের উল্লেখ করা যায়। গণমাধ্যম হল সেই সকল মাধ্যম যার সাহায্যে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমগুলি হল - সংবাদপত্র , বেতার , চলচ্চিত্র , দূরদর্শন - ইত্যাদি। গণমাধ্যমগুলির সাহায্যে সমাজের এক বিরাট অংশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় এবং মানুষ এগুলির দ্বারা জ্ঞানলাভ করে , অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং তাঁদের আচরণের পরিবর্তন ঘটে। 

১. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ :- 
গণমাধ্যমগুলি - বিশেষ করে দূরদর্শন , বেতার ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে মানুষ স্থানীয় , জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারে এবং নিজেদের জীবনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সাম্প্রতিক সংবাদগুলি সম্পর্কে অবগত না থাকলে মানুষের জ্ঞানের জগৎ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। 

২. বৃত্তিমূলক শিক্ষা :- 
বিভিন্ন সংবাদপত্র , বেতার ও দূরদর্শনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশাগত জগতের মানুষ বৃত্তি বা পেশার বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে আলোচনা করেন। এর ফলে দর্শক বা শ্রোতা বৃত্তিমূলক জীবনের বিভিন্ন দিকগুলির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. জনমত গঠন :- 
বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলি স্থানীয় , জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদগুলি নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ করে। ফলে মানুষ একদিকে যেমন সেগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারে , অন্যদিকে তেমনি মতামত প্রদান করতে পারে। সরকার বা রাষ্ট্র , সামাজিক নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ জনগণের মতামত গণমাধ্যম থেকেই জানতে পারে এবং নীতি নির্ধারণ করতে পারে। 

৪. ভাষার উৎকর্ষতা :- 
নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ বা সংবাদ পরিবেশন শ্রবণ করলে শ্রোতার ভাষা , শব্দের প্রয়োগ , নতুন নতুন শব্দ সম্পর্কে জ্ঞান - ইত্যাদি সম্পর্কে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যক্তির ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি পায় এবং ভাবের আদান - প্রদান করতে ব্যক্তি আরও দক্ষ ও সাবলীল হয়ে ওঠে। 

৫. সামাজিকীকরণ :- 
প্রতিটি গণমাধ্যম ব্যক্তির সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা , সামাজিক বিভিন্ন আদর্শ , রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ - ইত্যাদি মানুষের সামনে তুলে ধরে মানুষকে সমাজ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। ফলে মানুষ ও সমাজের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটে এবং সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। 

৬. স্বল্প খরচ :- 
সকল প্রকার গণমাধ্যমগুলিকেই খুব স্বল্প খরচেই ব্যবহার করা যায়। যেমন বেশিরভাগ সংবাদপত্রের দাম অতি নগন্য। রেডিও এবং টেলিভিশন একবার কিনলে তারপর থেকে তার খরচও অতি সামান্য। তাই স্বল্প খরচ হওয়ার কারণে সমাজের সকল স্তরের মানুষ গণমাধ্যমগুলি ব্যবহার করতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. সাংস্কৃতিক বিকাশ :- 
প্রতিটি গণমাধ্যমই সংস্কৃতির সঞ্চালনে সহায়তা করে। স্থানীয় ও জাতীয় সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতিফলন ঘটে গণমাধ্যমগুলির মধ্যে। ফলে মানুষ খুব সহজেই তার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এবং তাদের মধ্যে খুব স্বাভাবিকভাবে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। 

৮. পরিবেশ সচেতনতা :- 
গণমাধ্যমগুলির সাহায্যে আমরা পরিবেশের বর্তমান গতি - প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। পরিবেশের বর্তমান সমস্যা এবং সেক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারি। এছাড়াও গণমাধ্যমগুলিতে পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতি ও কর্মসূচীগুলি প্রকাশ করে। ফলে মানুষ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে পারে। 

৯. শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা :- 
বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলিতে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় বা প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর আলোচনা , বিষয়ভিত্তিক আলোচনা - ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের উপকৃত করে। এছাড়াও নির্দিষ্ট পরীক্ষা বা বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করে। 

১০. বিজ্ঞান সচেতনতা : -
গণমাধ্যমগুলিতে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান , সংবাদ - ইত্যাদি সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূর করে মানুষকে মানুষকে বিজ্ঞান সম্মতভাবে ভাবতে শেখায়। গণমাধ্যম আধুনিক বিজ্ঞান চেতনাকে উৎসাহিত করে এবং সাম্প্রতিকতম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও প্রয়োগ সম্পর্কে মানুষকে অবগত করে তোলে। 

১১. বৈচিত্রপূর্ণ :- 
গণমাধ্যমগুলিতে পরিবেশিত অনুষ্ঠান বা সংবাদ কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটেনা। শিক্ষা , সংস্কৃতি , বিজ্ঞান , বিনোদন , ক্রীড়া , রাজনীতি , অর্থনীতি , সরকারি নীতি ও কর্মসূচি , সাহিত্য - মানবজীবনের প্রায় সকল অঙ্গ নিয়েই অনুষ্ঠান বা সংবাদ পরিবেশিত হয়। এই বৈচিত্রপূর্ণ বৈশিষ্টের জন্য সকল বয়স ও শ্রেণীর মানুষ গণমাধ্যম থেকে শিক্ষা লাভ করে। 

১২. সঙ্গতিবিধান :- 
সমাজ সর্বদা গতিশীল ও পরিবর্তনশীল। দেশ ও কাল ভেদে সমাজে কোথায় কী পরিবর্তন হচ্ছে , কোথায় কোন ভাবধারা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বর্জন করা হচ্ছে - ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্পর্কে মানুষ গণমাধ্যম থেকে জানতে পারে। ফলে পরিবর্তনশীল সমাজ ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ সঙ্গতিবিধান করতে পারে। 

পরিশেষে বলা যায় গণমাধ্যম কর্তৃক পরিবেশিত সংবাদ বা অনুষ্ঠনে সর্বদা যে নিরপেক্ষভাবে পরিবেশিত হয় - তা কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তা রাজনৈতিক ও আদর্শগত পক্ষপাতদুষ্ট। ফলে গণমাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা উচিৎ।       

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো 
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে পরিবারের ভূমিকা আলোচনা কর। 

শিশুশিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা কর। 

পরিবারের শিক্ষামূলক কার্যাবলী আলোচনা কর। 




অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে পরিবারের ভূমিকা :- 


পরিবার হল শিশুর প্রথম বিদ্যালয় এবং মা হলেন তার প্রথম শিক্ষক। তাই শিশুর ব্যক্তিত্বের বিকাশের ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবারকে বাদ দিয়ে কোনো শিশুর বিকাশ যথার্থভাবে ঘটতে পারেনা। শিশুর প্রাথমিক বিভিন্ন অভ্যাস , সামাজিকীকরণ , অক্ষরজ্ঞান , পরিবেশ জ্ঞান - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে শিশু পরিচিত হয় তার পরিবারের মাধ্যমেই।    

১. সামাজিকীকরণ :- 
জন্মের সময় শিশু থাকে একটি জৈবিক প্রাণী হিসাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সমাজের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সে সামাজিক আচার - আচরণগুলো আয়ত্ত্ব করে। শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবার শিশুকে সামাজিক নিয়ম , আদব - কায়দা , বিধি - নিষেধ - ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিতি ঘটিয়ে শিশুকে সামাজিক প্রাণীতে পরিণত করে। 

২. সু - অভ্যাস গঠন :- 
শিশু প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সু - অভ্যাসগুলির সঙ্গে পরিচিত হয় তার পরিবারের মাধ্যমেই। টয়লেটে যাওয়ার শিক্ষা , দাঁত মাজার শিক্ষা , হাত ধোয়ার শিক্ষা - ইত্যাদি বিভিন্ন সু - অভ্যাসগুলি শিশুর ব্যক্তিত্বের বিকাশে অপরিহার্য এবং এগুলি শিশু তার পরিবার থেকেই রপ্ত করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. প্রাক - প্রাথমিক শিক্ষা :- 
শিশুর প্রাক - প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তার পরিবারের মধ্যেই। বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয় , অক্ষরজ্ঞান , বিভিন্ন শব্দের সঙ্গে পরিচিত হওয়া , সংখ্যার সঙ্গে পরিচয় - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা শিশু লাভ করে তার পরিবারের মধ্যেই এবং এর মাধ্যমেই শিশু ভবিষ্যৎ জীবনের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। 

৪. সংস্কৃতির শিক্ষা :- 
পরিবার হল সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। পরিবারের মাধ্যমে শিশু তার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। শিশুর ব্যক্তিত্বের যথার্থ বিকাশের ক্ষেত্রে সংস্কৃতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার শিশুকে তার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে একদিকে যেমন শিশুর ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায় , অন্যদিকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সংস্কৃতির সঞ্চালনের কাজ করে।          

৫. নৈতিকতার শিক্ষা :- 
শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ্য হল শিশুর মধ্যে নৈতিকতার বিকাশ ঘটানো। প্রতিটি শিশু তার পরিবার থেকে ঠিক - ভুল , ন্যায় - অন্যায়ের জ্ঞান পেয়ে থাকে নৈতিকতার আদর্শগুলি রপ্ত করতে পারে। 

৬. পরিবেশ পরিচয় :- 
পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক , পরিবেশে ঘটে চলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা - ইত্যাদি সম্পর্কে শিশুর প্রাথমিক কৌতূহল নিরসন করে পরিবার। পরিবারের মাধ্যমেই শিশু প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিচিত হতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. আত্মীয়তা :- 
পরিবারের মাধ্যমেই শিশু তার বিভিন্ন ধরণের আত্মীয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। বিভিন্ন ধরণের আত্মীয় এবং আত্মীয়তার রীতি , আত্মীয়তা সম্পর্কের ধরণ - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশু তার পরিবার থেকেই জ্ঞান অর্জন করে। 

৮. মূল্যবোধের শিক্ষা :- 
মূল্যবোধ প্রতিটি শিশুর আদর্শ জীবন বিকাশে সহায়তা করে এবং তার জীবনকে পরিপূর্ণ রূপ প্রদান করে। মূল্যবোধ সঠিকভাবে গড়ে না উঠলে শিশুর মধ্যে বিভিন্ন মানসিক ও ব্যক্তিত্বমূলক সমস্যা দেখা যায়। পরিবার থেকে প্রতিটি শিশু মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করে। 

৯. বৃত্তিমূলক শিক্ষা :-
প্রতিটি পরিবার বিভিন্ন পেশা বা বৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকে। শিশু ছোটবেলা থেকেই পরিবারের বড়দের বৃত্তিমূলক কাজকর্ম দেখে এবং একটি নির্দিষ্ট বৃত্তি বা পেশা সম্পর্কে অবগত হয়। তার এই অভিজ্ঞতা শিশুর পরবর্তী জীবনে বৃত্তিমূলক দক্ষতার উৎকর্ষতার উপাদান হয়ে ওঠে। 

১০. ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা :- 
ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা প্রতিটি শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশু তার পরিবার থেকে ধর্মবিশ্বাস , ধর্মীয় রীতিনীতি , ধর্মীয় উপাখ্যান , ধর্মতত্ত্ব - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা লাভ করে। 

পরিশেষে বলা যায় , শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয় তার পরিবারের মধ্যেই। সামাজিকীকরণসহ অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শিশুর জীবনে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো  
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার পার্থক্যগুলি আলোচনা কর। 

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার তুলনামূলক আলোচনা। 




নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার পার্থক্য :-


নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার পার্থক্যগুলি হল - 

১. নিয়ন্ত্রণ :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সকল উপাদান সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত। এগুলি ব্যক্তি , সমাজ বা রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কোনোকিছুই নিয়ন্ত্রিত নয়। 

২. পাঠক্রম :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত পাঠক্রমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় এধরণের পাঠক্রম অনুপস্থিত। 

৩. সময়কাল :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সময়কাল সুনির্দিষ্ট। সাধারণতঃ এক বছর সময়কালকে একটি শ্রেণীগত পাঠদানের আদর্শ সময় হিসাবে বিবেচিত করা হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় এরকম কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল থাকেনা। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. নির্দিষ্ট বয়স :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রতিটি শ্রেণীতে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বয়স রয়েছে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় মানুষ পরিবেশ ও সমাজে থেকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষালাভের সুযোগ লাভ করে। 

৫. শিক্ষক :-
সকল প্রকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পরিচালিত হয় সুযোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা। পাঠদান , মূল্যায়ণ - সবকিছুই শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থী নিজের প্রয়োজন ও চাহিদামত নিজেই শেখে। এখানে শিক্ষক অনির্দিষ্ট ; আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। 

৬. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। শিক্ষার্থীর বৃত্তিমূলক , বৌদ্ধিক , সামাজিক , গণতান্ত্রিক , কৃষ্টিমূলক - সকল প্রকার চাহিদা পরিতৃপ্ত করাই হল নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রধান কাজ। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার এরকম কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকেনা। এখানে ব্যক্তি নিজ প্রয়োজন , চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করে। 

৭. আর্থিক বিষয় :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাতে বিদ্যালয় পরিচালনা , পাঠ্যপুস্তক , পরীক্ষা - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যায় হয়। রাষ্ট্র বা শিক্ষার্থী কর্তৃক সেই ব্যয় বহন করা হয়। তবে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাতে ব্যয়ের কোনো প্রশ্ন নেই বা ব্যয় হলেও তা নগন্য। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৮. শৃঙ্খলা :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় কঠোরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়। বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কোনো বিষয়ের প্রতিরোধে বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থী স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে শিক্ষা লাভ করে। ফলে এখানে শৃঙ্খলার প্রশ্নটি অর্থহীন। 

৯. গঠন :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। রাষ্ট্র , সমাজ বা ব্যক্তি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি গঠিত হয় এবং পরিচালিত হয়। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কর্তৃত্বকারী সকল সংস্থা পরস্পর সম্পর্কিত থাকে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ক্ষেত্রে বিষয়গুলি অনুপস্থিত। 

১০. শিক্ষাপদ্ধতি :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার শিক্ষা পদ্ধতি বিধিবদ্ধ। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার্থী ও পাঠক্রমের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেন শিক্ষক। পাঠদানের ক্ষেত্রে ত্বাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয়প্রকার পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় স্বয়ং শিখনের নীতি অনুসৃত হয়। 

১১. মূল্যায়ন :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার যাঁচাই করা হয় মূল্যায়নের মাধ্যমে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় মূল্যায়নের কোনো অস্তিত্ব নেই।           

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো       
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কাকে বলে ? অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্টগুলি আলোচনা কর।  

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট। 




অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ধারণা / সংজ্ঞা :-


অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বলতে শিক্ষার বিভিন্ন উপাদানগুলির উপর নিয়ন্ত্রবিহীনতা বোঝায়। আধুনিক শিক্ষার প্রধান চারটি মাধ্যম - শিক্ষার্থী , শিক্ষক , পাঠক্রম ও বিদ্যালয়। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার এই চারটি উপাদানের উপর প্রতিষ্ঠান , ব্যক্তি ও রাষ্ট্র - কেউই সরাসরি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেনা। অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল সেই ধরণের শিক্ষা যা কোনোকিছুর নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ব্যক্তিজীবনে সংগঠিত হতে পারে। 

শিক্ষাবিদ কুম্বস বলেছেন মানুষ নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবে যা কিছু শিক্ষা অর্জন করে - তা'ই হল অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা। 
কোঠারি কমিশনের সম্পাদক জে পি নায়েক বলেছেন - মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমাজ ও পরিবেশ থেকে যা কিছু শেখে তা'ই হল অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা। 

অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্ট :- 


অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্টগুলি হল - 

১. নিয়ন্ত্রণবিহীনতা :-
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রধান বৈশিষ্ট হল নিয়ন্ত্রণবিহীনতা। এখানে শিক্ষার্থী তার পরিবেশ , সমাজ , প্রতিষ্ঠান - ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিয়ন্ত্রণবিহীনভাবে শেখে। এমনকি , শিক্ষার্থী যা কিছু শেখে এবং তার মূল্যায়ণ - ইত্যাদি কোনো ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়না। 

২. জীবনব্যাপী :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বয়সের একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত সংগঠিত হয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল জীবনব্যাপী। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার পরিবেশ ও সমাজ থেকে শেখে এবং সেই অভিজ্ঞতার দ্বারা নিজের বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটায়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. পাঠক্রমের অনুপস্থিতি :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় নির্দিষ্ট কোনো পাঠক্রমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়না। এক্ষেত্রে মানুষের সমাজ ও পরিবেশ সবকিছুই তার পাঠক্রমের অংশ। এক্ষেত্রে মানুষ নিজ প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করতে পারে। 

৪. শিক্ষকের প্রয়োজনহীনতা :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষকের উপস্থিতি নিষ্প্রয়োজন। এখানে মানুষ নিজেই শেখে এবং নিজেই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে। সাধারণতঃ পরিবার , গণমাধ্যম , বন্ধুগোষ্ঠী , বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান , প্রকৃতি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলি হল অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার প্রধান মাধ্যম। 

৫. পূর্বপরিকল্পনাহীন :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার কোনো কিছুই পূর্বপরিকল্পিত বা সুচিন্তিত নয়। মানুষ এখানে শেখে সমাজ থেকে এবং তার পরিবেশ থেকে। তাই অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় পূর্বপরিকল্পনার কোনো অবকাশ নেই। মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে নিজের প্রয়োজন অনুসারে শেখে। 

৬. পাঠ্যপুস্তকের অনুপস্থিতি :-
যেহেতু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় কোনোরূপ পাঠক্রমের উপস্থিতি থাকেনা , তাই নিদিষ্ট পাঠ্যপুস্তকের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়না। মানুষ এখানে নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠ্য পুস্তক নির্বাচন করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. মূল্যায়ণ ও পরীক্ষার অনুপস্থিতি :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়না। মানুষ তার অভিজ্ঞতা নিজ বিকাশ ঘটাতে এবং উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করে। 

৮. নির্দিষ্ট শিক্ষাস্তরের অনুপস্থিতি :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় নির্দিষ্ট শিক্ষাস্তর থাকে। একজন শিক্ষার্থী একটি শ্রেণী থেকে অপর শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় এরূপ কোনো শিক্ষাস্তরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে তার প্রয়োজনমতো যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। 

৯. স্বাধীনতা :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রায় স্বাধীন। এখানে শিক্ষার্থী নিজ সামর্থ্য ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে। বিষয় নির্বাচন , শিখন , শিক্ষা - পরিকল্পনা , শিক্ষার লক্ষ্য নির্দিষ্টকরণ - ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রেই শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। 

১০. কৃত্রিমতাবিহীন :- 
অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল কৃত্রিমতাবিহীন স্বাভাবিক শিক্ষা। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার মত কোনোকিছুই এখানে শিক্ষার্থীর উপর কৃত্রিমভাবে আরোপ করা হয়না। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে ও স্বাভাবিকভাবে নিজ প্রয়োজন অনুসারে শিক্ষা অর্জন করে।    

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কাকে বলে ? নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্টগুলি আলোচনা কর। 

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট। 



নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ধারণা ও সংজ্ঞা :- 


শিক্ষার বিভিন্ন রূপগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল সর্বাধিক গৃহীত এবং বিজ্ঞানসম্মত একটি ব্যবস্থা। এককথায় প্রথাগত শিক্ষা বা প্রতিষ্ঠানগত শিক্ষাকেই নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বলা হয়। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার সকল উপাদান সুনিয়ন্ত্রিত। এই ধরণের ব্যবস্থায় শিক্ষক , শিক্ষার্থী , পাঠক্রম ও বিদ্যালয় - সকল উপাদানগুলিই সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীর বয়স , পাঠক্রম , শিক্ষণ পদ্ধতি , পরীক্ষা ও মূল্যায়ন - ইত্যাদি সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিত। শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্যও পূর্বনির্ধারিত। 

কোঠারি কমিশনের সম্পাদক জে পি নায়েক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বলতে সেই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বুঝিয়েছেন যা সুনির্দিষ্ট ও সুসংবদ্ধ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়।    

অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল যেখানে শিক্ষার প্রতিটি মুখ্য ও গৌণ উপাদানগুলি নিয়ন্ত্রিত এবং এই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ক্রমোচ্চ বিন্যাসে সজ্জিত। 

নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্ট :- 


নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার বৈশিষ্টগুলি হল - 

১. বিদ্যালয় :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে। সমাজে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরণের বিদ্যালয় রয়েছে। যেমন , প্রাথমিক বিদ্যালয় , মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ইত্যাদি। বিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে প্রদত্ত নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা স্বীকৃত নয়। 

২. শিক্ষক :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পরিচালনার মূল দায়িত্বে থাকেন শিক্ষক। পাঠক্রম এবং বিষয় অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষকের উপস্থিতি প্রতিটি বিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা যায়। কেবলমাত্র যোগ্য শিক্ষকেরাই নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয়ে পাঠদানের সুযোগ পান। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষক পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. পাঠক্রম :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত পাঠক্রমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শ্রেণীকক্ষের সকল প্রকার পঠন - পাঠন ও মূল্যায়ন সার্বিকভাবে পাঠক্রম নির্দিষ্ট। শিশুর যোগ্যতা ও চাহিদার ভিত্তিতে পাঠক্রম রচিত হয়। 

৪. নির্দিষ্ট বয়স :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী বা পাঠক্রমের জন্য শিক্ষার্থীর বয়স নির্দিষ্ট থাকে। উপযুক্ত বয়সের শিক্ষার্থীরাই নির্দিষ্ট শ্রেণীতে পঠন পাঠনের সুযোগ পায়। যেমন বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার বয়স ছয় বছর। 

৫. মূল্যায়ন ও পরীক্ষা :- 
সকল প্রকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যায়ন ও পরীক্ষা হল একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাঁচাই করা হয়। বর্তমানে এককালীন পরীক্ষার পরিবর্তে সারা বছর ধরে মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। 

৬. নির্দিষ্ট লক্ষ্য :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই লক্ষ্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল - বৃত্তিমূলক লক্ষ্য , সামাজিক লক্ষ্য , নৈতিকতার লক্ষ্য , গণতান্ত্রিক লক্ষ্য - ইত্যাদি। এই সকল প্রকার লক্ষ্যের প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। 

৭. শৃঙ্খলা :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কঠোর শৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়। পঠন - পাঠনে অংশগ্রহণ , সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী , শ্রেণী - শিক্ষণ , মূল্যায়ন - ইত্যাদি সবকিছুই পরিচালিত হয় কঠোর শৃঙ্খলার মাধ্যমে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামান্য ঘটনাও শিক্ষক - ছাত্র কারো কাছ থেকেই কাম্য নয়। 

৮. নিয়মিত উপস্থিতি :-
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক , শিক্ষার্থী সকলেরই নিয়মিত উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। অযথা অনুপস্থিতিকে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। এছাড়া নিয়মিত উপস্থিত না থাকলে শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষতা বাধাপ্রাপ্ত হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৯. শিক্ষক - শিক্ষার্থী সম্পর্ক :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শ্রেণী শিক্ষণে ছাত্রদের কাছ থেকে সরাসরি ফিডব্যাক পাওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট পাঠের কোন কোন অংশে দুর্বল তা শিক্ষকেরা সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। 

১০. পরিবর্তনশীলতা :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষার বিভিন্ন উপাদানগুলি পরিবর্তনশীল। যেমন পাঠক্রম , শিক্ষণ - পদ্ধতি , পরীক্ষা পদ্ধতি , সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়গুলি সময় ও স্থানভেদে পরিবর্তনশীল। 

১১. পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভরশীলতা :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তক একটি অপরিহার্য অঙ্গ। সামগ্রিক পঠন - পাঠন এবং জ্ঞানার্জন সংগঠিত হয় পাঠ্যপুস্তকের ভিত্তিতে। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় পাঠক্রম তার বাস্তব রূপ পায় পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে।       

১২. রাষ্ট্রের ভূমিকা :- 
নিয়ন্ত্রিত শিক্ষালয়গুলি পরিচালনা , শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ , আর্থিক সংস্থান , পরীক্ষা পরিচালনা , শিক্ষক শিক্ষণ ও শিক্ষক নিয়োগ , বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রদান , বিদ্যালয় নির্মাণ - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র সরাসরি নিজ কর্তৃত্ব আরোপ করে। এমনকী , বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত শর্তগুলি মেনে চলতে বাধ্য থাকে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (66)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • August 2025 (2)
  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates