Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

The Erosion of River Ganges in Malda District : A Report. 

A Report on Erosion in the River Ganges in Malda District. 



The Erosion of River Ganges in Malda District : A Report. 


The monsoon has a special feature in North Bengal, especially in Malda district. That form is much more terrible. In order to realize the rainy season Malda, which is out of sight of poets, tourists or city dwellers who are fascinated by the delicious hilsa of Ganga-Padma in the endless stream of Ashar-Shravan, we have to look towards river erosion here and especially towards erosion of Ganga river.

In 1998, three months of continuous floods in Malda destroyed property worth about 878.58 crore. Thousands of people have lost their homes and become Internally Displaced Persons. In the last three decades of the twentieth century (1989-1999), about 4.5 lakh people were affected by the erosion of the left bank of the Ganges in Malda district.

But the problem did not end there. River erosion from the ‘’ Bhutni ‘’  region of Malda district to Kaliachak has caused extensive damage year after year. Hundreds of acres of land in Ratua, Manikchak, English Bazar, Vaishnava Nagar, Motha Bari and Kaliachak areas have been washed away by the river Ganges. 

A survey by the Ganges Erosion Prevention Action Citizens Committee found that 750 sq km of Kaliachak and Manikchak had been damaged. The demolition affected 60 primary schools and 14 high schools in the region. Year after year, about 40,000 families have been affected by the erosion of the Ganges.

Displaced people of Kakribona, Zhaobona, Gopalpur and Rahimpur gram panchayats of Kaliachak No. 2 block affected by the erosion of the Ganges have formed 'Ganga Erosion Prevention Citizens Committee' to alleviate their crisis. This committee has been trying to get the attention of the government for decades. Residents of villages submerged in the Ganges are losing agricultural land and migrating to foreign countries in the hope of earning a living.

In 2016, floods started in the northwestern part of Malda (mainly Ratua No. 1 and Ratua No. 2 block). During 2016-17, many acres of land in Mahananda Tola, Bilaimari and Mahan Tola areas have been washed away by the river. In the rainy season of 2021, the erosion in Manikchak region has again taken a terrible form. Many villages are gradually being wiped off the map as a result of erosion in the Ganges. The number of people displaced by the crisis is increasing.

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

গ্রামীণ দারিদ্রতার কারণগুলি আলোচনা কর। গ্রামীণ দারিদ্রতা দূরীকরণের উপায় সম্পর্কে আলোচনা কর। 

গ্রামীণ দারিদ্রতা সম্পর্কে আলোচনা কর।

Discuss the causes of rural poverty. Discuss ways to alleviate rural poverty. ( In Bengali ) .  




গ্রামীণ দারিদ্রতা :- 


ভারতীয় জনজীবনে গ্রাম একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ হিসাবে অবস্থান করে। আজও ভারতে মোট ভৌগোলিক আয়তনের ৭৪ - ৮০ শতাংশ গ্রাম। ভারতের জাতীয় আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে কৃষিক্ষেত্র থেকে। ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছেন। অথচ গ্রামীণ জনজীবনের প্রায় ৫০% মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। এর প্রধান কারণ হল প্রায় ৭০% কৃষিজমি মাত্র ১২% কৃষকের মালিকানাধীন রয়েছে। ফলে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যাই বেশি - যা গ্রামীণ দারিদ্রতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এমনকী , কৃষি সমৃদ্ধ পাঞ্জাব - হরিয়ানা অঞ্চলেও প্রায় ৩০% মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

গ্রামীণ দারিদ্রতার কারণ :- 


১. বিশেষভাবে গ্রামীণ দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য সরকার কর্তৃক বহু ব্যবস্থা গৃহীত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় এবং তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়। ফলে সরকারের সদিচ্ছা থাকা স্বত্তেও গ্রামীণ দারিদ্রতা দূরীকরণ কর্মসূচীগুলি গ্রামীণ দারিদ্রতার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। 

২. গ্রামীণ কৃষকদের মধ্যে একটি বিরাট অংশ ভূমিহীন। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় মোট কৃষিজমির প্রায় ৭০ শতাংশ জমি মাত্র ১২ শতাংশ কৃষকের মালিকানাধীন রয়েছে। ফলে কৃষিক্ষেত্রে ভারত স্বয়ম্ভর হলেও বেশিরভাগ কৃষক কৃষিক্ষেত্র থেকে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে পারেন না। 

৩. জলবায়ুগত প্রতিকূলতা ভারতীয় গ্রামীণ দারিদ্রতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি অন্যতম কারণ। এমন বহু রাজ্য আছে যেখানে নিয়মিত বৃষ্টিপাত হয়না বা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হয়। যথেষ্ট বৃষ্টিপাতের অভাব কৃষিক্ষেত্রকে সরাসরি প্রভাবিত করে। 

৪. ভারতের বহু গ্রামে আজও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়নি। আবার এমন বহু গ্রাম আছে যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হলেও তা সঠিকভাবে পরিচালিত করা হয়না বা তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে কৃষিজ উৎপাদনের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ অপরিহার্য। ফলে বহু গ্রামে বিদ্যুতের অভাবে কৃষিজ উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং গ্রামীণ দারিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। 

৫. কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক ও উন্নত যন্ত্রপাতির অভাব কৃষি উৎপাদনকে ব্যাহত করে। আজও ভারতের বেশিরভাগ জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়না। কৃষকদের অর্থিক দুরবস্থার কারণে তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে ব্যর্থ হন। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৬. বিকল্প কৃষির অভাব ভারতের গ্রামীণ দারিদ্রতার অপর একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। ভারতীয় কৃষি সম্পূর্ণভাবে জমির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিকল্প হিসাবে হাঁস - মুরগি প্রতিপালন , মৎস্য চাষ , ফ্লোরিকালচার - ইত্যাদি বিষয়গুলি ব্যাপকভাবে শুরু করা যায়নি। 

৭. গ্রামীণ শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংক থেকে ঋণ প্রাপ্তির ব্যাপারে সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও চড়া হারে সুদ - ইত্যাদির জন্য কৃষকেরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

৮. গ্রামীণ জনসমাজ সর্বদাই সাক্ষরতার দিক দিয়ে পিছিয়ে। বিশেষ করে নারীশিক্ষার হার গ্রামীণ জনসমাজে অত্যন্ত কম। শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ার ফলে কৃষি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়না। এটিও গ্রামীণ দারিদ্রতার একটি কারণ। 

৯. ভারতীয় গ্রামগুলিতে আজও আধা - সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা বর্তমান। এই ধরণের ব্যবস্থায় দরিদ্র কৃষকেরা সর্বদাই শোষিত হন। সুদখোর মহাজন , পণ্যের দালাল - ইত্যাদি সম্প্রদায়ের কারণে গ্রামীণ কৃষকদের অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। 

১০. এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ - খরা , বন্যা , অতিবৃষ্টি ; মৌসুমী বায়ুর উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা ; অপ্রতুল স্বাস্থ্য পরিষেবা , ধর্মান্ধতা , কুসংস্কার , সংকীর্ণতাবোধ , চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গি , জাত - পাতের রাজনীতি , জোতদারদের অত্যাচার ও শোষণ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় ভারতীয় গ্রামগুলিকে পিছিয়ে রেখেছে এবং দারিদ্রতা বিকাশের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

গ্রামীণ দারিদ্রতা দূরীকরণের উপায় :- 


(ক ) গ্রামীণ হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের প্রসার এবং এজন্য সরকার কর্তৃক প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ। 
(খ ) শিল্প ও কৃষির বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে কার্যকরী বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন। 
(গ ) বিকল্প কৃষিজ উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ। 
(ঘ ) সার্বিক সাক্ষরতার বিস্তার ; বিশেষ করে নারী শিক্ষার উপর জোর দেওয়া। 
(ঙ ) গ্রামীণ দারিদ্রতা দূরীকরণের কর্মসূচিগুলিকে আরও সুসংবদ্ধ রূপ প্রদান করে তাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করা। 
(চ ) দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী অসহায় পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের দারিদ্রতা মোচনের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা। 
(ছ ) পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা , পানীয় জল , শিক্ষা - স্বাস্থ্য ইত্যাদির উন্নতি করতে হবে। 
(জ ) দারিদ্রতা দূরীকরণ কর্মসূচিগুলিকে জনমুখী করে তুলতে গ্রামীণ জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। 
(ঝ ) স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করে মা ও শিশুর সার্বিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। 
( ঞ ) কৃষি ছাড়া অন্যান্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। 
(ট ) দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চয়েত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।       

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো    
       
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

দারিদ্রতার সংজ্ঞা দাও। গ্রামীণ সমাজে দারিদ্রতার প্রভাব আলোচনা কর।  

দারিদ্রতা কীভাবে গ্রামীণ জনসমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে ? 

Define poverty. Discuss the impact of poverty in rural society. ( In Bengali ) .  



দারিদ্রতার সংজ্ঞা :- 


দারিদ্রতা হল একটি অবস্থা। যখন কোনো ব্যক্তি নিজের এবং নিজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয় - তখন সেই ব্যক্তির সেই অবস্থাকে দারিদ্রতা বলা হয়। 

বা , বলা যেতে পারে , ব্যক্তির যা পাওয়ার দরকার আছে ও যা আছে - তার মধ্যে পার্থক্য তৈরী হলে সেই অবস্থাকে দারিদ্রতা বলা হয়। 

দারিদ্রতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে সমাজতত্ববিদ গোডার্ড বলেছেন , দারিদ্রতা হল ব্যক্তির সেই অবস্থা - যার ফলে ব্যক্তি নিজের ও নিজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে। 

দারিদ্রতা বিষয়টি আপেক্ষিক। অর্থাৎ এটি কোনো নির্দিষ্ট সমাজের ব্যক্তিবর্গের জীবনযাত্রার উপর নির্ভরশীল। কেননা , সকল সমাজে জীবন যাত্রার মান একই ধরণের হয়না। ধরা যাক A নামক ব্যক্তি B নামক ব্যক্তির তুলনায় বেশি রোজগার করেন। সেক্ষেত্রে B ব্যক্তি A ব্যক্তির তুলনায় দরিদ্র। আবার C ব্যক্তি B ব্যক্তির তুলনায় কম রোজগার করেন। সেক্ষেত্রে C ব্যক্তি B ব্যক্তির তুলনায় দরিদ্র। 

তবে সাধারণভাবে , দারিদ্রতা বলতে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের যোগানের অক্ষমতাকেই বোঝানো হয়। এই অবস্থা ব্যক্তির জীবনে প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করে এবং জীবনধারণের ন্যূনতম মান বজায় রাখতে অক্ষম করে তোলে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

গ্রামীণ সমাজে দারিদ্রতার প্রভাব :- 


১. নিরক্ষরতা বৃদ্ধি :- 
গ্রামীণ দারিদ্রতার প্রভাবে গ্রামীণ সমাজে নিরক্ষরতা বৃদ্ধি পায়। চরম দারিদ্রতা ব্যক্তিকে শিক্ষা গ্রহণের তুলনায় অর্থ উপার্জন করা যায় - এমন বৃত্তিমূলক কর্মে নিজেকে নিযুক্ত করতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ফলে শিক্ষার প্রসারের জন্য বহুবিধ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এইভাবে দারিদ্রতা গ্রামীণ নিরক্ষরতা বৃদ্ধি করে। 

২. শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি :- 
দারিদ্রতার কারণে বহু শিশু পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণ না করে শিশু শ্রমিকে পরিণত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের অভিভাবকগণ চরম দারিদ্রতার তাড়নায় শিশুদেরকে শ্রমে নিযুক্ত করতে বাধ্য হন। এই সকল শিশু শ্রমিকেরা সারা ভারতে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিযুক্ত হয়। 

৩. বেকারত্ব বৃদ্ধি :- 
অতিরিক্ত দারিদ্রতা পক্ষান্তরে বেকারত্বের জন্ম দেয়। অতিরিক্ত দারিদ্রতার ফলে মানুষ উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনা , বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেনা এমনকী ন্যূনতম মূলধন প্রয়োগ করে আর্থিক আয়ের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনা। ফলে খুব সহজেই মানুষ বেকারত্বের শিকার হয়ে পড়ে। 

৪. নারীপাচারের সংখ্যা বৃদ্ধি :- 
সমাজে দারিদ্রতা বৃদ্ধির ফলে ভারত , বাংলাদেশ , নেপাল , ভুটান - এইসকল উন্নয়নশীল দেশ থেকে নারী পাচারের সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্রতা অসহায় নারীদের খুব সহজেই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করতে অনুপ্রাণিত করে। 

৫. গ্রামীণ অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি :- 
চরম দারিদ্রতার শিকার হওয়ার ফলে গ্রামীণ ক্ষেত্রে মানুষের অপরাধ প্রবণতা ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। গ্রামীণ ক্ষেত্রে যেহেতু কর্মসংস্থানের সুযোগ কম , তাই দারিদ্রতার শিকার হয়ে মানুষ অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকে একমাত্র পথ বলে মনে করে। এইভাবে দারিদ্রতা গ্রামীণ অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৬. উন্নয়ন ব্যাহত :- 
গ্রামীণ এলাকার অধিক সংখ্যক মানুষের দারিদ্রতার কারণে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ব্যাহত হয়। বহুসংখ্যক মানুষের দারিদ্রতার কারণে কর বাবদ সরকারের আয় কম হয় এবং অন্যদিকে দরিদ্র জনসাধারণের জন্য সরকারকে বিভিন্ন ধরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। ফলে জাতীয় আয়ের একটি বিরাট অংশ ব্যয় হয়ে যায়। এইভাবে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কর্মসূচির পরিবর্তে দরিদ্র মানুষের ন্যুনতম চাহিদা পূরণ করাটাই অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। 

৭. পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি :- 
গ্রামীণ দারিদ্রতার কারণে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। গ্রামীণ এলাকায় যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় গ্রামীণ বেকার জনসাধারণ শহরে বা ভিন্ন রাজ্যে শ্রমিক হিসাবে নিজেকে নিযুক্ত করেন। বহু সংখ্যক মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে গ্রামীণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য ব্যাহত হয়। 

৮. স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি :- 
গ্রামীণ এলাকায় মানুষের সার্বিক দারিদ্রতার কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হয়। অর্থের অভাবে মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে সমস্ত রকমের রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত থাকেনা। এই অবস্থায় বহু মানুষকে বিনা চিকিৎসায় জীবন অতিবাহিত করতে হয়। 

৯. নৈতিকতার অবনমন :- 
গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্রতার ফলে মানুষের মধ্যে নৈতিক অবনমন ঘটে। প্রবল দারিদ্রতার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষ নৈতিকতা ভুলে গিয়ে ঠিক - ভুল সমস্ত রকম পথ অবলম্বন করে অর্থ উপার্জনের জন্য। এইভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে নৈতিকতার অবনমন জাতীয় ঐক্য ও সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রশ্নের সম্মুখে ঠেলে দিয়েছে। 

১০. ন্যূনতম জীবন যাত্রার মান বজায় রাখতে না পারা :- 
চরম দারিদ্রের কবলে পড়ে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ জীবন যাত্রার ন্যূনতম মান বজায় রাখতে অক্ষম হয়। খাদ্যের অভাব , পরিধানের অভাব , স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব , শিক্ষার অভাব , ঋণগ্রস্থতা - ইত্যাদি বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয়গুলি গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে। 

পরিশেষে বলা যায় , দারিদ্রতার প্রভাব শহর ও গ্রামীণ জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে। গ্রামীণ জীবনযাত্রায় দারিদ্রতা মানুষের সার্বিক বিকাশ ব্যাহত করে। যেহেতু গ্র্রামীন জনসংখ্যা প্রায় সম্পূর্ণভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল থাকে ; ফলে কর্মসংস্থানের বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ফলে গ্রামীণ দারিদ্রতা মোচনের বিষয়টি তুলনামূলক জটিল হয়ে পড়ে। গ্রামীণ দারিদ্রতা একসঙ্গে অনেকগুলি সামাজিক সমস্যার জন্ম দেয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Generation Gap : An Editorial Column. 

Essay on Generation Gap - above 500 words. 


Generation Gap : The new crisis of the present world. 

The nature of the relationship between the two generations is changing in modern families. The absolute authority of the parents over the son or daughter and the loyalty of the child to the parents is not very noticeable these days. The mental gap between these two generations is widening. This gap becomes apparent around any reform or decision. This is known as Generation Gap.

It goes without saying that the new generation does not value the customs and traditions of the old generation. In this way, parents are considered conservative or conservative. Sons-daughter loyalty or attraction is decentralized to various subordinate organizations or institutions outside the family. Ignoring family ties or family authority is causing unwanted conflict, both emotionally and practically.

We spend the first half of our life trying to understand the older generation and the second half to understand the younger generation. Every age has its own way of looking at things and it is these changes in perceptions that create the generation gap. There has always been an opposition, implicit or explicit, between the old and the young. The old people, having seen much of the life, consider their experience and wisdom as infallible and tend to dictate the young according to their own ideas and notions.. They forget that the world is a whole generation older than what it was in their younger age. Failing to adjust themselves to the rapidly changing world, they find it very difficult to accept anything that does not conform to their perceptions.

Every age or generation must be free to act for itself. The dreams, ideologies, values and aspirations of the young and the old will always differ. The old generation stands for traditional values, social norms and moral codes of conduct which the young cannot readily accept. They make their own analysis of good or bad, right or wrong and clamour for changes in the whole socio-economic set-up. They are against anything that suppresses their individuality. They struggle to mould their lives and actions according to their own perceptions, while the old generation discards and denounces them for being rash, thoughtless and irrational. The conflicting ideologies of the two generations thus cause frustration and tension among the youth and fury and anxiety among the old. The generation gap thus continues to grow.

In keeping with the laws of nature, the old must yield place to the new and allow them to build a world of their dreams in their own way.

Although the generation gap is not a social problem nowadays, its position in society is clear. This creates a kind of distance in the mental, practical and thought world of one generation with another; One generation is unable to adapt to the policies, norms, social values, way of life, etc. of the other generation. In order to bridge this mental distance in general, the older generation will try to understand the hopes and aspirations of the new generation; In the same way, the new generation will try to understand the values ​​of the old generation.

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

আত্মীয়তার সংজ্ঞা দাও। আত্মীয়তার সম্পর্কের গুরুত্ব আলোচনা কর। 

আত্মীয়তা বন্ধন কাকে বলে ? আত্মীয়তা বন্ধনের গুরুত্ব আলোচনা কর। 

আত্মীয়তার সংজ্ঞা ও গুরুত্ব। 

Define kinship. Discuss the importance of kinship . ( In Bengali ) . 




আত্মীয়তার সংজ্ঞা / ধারণা :- 


আত্মীয়তা একটি বিশ্বজনীন বিষয়। সারা পৃথিবীর প্রতিটি সমাজে আত্মীয়তার সম্পর্কের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মূলতঃ তিনভাবে - রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে , বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ও সামাজিকভাবে। এর মধ্যে রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি প্রজন্মের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতেও দুটি পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তা রচিত হয়।  

আত্মীয়তা হল সম্পর্কের এক জাল বিশেষ। আত্মীয়তা বন্ধনের সংজ্ঞা উল্লেখ করতে গিয়ে রবিন ফক্স উল্লেখ করেছেন , আত্মীয়তার বন্ধন হল বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক যা রক্তের সম্পর্ক , বৈবাহিক সম্পর্ক এবং সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

আত্মীয়তা সম্পর্কের গুরুত্ব :- 


আত্মীয়তা সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত নীতিগুলির মধ্যে একটি। এটি প্রতিটি সমাজে পাওয়া প্রাচীনতম এবং প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। এই প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। সমস্ত সমাজের ব্যক্তিরা একে অপরের সাথে বিভিন্ন ধরণের বন্ধনে আবদ্ধ। আত্মীয়তা সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল। 

১. আত্মীয়তা ব্যবস্থা সম্পর্কের মধ্যে ঐক্য, সম্প্রীতি ও সহযোগিতা বজায় রাখে।

২. আত্মীয়তা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এবং মিথস্ক্রিয়ার জন্য নির্দেশিকা প্রদান করে।

৩. বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে আত্মীয়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আত্মীয়তার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। আত্মীয়তার সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় কার সাথে বিয়ে করা যাবে এবং কার সাথে বিয়ে করা যাবেনা। 

৪. আত্মীয়তা বিভিন্ন আত্মীয়ের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং সামাজিকীকরণ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও আত্মীয়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
 
৫. আত্মীয়তা সামাজিক জীবনের একটি প্রহরী হিসাবে কাজ করে। গ্রামীণ অঞ্চলে বা উপজাতীয় সমাজে আত্মীয়তা পরিবারের অধিকার ও বাধ্যবাধকতাকে সংজ্ঞায়িত করে। 

৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক মানুষকে একে অপরের সাথে তাদের সম্পর্ক আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটি সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিকাশ করে এবং সমাজে একে অপরের সাথে আরও ভালভাবে সম্পর্কযুক্ত করতে সহায়তা করে।

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. আত্মীয়তা ব্যক্তিদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণ করে. এটি পিতা-কন্যা, ভাই-বোন ইত্যাদির মধ্যে সঠিক, গ্রহণযোগ্য ভূমিকার সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করে।

৮.  আত্মীয়তা পারিবারিক সম্পর্ক , গোত্র এবং কুল নির্ধারণ করে।

৯. আত্মীয়তা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মীয় রীতিতে সদস্যদের অধিকার ও বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

১০. আত্মীয়তা ব্যবস্থা সম্পর্কের সংহতি বজায় রাখে। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে কীরূপ আচরণ করা উচিত - সে বিষয়ে নির্দেশিকা প্রস্তুত করে আত্মীয়তা।  

১১.  গ্রামীণ ও উপজাতীয় সমাজে আত্মীয়তা বা আত্মীয়তার সম্পর্ক পরিবার এবং বিবাহ, উৎপাদন ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকার ও বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে।

১২. আত্মীয়তা তার বিভিন্ন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন আত্মীয়ের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ আত্মীয়তা ব্যক্তির আচরণের নিয়ন্ত্রক। 

১৩. আত্মীয়তা এবং এর ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মীয়দের মধ্যে বিশেষ দল বা গোষ্ঠী তৈরি করে। যেমন কাকাতুতো , মামাতো , পিসতুতো ভাই - বোনেদের মধ্যে এক বিশেষ ধরণের আমরা বোধ বা গোষ্ঠী বোধ লক্ষ্য করা যায়। 

১৪. আত্মীয়তার নিয়ম আত্মীয়দের মধ্যে ভূমিকা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। আত্মীয়তার সম্পর্ক পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা নির্দিষ্ট করে দেয়। 

১৫. আত্মীয়তা জমির মালিকানা, সম্পদের ধারণা এবং উৎপাদন ব্যবস্থা এবং এর ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। আত্মীয়তার ভিত্তিতেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারিত হয়। 

পরিশেষে বলা যায় , আত্মীয়তা হল সামাজিক প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি অন্যতম প্রক্রিয়া যা সম্পর্কের বন্ধন নির্ধারণ করে এবং সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমানে আত্মীয়তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবিধ পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্কের পরিবর্তন সামাজিক পরিবর্তনকেও সূচিত করে।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণ সম্পর্কে আলোচনা কর। 

Discuss organized violence against women.


নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণ :- 


নারীদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণ বিভিন্ন সমাজে বিভিন্নভাবে প্রচলিত। বর্তমান যুগেও নারীরা তাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পান নি। নারীদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরণ সংগঠিত করার মূল কারণ হল সমাজে পুরুষতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা ও বিকৃত মানসিকতা। নারীদের মর্যাদাগত উন্নতির লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্দোলন , বিভিন্ন আইন ও বিভিন্ন সমাজ সংস্কারের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা বদলালেও নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়নি। নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিভিন্ন হিংসাত্মক আচরণগুলি হল - 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১. পারিবারিক হিংসা :- 
নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল পারিবারিক হিংসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক হিংসাগুলির কোনো রিপোর্ট করা হয়না - তাই এগুলি সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যান প্রদান করা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ পরিবারগুলিতেই নারীদের স্বাধীনতা অস্বীকার করা হয়। উদয়াস্ত পরিশ্রম , শারীরিক নিগ্রহ - এগুলি তাদের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়। এই ধরণের পারিবারিক হিংসাগুলির কোনো প্রতিকার হয়না। 

২. পণ সংক্রান্ত হিংসাত্মক আচরণ :- 
আইন করে পণপ্রথা বন্ধ করে দেওয়া হলেও বহু ক্ষেত্রে পণপ্রথা আজও সমানভাবে প্রচলিত। প্রায় প্রতিদিন পণের দায়ে বধূহত্যার খবর দেখা যায় সংবাদ শিরোনামে। অনেক ক্ষেত্রেই বিবাহের সময় পণ না নেওয়া হলেও বিবাহের পর বিভিন্ন অজুহাতে পণ দাবী করা হয়। পাত্রপক্ষের দাবীমত পণ প্রদান করতে না পারলে বধূর উপর নেমে আসে নিদারুন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এমনকি বহুক্ষেত্রে এই অত্যাচার বধূহত্যা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। ১৯৬১ সালে পণপ্রথা বেআইনি বলে ঘোষিত হলেও আজো এর কুপ্রভাব থেকে নারীরা সম্পূর্ণ মুক্তি পাননি। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. কন্যাভ্রূণ ও শিশুকন্যা হত্যা :- 
আজ গর্ভের মধ্যস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তবুও কিছু অসাধু উপায়ে বহু ক্ষেত্রে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং বহু ক্ষেত্রে সেই ভ্রূণ কন্যাভ্রূণ হলে তা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। ভ্রূণ হত্যা ছাড়াও কন্যাশিশু হত্যা , কন্যা সন্তান জন্ম দিলে কন্যা সহ মা'কে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া বা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া - ইত্যাদি ঘটনা আজও ঘটে চলেছে। এইভাবে বিপুল পরিমান কন্যাভ্রূণ ও কন্যাসন্তান হত্যা করার ফলে নারী পুরুষের অনুপাতের ক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

৪. যৌন নির্যাতন :- 
ধর্ষণ , শ্লীলতাহানি - এই সকল যৌন নির্যাতন প্রতিদিনই সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে আসে। এছাড়াও বহু শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে যা প্রকাশ্যে আসেনা। এই ধরণের ঘটনার সংখ্যাই বেশি। National Crime Record Bureau উল্লেখ করেছে ২০১২ সালে নারীধর্ষণের ঘটনা ২৪,৯২৩ টি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ৪৫,৩৫১ টি। এই ধরণের যৌন নির্যাতন নারীদের শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই বিধ্বস্ত করে তোলে। বহু ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণের অভাব - ইত্যাদি কারণে দোষীরা আইনের ফাঁক গলে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এই ধরণের ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। 

৫. অপহরণ ও নারীপাচার :- 
National Crime Record Bureau তথ্য প্রদান করেছেন ২০১২ সালে নারী অপহরণের ঘটনা ৩৮২৬২ টি। নারী অপহরণ ও নারীপাচারের বিষয়টি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। নারীদের অপহরণ করা হয় মূলতঃ দুটি কারণে - বিকৃত কামনা চরিতার্থ করার জন্য এবং নারী পাচারের জন্য। অপহরণ করে নারীদের বিভিন্ন শহরের পতিতালয়গুলিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই অন্ধকার জগৎ থেকে নারীদের বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়না এবং কিছু ক্ষেত্রে নারীদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সামাজিক কারণে এই সকল নারীদেরকে তাদের পরিবার ত্যাগ করে। নারীদের বিরুদ্ধে এটি একটি দুৰ্ভাগ্যপূর্ণ আচরণ। 

৬. নাবালিকাদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ :- 
বর্তমানে নাবালিকাদের প্রতি যৌন অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিকট বা দূরসম্পর্কের আত্মীয় , পাড়া - প্রতিবেশী , শিক্ষক বা গৃহশিক্ষক এমনকি পরিবারের পুরুষ সদস্যের দ্বারাও নাবালিকাদের প্রতি যৌন - নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। বহু ক্ষেত্রেই নাবালিকারা তাদের প্রতি ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কথা কাউকে বলতে পর্যন্ত পারেনা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের ভয় দেখানো হয় কাউকে না বলার জন্য। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. কর্মরতা নারীদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ :- 
কর্মরতা নারীদের কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ হিংসাত্মক আচরণের সম্মুখীন হতে হয়। চাকরি বজায় রাখা বা পদোন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীদের খুব সহজেই যৌন পণ্যে পরিণত করা হয়। কাজ পাইয়ে দেওয়া , সিনেমা বা দূরদর্শনে কাজের সুযোগ , এবং অন্যান্য আরো অনেক অসহায় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নারীদের যৌন দাসে পরিণত করা হয়। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে পুরুষ সহকর্মীদের বিভিন্ন বিকৃত আচরণ নারীদের সর্বদাই আতঙ্কিত করে রাখে। 

৮. অন্যান্য হিংসাত্মক আচরণ :- 
নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত উপরোক্ত হিংসাত্মক আচরণগুলি ছাড়াও অন্যান্য হিংসাত্মক আচরণগুলি হল - যুদ্ধকালীন যৌন অত্যাচার , বলপূর্বক গর্ভপাত , রাস্তা - পথে - ট্রেনে - বাসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও শ্লীলতাহানি , উশৃঙ্খল জনগণ দ্বারা যৌন হয়রানি , বলপূর্বক বিবাহদান , বলপূর্বক পতিতাবৃত্তি , সন্মান রক্ষার্থে হত্যা - ইত্যাদি। 

পরিশেষে বলা যায় , নারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হিংসাত্মক আচরণগুলি প্রাচীন সমাজ থেকেই চলে আসছে। আধুনিককালে এইসকল হিংসাত্মক আচরণ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন আইন প্রণীত হলেও তা যথেষ্ট প্রতিপন্ন হয়নি। তাই এবিষয়ে নারীদের সচেতনতা , বিশেষ শিক্ষার বিস্তার , সামাজিক সুরক্ষা , কার্যকর আইন প্রণয়ন - এইসকল বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো    

   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ভারতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচীগুলি আলোচনা কর।  

স্বাধীন ভারতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলি আলোচনা কর। 

Discuss various steps and programs to eradicate illiteracy in India. ( In Bengali ) . 



ভারতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি :- 


ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের অন্যতম প্রধান সমস্যাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নিরক্ষরতার সমস্যা। সেই সময়ে ভারতে সাক্ষরতার হার ছিল তলানিতে মাত্র ১৬.৬ শতাংশ । এরপর থেকে ভারতের নিরক্ষরতা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিগুলির জন্য ভারতের সার্বিক শিক্ষার প্রসারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। যদিও ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ। চিত্রটি আশাপ্রদ না হলেও ভারতে সাক্ষরতা কর্মসূচি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ভারতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপগুলি হল - 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১. কোঠারি কমিশন ১৯৬২-৬৪ :- 
ভারতে সার্বিক শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গঠিত হয় কোঠারি কমিশন। কোঠারি কমিশন ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতে সার্বিক শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করে। এই সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান হল - 
(ক ) বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত পরিবর্তন ঘটানো দরকার। 
(খ ) বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার। 
(গ ) শিক্ষাকে কর্মমুখী করে তোলার জন্য কর্ম অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব দেওয়া। 
(ঘ ) সমস্ত বিদ্যালয়গুলিকে কমন স্কুলে পরিণত করে আগামী ২০ বছরের মধ্যে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা। 
(ঙ ) প্রতি ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১ টি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা। 
(চ ) শিক্ষা প্রসারের কাজে গণমাধ্যমগুলিকে কাজে লাগানো। 

২. জাতীয় শিক্ষানীতি ১৯৬৮ :- 
কোঠারি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়। জাতীয় শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলি হল - 
(ক ) বয়স্ক শিক্ষার প্রসার। 
(খ ) প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন। 
(গ ) শিক্ষার প্রসারের জন্য গণমাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করা। 
(ঘ ) দূর শিক্ষার প্রসার। 
(ঙ ) নিরক্ষর শ্রমিকদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. জাতীয় বয়স্ক সাক্ষরতা প্রকল্প বা NAEP :- 
১৯৭৮ সালের ২ রা অক্টোবর জাতীয় বয়স্ক সাক্ষরতা প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়স্ক নিরক্ষর ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল - 
(ক ) বয়স্ক নিরক্ষর ব্যক্তিদের মধ্যে 3R এর জ্ঞান প্রদান। 
(খ ) নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বয়স্কদের সচেতন করা। 
(গ ) বয়স্কদের মধ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। 
(ঘ ) ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব তৈরী করা। 
(ঙ ) অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করা। 

৪. জাতীয় শিক্ষানীতি ১৯৮৬ :- 
১৯৮৬ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়। ভারতে সাক্ষরতার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশগুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জাতীয় শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলি ছিল - 
(ক ) সর্বস্তরের শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রথা - বহির্ভুত শিক্ষা ও দূরশিক্ষার প্রতি গুরুত্ব প্রদান। 
(খ ) ১৫ - ৩৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সাক্ষরতার প্রসার ঘটানো। 
(গ ) প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করা। 
(ঘ ) সংখ্যালঘুদের শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
(ঙ ) UGC , AICTE , NCERT - ইত্যাদি জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা। 
(চ ) অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রতি গুরুত্ব প্রদান। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৫. অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড :- 
১৯৮৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশক্রমে অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড নামক এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ব্ল্যাকবোর্ড শব্দটির দ্বারা প্রাথমিক স্তরের সমস্ত রকম শিক্ষা উপকরণগুলিকে বোঝানো হয়েছে। এই কর্মসূচির বিশেষ কয়েকটি দিক ছিল - 
(ক ) প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের জন্য ক্রীড়াভিত্তিক শিক্ষানীতি গ্রহণ করা। 
(খ ) প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষা সহায়ক উপকরণগুলি সরবরাহ করা। 
(গ ) প্রতিটি বিদ্যালয়ে অন্ততঃ দুজন শিক্ষক নিযুক্ত থাকবেন ; যার মধ্যে একজন হবেন মহিলা। 
(ঘ ) প্রতিটি বিদ্যালয়ে পানীয় জল ও শৌচাগার স্থাপন করা। 
(ঙ ) সকল ঋতুতে ব্যবহারযোগ্য শ্রেণীকক্ষের ব্যবস্থা করা। 

৬. গ্রামীণ ব্যবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি বা RFLP :- 
জাতীয় শিক্ষানীতির সহায়ক প্রকল্প হিসাবে গ্রামীণ ব্যবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মূল বিষয়গুলি ছিল - 
(ক ) গ্রামীণ জনগণের সাক্ষরতার প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান। 
(খ ) প্রকল্পের ব্যায়ভার বহন করবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। 
(গ ) সাক্ষরতার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। 
(ঘ ) প্রকল্পের সার্থক রূপায়ণের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে অংশগ্রহণ করানো। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. জাতীয় সাক্ষরতা মিশন NLM :- 
১৯৮৮ সালের ৫ ই মে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন গঠিত হয়। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পূর্ণ সাক্ষরতা। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ১৯৯০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন বয়স্ক ব্যক্তিকে সাক্ষর করে তোলা। 
(খ ) ১৯৯৫ সালের মধ্যে আরও ৫০ মিলিয়ন ব্যক্তিকে সাক্ষর করে তোলা। 
(গ ) অর্থনৈতিক অবস্থা ও স্বচ্ছল থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা। 
(ঘ ) গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস অর্জন করা। 
(ঙ ) ১৯৯০ সালের মধ্যে ৬-১১ বছরের বালক বালিকাদের জন্য শিক্ষা এবং ১৯৯৫ সালের মধ্যে সর্বস্তরের ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার। 

৮. সর্বশিক্ষা অভিযান :- 
২০০০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক Millennium Development Goal এর প্রস্তাব অনুযায়ী এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য Apex Court দ্বারা নির্দেশিত হয়ে ভারত সরকার সর্বশিক্ষা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং তা কার্যকর হয় ২০০২ সালে। ভারতে গৃহীত শিক্ষা কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাধিক সাফল্যপ্রাপ্ত কর্মসূচি হল সর্বশিক্ষা অভিযান। সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল - 
(ক ) ৫ - ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশুর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা সুনিশ্চিত করা। 
(খ ) নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষার পাশাপাশি বিকল্প ও পরিপূরক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
(গ ) বুনিয়াদি শিক্ষা সুনিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। 
(ঘ ) জীবন উপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করা। 
(ঙ ) ২০১০ সালের মধ্যে সমস্ত শিশুর ৮ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করা।      

পরিশেষে বলা যায় , ভারত পূর্ণ সাক্ষরতার লক্ষ্যে ধীর গতিতে হলেও এগিয়ে চলেছে। পূর্ণ সাক্ষরতার জন্য সরকারি কর্মসূচিগুলির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সদিচ্ছা ও সচেতনতা ; রাজনৈতিক সদিচ্ছা ; শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির যথাযথ ভূমিকা ও অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব - ইত্যাদির প্রয়োজন।    

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো                      

Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (68)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • August 2025 (4)
  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates