Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির প্রকারভেদ আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শ্রেণীভাগ কর। 




বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির প্রকারভেদ আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শ্রেণীভাগ কর। 


১. শরীরচর্চামূলক কার্যাবলি :- 
বিদ্যালয়ে শরীরচর্চামূলক কার্যাবলির মূলতঃ দুটি উদ্দেশ্য থাকে - (ক ) শরীরচর্চা ও তার উপযোগিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা , ও (খ ) শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চামূলক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা। বিদ্যালয়ে শরীরচর্চামূলক কার্যাবলির পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খেলাধুলা ( ফুটবল , ক্রিকেট , ভলিবল , কাবাডি - ইত্যাদি ) , যোগব্যায়াম - ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এইসকল শরীরচর্চামূলক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে অংশগ্রহণ , সহযোগিতার মনোভাব , প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা বৃদ্ধি , শৃঙ্খলাপরায়ণতা - ইত্যাদি ইতিবাচক আদর্শগুলি গড়ে ওঠে। 

২. সামাজিক কার্যাবলি :- 
বিদ্যালয়ে এমন কিছু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পরিচালনা করা হয় যেগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাজ সচেতনতা , সামাজিকীকরণ ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া , সহযোগিতার মনোভাব - ইত্যাদি তৈরী হয়। এই সকল কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - রক্তদান শিবির আয়োজন , বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতনতা শিবির , প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ইত্যাদি। 

৩. পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যাবলি :- 
পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরিবেশের কল্যানে আত্মনিয়োগ করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কর্তব্য। তাই বিদ্যালয়ে পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পরিচালনার ক্ষেত্রেও পরিবেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবেশ সংক্রান্ত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন , বিদ্যালয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান , শ্রেণীকক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখা , প্লাস্টিক দূরীকরণ কর্মসূচি পালন - ইত্যাদি।

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. সাক্ষরতা কর্মসূচি :- 
সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিকে সাক্ষর করে তোলা রাষ্ট্র ও ব্যক্তির একটি আবশ্যিক কর্তব্য। সাক্ষরতা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয় শিক্ষার আলো সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে। স্থানীয় অঞ্চলে নিরক্ষর মানুষের শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা , যে সকল শিশু শিক্ষার আঙিনার বাইরে আছে তাদের শিক্ষায়তনে নিয়ে আসা - এই সকল কার্যাবলিতে শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা হয়। 

৫. সহযোগিতামূলক কর্মসূচি :- 
বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে। এইসকল কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - সামাজিক বিভিন্ন সেবামূলক কাজ , বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন রাখা , বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , খেলাধুলা - ইত্যাদি। এইসকল কার্যাবলিগুলি সফল করতে শিক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থী এই সকল কার্যাবলিগুলিকে সফল করে তোলার তাগিদে সহযোগিতামূলক আচরণ করে। 

৬. বৌদ্ধিক ও জ্ঞানমূলক কার্যাবলি :- 
পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিও শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক ও জ্ঞানমূলক বিকাশে সহায়তা করে। এইসকল শিক্ষামূলক কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বিতর্কসভা আয়োজন , ক্যুইজ প্রতিযোগিতা , প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা , বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা আয়োজন - ইত্যাদি। 

৭. সৃজনশীল কার্যাবলি :- 
প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃজনশীলতা বিদ্যমান। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির আয়োজন করা হয়। যেমন - বিদ্যালয় পত্রিকা , দেওয়াল পত্রিকা , বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ ও কর্মশিক্ষা , বিজ্ঞান প্রদর্শনী - ইত্যাদি। 

৮. আত্মপ্রকাশমূলক কার্যাবলী :- 
প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে থাকে। বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। এইসকল আত্মপ্রকাশমূলক কার্যাবলিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - নৃত্য ও সঙ্গীত , অভিনয় , সাহিত্য চর্চা , NCC , NSS , বিজ্ঞান প্রদর্শনী , হস্তশিল্প প্রদর্শনী , বিভিন্ন খেলাধুলা - ইত্যাদি। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৯. সাংস্কৃতিক কার্যাবলি :- 
শিক্ষা হল সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সঞ্চালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এইসকল সাংস্কৃতিক কার্যাবলিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন , বিভিন্ন মনীষীদের জন্মদিবস পালন , বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন , বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান - ইত্যাদি। 

১০. স্বায়ত্তশাসনমূলক কার্যাবলি :- 
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বায়ত্তশাসনমূলক কার্যাবলী বলতে বোঝায় - যে সকল কার্যাবলি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই পরিচালনা করে। এইসকল কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমবায় সমিতি পরিচালনা , হোস্টেল পরিচালনা , বিদ্যালয় কর্তৃক আরোপিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা - ইত্যাদি। 

১১. কুসংস্কার দূরীকরণ সংক্রান্ত কর্মসূচি :- 
কুসংস্কার জীবনের একটি অভিশাপ। শিক্ষার একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠন। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর কুসংস্কারমুক্ত মানসিকতা গঠন করা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। যেমন - যেসকল বিষয়ে সমাজে বিভিন্ন কুসংস্কার প্রচলিত আছে , সেই সকল বিষয়ে সচেতনতামূলক শিবির আয়োজন ; যেমন - কুকুরে কামড়ালে কী করণীয় , ভূতে পাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে কী করণীয় - ইত্যাদি। 

১২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত কার্যাবলী :- 
আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান মনস্ক করে তোলার চেষ্টা করা হয় ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার শেখানো হয়। এই সংক্রান্ত যেসকল সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পরিচালনা করা হয় - সেগুলি হল - বিদ্যালয়ে কমপিউটার ক্লাশ , ওভার হেড প্রজেক্টরের মাধ্যমে পঠন - পাঠন , ইন্টারনেটের ব্যবহার - ইত্যাদি।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো        
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বিভিন্ন উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ও সমাজকেন্দ্রিক উদ্দেশ্যগুলি কী কী ? 



সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বিভিন্ন উদ্দেশ্য :-

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির উদ্দেশ্য বহুবিধ। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির উদ্দেশ্যগুলিকে স্থির করার সময় শিশুর চাহিদা ও বিকাশ এবং সমাজের সঙ্গে শিশুর মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির উদ্দেশ্যগুলি হল -   

১. শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। শিশুর দৈহিক , মানসিক , নৈতিক , জ্ঞানমূলক , বৃত্তিমূলক - বিভিন্ন চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীর বিকাশকে সম্ভব করে তোলে। বিদ্যালয়ে পরিচালিত বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিশুকে বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতার সুযোগ প্রদান করে ; ফলে শিশু সার্বিকভাবে জীবন ও সমাজের সঙ্গে পরিচিত হয়। 

২. সামাজিকীকরণ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিশুর  যথার্থ সামাজিকীকরণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করে এবং তার ফলে শিশু দগতভাবে কাজ করতে শেখে এবং বৃহত্তর সমাজ জীবনের সঙ্গে পরিচিত হয়। 

৩. গণতান্ত্রিক চেতনার বিস্তার :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর অপর একটি উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার বিস্তার করা। শিক্ষার্থী সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহনের ফলে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয় , দলগতভাবে কাজ করার গুরুত্ব উপলব্ধি করে , সকলের সঙ্গে সমানভাবে ভিন্ন ভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে - এইভাবে শিক্ষার্থীর মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. সমাজ সেবামূলক মনোভাব গঠন :-
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি সামাজিক পরিমন্ডলে পরিচালিত হয়। বেশ কিছু ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিশুর মধ্যে সেবামূলক মনোভাব গঠনে সহায়তা করে। যেমন - ত্রাণকার্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ , বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতনতা শিবির , রক্তদান শিবির , দুঃস্থ ছাত্রদের মধ্যে  বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ - ইত্যাদি। 

৫. পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর একটি অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি। বিদ্যালয় পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন রাখা , বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন , প্লাস্টিক দূরীকরণ কর্মসূচি পালন , বাগান পরিচর্যা - ইত্যাদি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিশুর মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী হয়। 

৬. জাতীয়তাবোধ গঠন :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির অপর একটি উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ গঠন। বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন জাতীয় দিবস , মহাপুরুষ ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্মদিবস পালন - ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার জাতীয় জীবন সম্পর্কে সরাসরি অবগত হতে পারে এবং তার মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়। 

৭. আন্তর্জাতিকতাবোধ গঠন :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও তাদের কর্মসূচি এবং সেই কর্মসূচির গুরুত্ব - ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবগত করে তোলার চেষ্টা করা হয়। আন্তর্জাতিকতাবোধের জ্ঞান ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষা সম্পূর্ণ হতে পারেনা। 

৮. অবসরযাপনের শিক্ষা প্রদান :- 
শিক্ষার্থী তার অবসর সময় কীভাবে ইতিবাচকভাবে অতিবাহিত করতে পারে - সে বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর অপর একটি উদ্দেশ্য। ইতিবাচক অবসরযাপন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গঠনমূলক মনোভাব বৃদ্ধি করে। 

৯. দৈহিক বিকাশ :- 
মানবজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল তার স্বাস্থ্য। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি একদিকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং দিকে বিভিন্ন খেলাধূলার মাধ্যমে শিশুর মধ্যে শরীরচর্চা বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১০. মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি বিভিন্ন বৈচিত্রময় পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের উপহার দেয়। খেলাধূলা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে সচেতনতা , বিতর্ক , ক্যুইজ , সেমিনার - ইত্যাদি বৈচিত্রময় পরিস্থিতি সামগ্রিক দিক দিয়ে শিক্ষার্থীর মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়তা করে। 

১১. বৃত্তিমূলক চেতনার বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বৃত্তিমূলক চেতনার বিকাশে সহায়তা করা হয়। কাজের গুরুত্ব , দলগতভাবে কাজ করতে শেখা , কোনো কাজকে হীনদৃষ্টিতে না দেখা - ইত্যাদি আদর্শগুলি সহপাঠক্রমের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চালন করা হয়। 

১২. শৃঙ্খলাবোধের বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ে পালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলির সাফল্য নির্ভর করে শৃঙ্খলার উপর। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পরিচালনার সময় শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধের বিকাশ ঘটানো হল সহপাঠক্রমের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। 

১৩. সৃজনশীলতার বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। স্কুল ম্যাগাজিন , দেয়াল পত্রিকা , সংগীত , নৃত্য , চিত্রাঙ্কন , কর্মশিক্ষা - ইত্যাদি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে। 

১৪. জ্ঞানমূলক বিকাশ :- 
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানমূলক বিকাশ ঘটানোও সহপাঠক্রমের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। বিদ্যালয়ে পালিত হওয়া বিশেষ কিছু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানমূলক বিকাশে সহায়তা করে। যেমন - ক্যুইজ কনটেস্ট , বিতর্ক , আবৃত্তি - ইত্যাদি। 

১৫. ইতিবাচক ও গঠনমূলক মনোভাবের গঠন :- 
সহপাঠক্রমের বৈচিত্র , সাংস্কৃতিক - সৃজনশীল ও সামাজিক দিকগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ও গঠনমূলক মনোভাবের জন্ম দেয়। যার ফলে শিক্ষার্থী নিজের জীবন ও পরিচিত সমাজের মধ্যেও সেই গঠনমূলক আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে পারে। 
 
১৬. সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ :-  
যথার্থভাবে পরিচালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে সহায়তা করে। সহপাঠক্রম শিক্ষার্থীদের অপ - সংস্কৃতি , উশৃঙ্খলতা , আদর্শহীনতা - ইত্যাদি থেকে দূরে রাখে। সহপাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সংস্কৃতির আদর্শমানকে অনুভব করতে পারে। 

এছাড়াও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলি হল - 
(ক ) শিক্ষার্থীর আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া। 
(খ ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি করা। 
(গ ) শিক্ষার্থীদের প্রাক্ষোভিক বিকাশকে তরান্বিত করা। 
(ঘ ) শিক্ষার্থীদের আদর্শ চরিত্র গঠন - ইত্যাদি।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী কাকে বলে ? সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বৈশিষ্টগুলি আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট।  




সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির ধারণা / সংজ্ঞা। 


আধুনিককালে শিক্ষার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পাঠক্রমের মধ্যে আবদ্ধ রেখে তাদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ ঘটান সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীর মানসিক , বৌদ্ধিক , প্রাক্ষোভিক , নৈতিক , বৃত্তিমূলক , সাংস্কৃতিক - ইত্যাদি বিভিন্ন বিকাশের কথা মাথায় রেখে পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক কার্যাবলী পরিচালনা করা হয়। তাই বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় বহিৰ্ভূত সকল প্রকার কার্যাবলিই সহপাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত।    

মনোবিদ Park বলেছেন - শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৈচিত্রময় পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটানোই হল সহপাঠক্রম। 

Jamieson বলেছেন - সহপাঠক্রম পাঠক্রমের উদ্দেশ্যগুলিকে বাস্তবায়িত করে। 

Pica Smith বলেছেন - সহপাঠক্রম শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের বোঝাকে সহজতর করে তোলে। 

Poynton বলেছেন - সহপাঠক্রম হল শিক্ষার সেই অংশ যা শিশুদের বৃত্তিমূলক , সামাজিক , সাংস্কৃতিক - ইত্যাদি বিভিন্ন দিকের সঙ্গে তার পরিচিতি ঘটায় ও পরবর্তী জীবনে সেগুলিতে অংশগ্রহণের পথকে মসৃন করে তোলে। 

Kohen বলেছেন - যা বিদ্যালয়ের ভিতরে ও বিদ্যালয়ের বাইরে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের পারদর্শিতার পথ উন্মুক্ত করে। 

সুতরাং সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী হল - বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বিদ্যালয়ের বাইরে সেই সকল পরিকল্পিত কার্যাবলী যা শিক্ষার্থীদের জীবন বিকাশের বিভিন্ন স্তরে পরিচালিত হয় ; শিশুদের মধ্যে সর্বাঙ্গীন বিকাশকে তরান্বিত করে ; পাঠক্রমের উদ্দেশ্যগুলিকে পূরণ করে ; শিক্ষাকে বৈচিত্রমুলক করে তোলে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক হয়ে ওঠে।      

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বৈশিষ্ট :- 


সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বিভিন্ন বৈশিষ্টগুলি হল - 

১. বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে পরিচালিত :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে - উভয় ক্ষেত্রেই পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়ের ভেতরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , বিদ্যালয়ের জন্মদিবস পালন , স্বাধীনতা দিবস পালন - ইত্যাদি এবং বিদ্যালয়ের বাইরে শিক্ষামূলক ভ্রমণ , বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির , সমাজেবা - ইত্যাদি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করে শিশু বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। 

২. পাঠক্রমের সহায়ক :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি সর্বদা পাঠক্রমের সহায়ক। পাঠক্রমের মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। কিন্তু শুধুমাত্র পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সহপাঠক্রম সেই ঘাটতি পূরণ করে পাঠক্রমের সহায়ক হয়ে ওঠে। 

৩. বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতার সঞ্চালন :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি প্রকৃতিগতভাবে বৈচিত্রপূর্ণ। তাই সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। এই বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতা শিশুর জীবন বিকাশের বিভিন্ন স্তরে তাদেরকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তোলে। 

৪. সৃজনশীলতার বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভাগুলি বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। ছবি আঁকা , বিভিন্ন খেলা , হাতের কাজ , সাহিত্য চর্চা - বিদ্যালয়ে পালিত এই সকল বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাকে উন্মুক্ত করে তোলে। 

৫. শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়ক :- 
শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য প্রয়োজন দৈহিক , মানসিক , বৌদ্ধিক , সাংস্কৃতিক , সামাজিক , নৈতিক , বৃত্তিমূলক - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের চাহিদা পূরণ। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীর এই ভিন্ন ভিন্ন চাহিদাগুলিকে পূরণ করে ও সেইসকল নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বিকাশ ঘটায়। এই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণ হওয়ার জন্য তার সর্বাঙ্গীন বিকাশ সংগঠিত হয়। 

৬. সামাজিকীকরণে সহায়ক :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি শিক্ষার্থীর সামাজিকীকরণে সহায়ক। বেশিরভাগ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি পালিত হয় সামাজিক প্রেক্ষাপটে। ফলে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী সমাজ সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে ও সমাজে নিজের ভূমিকাকে চিহ্নিত করতে পারে। এর ফলে সমাজ ও শিক্ষার্থীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া গড়ে ওঠে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. আগ্রহের উদ্দীপক :- 
বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পাঠক্রম এবং তার সঙ্গে সঙ্গে পঠন - পাঠন কখনো - কখনো শিক্ষার্থীর কাছে একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে। এইসময় বিদ্যালয়ে পরিচালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের বৈচিত্রময় পরিস্থিতি উপহার দেয়। ফলে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ অনুভব করে এবং এর ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক উদ্দেশ্যগুলি পূরণ হয়। 

৮. জাতীয়তাবোধের বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন জাতীয় দিবস - যেমন - স্বাধীনতা দিবস পালন , প্রজাতন্ত্র দিবস পালন ; বিভিন্ন মনীষীর জন্মদিবস পালন - যেমন - স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন , নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস পালন ; বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যাবলি - ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার জাতীয় জীবনের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে। 

৯. আন্তর্জাতিকতাবোধের বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তর্জাতিকতাবোধের বিকাশে সহায়ক। বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক জীবনের সঙ্গে পরিচিত হয়। যেমন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন , বিশ্ব নারী দিবস পালন - ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচিগুলির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। ফলে তাদের মধ্যে আন্তর্জাতিকতাবোধ গড়ে ওঠে। 

১০. গণতান্ত্রিকতার বিকাশে সহায়ক :- 
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর একমাত্র পরিচয় হল যে একজন ছাত্র বা ছাত্রী। বিদ্যালয়ে বংশপরিচয় , সামাজিক শ্রেণী , বর্ণ , অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা একই সঙ্গে বসে , একই সঙ্গে খেলাধূলা করে , একই সঙ্গে টিফিন খায় ; সর্বপরি , বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে তারা দলগতভাবে অংশগ্রহণ করে। এসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিকতার বিকাশ ঘটে এবং তারা গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়। 

১১. বিভিন্নতা :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি সর্বদা ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন বিদ্যালয়ে পালিত প্রধান চারটি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি হল - বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাদিবস পালন , বাগান তৈরী ও পরিচর্যা , শ্ৰেণীকক্ষ পরিচ্ছন্নতা , জাতীয় দিবস পালন। এই চারটি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী চরিত্রগতভাবে পরস্পর ভিন্ন। 

১২. মূল্যায়নের অনুপস্থিতি :- 
বিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি পরিচালিত হয়। কিন্তু এগুলির সঙ্গে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের কোনো সম্পর্ক থাকেনা। শিক্ষার্থীর সামনে উপস্থিত বিভিন্ন সমস্যামূলক পরিস্থিতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সহপাঠক্রমের মূল্যায়ন সংগঠিত হয় ; কিন্তু প্রথাগত কোনো মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়না।     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো             

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

পাঠক্রমের বিভিন্ন উপাদানগুলি সম্পর্কে আলোচনা কর। 

অথবা , পাঠক্রম গঠনের প্রধান বিবেচ্য বিষয়গুলি কী কী ? 




পাঠক্রমের বিভিন্ন উপাদান / পাঠক্রম গঠনের প্রধান বিবেচ্য বিষয় :- 


১. শিক্ষার উদ্দেশ্য :- 
শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি বাস্তব রূপ পরিগ্রহ করে পাঠক্রমের মাধ্যমে। তাই পাঠক্রমের প্রধান উপাদান হল শিক্ষার উদ্দেশ্য। শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলিকে সার্থক করে তুলতে যা কিছু পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন সেগুলিকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে পাঠক্রমকে শিক্ষার্থীর পক্ষে গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত করে তোলা হয়। 

২. বিষয়বস্তুর প্রকৃতি ও পরিধি :- 
ভাষা জ্ঞান , যুক্তি নির্ণয় , সামাজিক জ্ঞান , প্রযুক্তিগত বোধ , বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের বিকাশ যাতে শিশুর মধ্যে গড়ে ওঠে সেজন্য পাঠক্রমে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন - সাহিত্য , গণিত , ইতিহাস , ভূগোল , প্রকৃতি বিজ্ঞান - ইত্যাদি। এই সকল বিষয়গুলি পঠন পাঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার পরিচিত জগৎ সম্পর্কে উপযুক্ত ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। 

৩. বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুর বিকাশ :- 
আধুনিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ। তাই সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে শিশুর মধ্যে - দৈহিক , শারীরিক , প্রাক্ষোভিক , নৈতিক , কৃষ্টিমূলক , নান্দনিক , জ্ঞান মূলক ও বৌদ্ধিক , মানসিক , সামাজিক - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকাশ ঘটা প্রয়োজন। তাই পাঠক্রম সংগঠনের সময় প্রতিটি ক্ষেত্রে যাতে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. শিক্ষক সম্পর্কিত বিষয় :- 
শিক্ষার একটি প্রধান উপাদান হলেন শিক্ষক। শিক্ষার্থী ও পাঠক্রমের মাঝে শিক্ষক সেতুবন্ধনের কাজ করেন। পাঠক্রম পরিচালনা করা , শিক্ষা সঞ্চালন ও নির্দেশনা , অভীক্ষা পরিচালনা - ইত্যাদি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে অভিজ্ঞ ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। তাই পাঠক্রম নির্ধারণের সময় শিক্ষকের যোগ্যতা , দায়িত্ব ও কর্তব্য , দৈনন্দিন পঠন পাঠন পরিচালনা - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে পাঠক্রমে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। 

৫. সামাজিক বিষয় :- 
শিক্ষা একটি সামাজিক বিষয়। সমাজের মধ্যেই এবং সমাজের দ্বারাই শিক্ষা পরিচালিত হয়। শিক্ষা ব্যক্তির সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়াটিকে সরল ও যথার্থ করে তোলে। উপযুক্ত পাঠক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে সামাজিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা হয় , শিক্ষার যথার্থ সঞ্চালন ঘটানো হয় , শিক্ষার্থী সমাজ স্বীকৃত আচার - আচরণগুলিকে আয়ত্ত্ব করতে পারে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষা প্রক্রিয়াকে অনুভব করতে পারে। তাই সামাজিক বিষয়গুলি পাঠক্রমের অন্যতম অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

৬. পরিবেশগত বিষয় :- 
প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমেই মানব সভ্যতা বিকাশ নির্ভর করে। এছাড়াও প্রকৃতির যথাযথ সংরক্ষণ , প্রাকৃতিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সেই সমস্যাগুলি দূরীকরণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন , আধুনিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতি কীভাবে পরিবেশে প্রভাব বিস্তার করেছে , বিশ্ব উষ্ণায়ন ও শিক্ষার্থীদের কর্তব্য সম্পর্কে ধারণা অর্জন - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীকে সচেতন করতে পাঠক্রমে পরিবেশগত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

৭. আর্থিক বিষয় :- 
সাধারণতঃ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয় রাষ্ট্রের দ্বারা। প্রতিটি রাষ্ট্রের শিক্ষা খাতে ব্যয় করার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা থাকে। তাই পাঠক্রম প্রণয়নের সময় যুক্তিপূর্ণভাবে খেয়াল রাখা হয় পাঠক্রম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ব্যয় রাষ্ট্রের পক্ষে বহন করা সম্ভব কি'না। যেমন এই মুহূর্তে যদি পাঠক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে কমপিউটার নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয় , তাহলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির পক্ষে তা সম্ভব না'ও হতে পারে। তাই পাঠক্রম প্রণয়নের সময় আর্থিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৮. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত মনোভাবের বিকাশ :- 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরেই মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব হয়েছে। মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক জ্ঞানগুলি সম্পর্কে অবগত হতে পারে , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উৎসাহিত হতে পারে - পাঠক্রম প্রণয়নের সময় সেই বিষয়গুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয়। 

৯. প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় :- 
শিক্ষা একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়। প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হয়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত , প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি ও পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত - সেই সকল বিষয়গুলিকে পাঠক্রম প্রণয়নের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

১০. নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয় :- 
শিক্ষর্থীর মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশ না ঘটলে শিক্ষার সর্বপ্রকার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাই পাঠক্রম এমনভাবে প্রণয়ন করা হয় , যাতে শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশ সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশ শিক্ষার উদ্দেশ্যকে যথাযথভাবে সফল করে তোলে। 

১১. আন্তর্জাতিক বিষয় :- 
আধুনিক বিশ্বে আন্তর্জাতিক স্তরে শিক্ষা সম্পর্কে কিছু মূল্যবান নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং জাতীয় স্তরে প্রতিটি রাষ্ট্র সেই নীতিগুলিকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু সংস্থা - UNESCO , UNICEF - ইত্যাদি , মানব সভ্যতার সামগ্রিক সমস্যাগুলিকে দূর করে দেশ - কালের সীমানা অতিক্রম করে মানবের জয়গান গাইছে। তাই পাঠক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ , তাদের প্রকৃতি ও অর্থনীতি , তাদের সমস্যা - ইত্যাদি বিষয়গুলি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কর্মকান্ড - ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করার চেষ্টা করা হয়। 

১২. বৃত্তি সম্পর্কিত বিষয় :- 
শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি অর্জনে উপযুক্ত করে তোলা ও তাদের উৎপাদনশীল করে তোলা। শিক্ষার মাধ্যমে জীবিকার বিকাশ ঘটলে শিক্ষা শিক্ষার্থীর নিকট আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। তাই বৃত্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলিকেও পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।       

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো       

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

পাঠক্রম রচনার মূলনীতিগুলি আলোচনা কর। 




পাঠক্রম রচনার মূলনীতি :- 


শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলিকে সার্বিক ও সদর্থক রূপ দিতে গেলে কিছু নীতির উপর ভিত্তি করে পাঠক্রম রচনা করতে হয়। পাঠক্রম রচনার এই নীতিগুলির সাহায্যে পাঠক্রমকে শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিকাশের উপাদান হিসাবে পরিণত করা হয়। পাঠক্রম নির্ধারণের মূলনীতিগুলি হল - 

১. শিক্ষার ব্যাপকার্থের নীতি :- 
আধুনিক শিক্ষায় পাঠক্রম শুধুমাত্র কয়েকটি কৌশল বা জ্ঞানের সমষ্টি নয় ; তা হল শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ  বিকাশের লক্ষ্যে নিযুক্ত হওয়া একটি উপাদান। তাই পাঠক্রমে শিক্ষার সংকীর্ণ অর্থকে বর্জন করে শিক্ষার ব্যাপক অর্থকে গ্রহণ করা হয়। যথার্থ শিক্ষা নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যাপক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পাঠক্রমকে শিক্ষার ব্যাপক ধারণা গ্রহণের উপযোগী করে তোলা হয়। 

২. শিক্ষাশ্রয়ী দর্শনের নীতি :- 
পাঠক্রমকে সর্বদা শিক্ষাশ্রয়ী দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়। শিক্ষা সর্বদা দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত। শিক্ষাশ্রয়ী দর্শন পাঠক্রমকে ব্যক্তি ও সমাজের পক্ষে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়। তাই পাঠক্রম নির্ধারণের সময় শিক্ষাশ্রয়ী দর্শনের নীতিগুলিকে অনুসরণ করা হয়। 

৩. সমাজতান্ত্রিকতার নীতি :- 
ব্যক্তির যাবতীয় দক্ষতা ও সামর্থ্যের প্রকাশ ঘটে সমাজের মধ্যেই। তাই পাঠক্রম নির্ধারণের সময় ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা নিতান্ত প্রয়োজন। পাঠক্রম রচনার সময় ব্যক্তির প্রতি সমাজের কর্তব্য এবং সমাজের প্রতি ব্যক্তির দায়বদ্ধতা - ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. কর্মকেন্দ্রিকতার নীতি :- 
কর্মকেন্দ্রিকতার নীতির মূলকথা হল - Learning by doing ; অর্থাৎ কাজের মাধ্যমে শেখা। পঠন পাঠনের সময় শুধুমাত্র বস্তু ও বিষয়কেন্দ্রিক জ্ঞান প্রদান শিক্ষার্থীকে পঠন পাঠনের প্রতি উৎসাহিত করেনা। তাই পাঠক্রম প্রণয়নের সময় কাজের মাধ্যমে স্বয়ং শিখনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। 

৫. কৃষ্টিমূলক ও সাংস্কৃতিক নীতি :- 
শিক্ষার একটি প্রধান কাজ হল সামাজিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও সঞ্চালন করা। তাই পাঠক্রম প্রণয়নের সময় সামাজিক ও ঐতিহ্যকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চালনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথার্থ সাংস্কৃতিক সঞ্চালন না ঘটলে সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবনমন ঘটবে। 

৬. ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতার নীতি :- 
প্রতিটি শিক্ষার্থী আগ্রহ , চাহিদা , সামর্থ্য , দক্ষতা - ইত্যাদির ভিত্তিতে পরস্পর পরস্পরের চেয়ে আলাদা। তাই পাঠক্রম প্রণয়নকালে বিভিন্ন চাহিদা ও সামর্থ্য যুক্ত শিক্ষার্থীদের সাধারণ ও বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য যত্নশীল হতে হয়। পাঠক্রমের মাধ্যমে যাতে সকলে উপকৃত হতে পারে সেবিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।       

৭. গণতান্ত্রিকতার নীতি :- 
আধুনিক বিশ্বে গণতন্ত্রকে সর্বোচ্চ মানবিক আদর্শ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক নীতি শিক্ষার্থীর মধ্যে যথার্থ সামাজিকীকরণ গড়ে তোলে। তাই পাঠক্রম নির্ধারণের সময় গণতান্ত্রিক আদর্শ যাতে পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে সঞ্চালিত হয় - সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। 

৮. শিশুকেন্দ্রিকতার নীতি :- 
আধুনিক কালে শিশুকে কেন্দ্র করেই শিক্ষা তথা পাঠক্রম পরিচালিত হয়। শিশুর বিভিন্ন চাহিদা , আগ্রহ , সামর্থ্য - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে গুরুত্ব প্রদান করে পাঠক্রম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান বিশ্বের সর্বত্রই পাঠক্রমের মধ্যে শিশুকেন্দ্রিকতার নীতি প্রতিফলিত হয়। 

৯. অখন্ডতা ও অবিভাজ্যতা :- 
আধুনিক পাঠক্রমে অখন্ডতা ও অবিভাজ্যতার নীতি অনুসরণ করা হয়। পাঠক্রমকে খন্ড খন্ড করে বিভক্ত করা হলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই পাঠক্রম রচনার সময় অখন্ডতা ও অবিভাজ্যতার নীতি অনুসরণ করে শিশুর স্বাধীন সত্তাকে বিকশিত করার সুযোগ দেওয়া হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১০. সক্রিয়তার নীতি :- 
প্রতিটি পাঠক্রম রচনার সময় শিশুর সক্রিয়তার নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিশু সক্রিয় হয়ে পঠন - পাঠনে অংশগ্রহণ করলে শিশুর স্বাভাবিক আগ্রহ ও জ্ঞানার্জনের চাহিদা বিকশিত হবে। তাই সক্রিয়তার নীতির মাধ্যমে শিশুকে পাঠমুখী করে তোলার চেষ্টা করা হয়। 

১১. পরিবর্তনশীলতার নীতি :- 
শিক্ষা একটি সামাজিক বিষয়। তাই সমাজ যেহেতু পরিবর্তনশীল ; তাই পাঠক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রেও পরিবর্তনশীলতার নীতি গ্রহণ করা হয়। সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন , প্রযুক্তি ও আদর্শগত পরিবর্তন - ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাঠক্রমে পরিবর্তনশীলতার নীতি অনুসরণ করা হয়। 

১২. সমন্বয়ের নীতি :- 
পাঠক্রম রচনার সময় শিশুর চাহিদা , সামাজিক বিভিন্ন প্রত্যাশা , নৈতিকতা - মানবিকতা - সৃজনশীলতা - বৃত্তি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হয়। এইভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধনের ফলে পাঠক্রম শিক্ষার্থীর নিকট অনেক বেশি উপযোগী হয়ে ওঠে। 

১৩. সংরক্ষণের নীতি :- 
পাঠক্রম প্রণয়নের সময় সংরক্ষণের নীতি বিশেষভাবে অনুসরণ করা হয়। মানব সভ্যতা আজ পর্যন্ত যা যা জ্ঞান অর্জন করেছে - তার সংরক্ষণ অত্যন্ত আবশ্যিক। বিভিন্ন পূর্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানগুলিকে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করে সেগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। 

১৪. বৃত্তিমূলক নীতি :- 
শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ্য হল জীবিকা অর্জনে সহায়তা। তাই জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়গুলি , বর্তমান অর্থনীতি , কর্মসংস্থান - ইত্যাদি বিষয়গুলিকে পাঠক্রমে স্থান দিয়ে শিক্ষার্থীকে  ভবিষ্যৎ জীবনে বৃত্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের উপযুক্ত করে তোলা হয়। 

১৫. উৎপাদনশীলতার নীতি :- 
প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎপাদনশীলতা গড়ে তোলা পাঠক্রমের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। পাঠক্রমের মধ্যে বাস্তব সমাজ ও উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা প্ৰদান করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎপাদনশীলতা গঠনের চেষ্টা করা হয়। 

১৬. ক্রমবিন্যাসের নীতি :- 
পাঠক্রম রচনার সময় ক্রমবিন্যাসের নীতি গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করা হয়। শিক্ষার্থীর মানসিক বয়স , জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা , অভিজ্ঞতা - ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন বয়সে ভিন্ন ভিন্ন দক্ষতার স্তর তৈরী হয়। সেই দক্ষতার স্তরের সঙ্গে সঙ্গতিবিধান করতে পাঠক্রম রচনার সময় ক্রমবিন্যাসের নীতি অনুসরণ করা অত্যন্ত আবশ্যিক। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

পাঠক্রমের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট। 

পাঠক্রম কাকে বলে ? পাঠক্রমের বৈশিষ্টগুলি আলোচনা কর। 




পাঠক্রমের ধারণা / সংজ্ঞা :- 


বাংলা পাঠক্রম শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Curriculum এবং এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Currere থেকে ; যার অর্থ হল দৌড়। আবার Curriculum শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হল বিশেষ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য দৌড়ের পথ। কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিজ্ঞানীদের মতে পাঠক্রম :- 
পেইনি (Payne) বলেছেন - শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক সর্বাধিক বিকাশের জন্য বিদ্যালয়ে যা কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় , তাই হল পাঠক্রম। 
কানিংহাম ( Cunninghum ) বলেছেন - নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের পরিবেশে শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার যন্ত্র হল পাঠক্রম। 
পার্সি নান ( Percy Nunn ) বলেছেন - বিদ্যালয় জীবনে শিক্ষাগত আদর্শের প্রতিফলন ঘটে পাঠক্রমের মাধ্যমে। 
জন ডিউই ( John Dewey ) বলেছেন - বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যা কিছু শেখার তার সুসংবদ্ধ রূপ হল পাঠক্রম। 
ফ্রয়েবেল বলেছেন - পাঠক্রম হল মানব সভ্যতার সামগ্রিক জ্ঞানের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। 
মুদালিয়র কমিশন পাঠক্রম সম্পর্কে তাঁর প্রতিবেদনে বলেছেন - পাঠক্রম শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষা নয় ; তার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ , বিদ্যালয়ের বাইরের পরিবেশ ও সমাজ ইত্যাদি সকল উপাদানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা হল পাঠক্রম। 

উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলিকে বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে - পাঠক্রম হল - 
(ক ) বিদ্যালয়ে শিক্ষণীয় বিষয় ,
(খ ) একাধিক বিষয়ের সমষ্টি ,
(গ ) কতকগুলি উপাদান ও উপকরণের সমষ্টি ,
(ঘ ) বিদ্যালয় কর্তৃক পরিকল্পিত , 
(ঙ ) বিদ্যালয় ও শিক্ষক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত , 
(চ ) সহপাঠক্রমিক বিষয়গুলির অন্তর্ভুক্তি ,
(ছ ) শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা ,
(জ ) নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সমষ্টি। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

পাঠক্রমের বৈশিষ্ট :- 


১. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকেন্দ্রিক :- 
পাঠক্রম রচনার পূর্বে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করা হয়। পাঠক্রম হল শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছনোর একটি মাধ্যম। তাই শিক্ষার লক্ষ্যগুলিকে পূরণ করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পাঠক্রম রচনা করা হয়। ব্যক্তি ও সমাজের বিকাশ , মানবিকতা ও নৈতিকতার বিকাশ , কর্মকেন্দ্রিক ও জীবিকা অর্জনে সহায়তা , বিভিন্ন বাস্তব সমস্যা সমাধানের কৌশল অর্জন , অভিযোজনে সহায়তা - ইত্যাদি বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে পাঠক্রম রচিত হয়। 

২. পূর্বনির্ধারিত :- 
পাঠক্রম সর্বদা পূর্বনির্ধারিত। যেকোনো শ্রেণীর পঠন পাঠন শুরু হওয়ার পূর্বেই পাঠক্রম স্থির করা হয়ে থাকে। সেই পাঠক্রম অনুযায়ী ওই নির্দিষ্ট শ্রেণীর পঠন - পাঠন পরিচালিত হয়। এছাড়া শিক্ষা নির্দেশনার ক্ষেত্রেও পূর্বনির্ধারিত পাঠক্রমকে অনুসরণ করা হয়। 

৩. পরিবর্তনশীল :- 
শিক্ষা একটি সামাজিক বিষয়। সমাজ যেহেতু পরিবর্তনশীল , তাই শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও পরিবর্তনশীল। তাই পরিবর্তনশীল শিক্ষার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাঠক্রমও পরিবর্তনশীল। সামাজিক পরিবর্তন , প্রযুক্তির উন্নতি , জীবিকার ক্ষেত্রে পরিবর্তন , আদর্শগত পরিবর্তন - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাঠক্রমও সর্বদা পরিবর্তনশীল। 

৪. শিক্ষার্থীর সামর্থ্যের উপর নির্ভরশীল :- 
পাঠক্রম রচনার সময় শিক্ষার্থীর বয়স ও সেই অনুপাতে তার সামর্থ্যের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীর সামর্থ্যভিত্তিক পাঠক্রম রচিত না হলে শিক্ষার মূল লক্ষ্য ব্যার্থ হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন ধরণের সামর্থ্যের অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ সূত্র নির্ধারণ করে তাদের সামর্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাঠক্রম রচনা করা হয়। 

৫. অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা নির্মিত :-
পাঠক্রম রচনার দায়িত্বে থাকেন একদল অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। শিক্ষাবিজ্ঞানী , মনোবিজ্ঞানী , পরিবেশবিদ , প্রশাসক , অভিজ্ঞ শিক্ষক , সমাজবিজ্ঞানী , দার্শনিক - প্রমুখ বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ সামগ্রিকভাবে পাঠক্রম রচনার পাঠক্রম রচনার দায়িত্ব পালন করেন। 

৬. মূল্যায়নসাপেক্ষ :- 
পাঠক্রম সর্বদা মূল্যায়নসাপেক্ষ। পাঠক্রমের মূল্যায়ন দুই প্রকারের ; যথা - প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত মূল্যায়ন। মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জানার ও বোধগম্যতার স্তর যাঁচাই করা সম্ভব হয়। এছাড়াও পাঠক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কতখানি কার্যকর হল - তা জানার জন্য মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. আদর্শগত ভিত্তি :- 
প্রতিটি পাঠক্রম একটি নির্দিষ্ট আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। এই আদর্শ সমাজ , দর্শন , নৈতিকতা , মূল্যবোধ - ইত্যাদির নিরিখে প্রযুক্ত হয়। যেমন আধুনিক পাঠক্রম গণতান্ত্রিক আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত। 

৮. বাস্তবসম্মত ভিত্তি :- 
পাঠক্রম কখনোই বাস্তবতার দিকটিকে উপেক্ষা করেনা। বাস্তব জীবনে একজন শিক্ষার্থীকে যে ধরণের জ্ঞান ও কৌশল অর্জন করা প্রয়োজন , যে ধরণের বৃত্তিগত দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন - পাঠক্রম সেইসকল দিকের প্রতি সার্বিকভাবে গুরুত্ব প্রদান করে। 

৯. শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশ :- 
পাঠক্রম শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে সহায়ক হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীর জ্ঞানমূলক চাহিদা , প্রাক্ষোভিক চাহিদা , নৈতিকতার চাহিদা , সামাজিকতার চাহিদা , জীবিকা অর্জনের চাহিদা - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের চাহিদা পূরণ হয় পাঠক্রমের মাধ্যমে ; যার ফলে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হয়। 

১০. তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ভিত্তির মেলবন্ধন :- 
পাঠক্রমের মধ্যে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিকের মেলবন্ধন ঘটানো হয়। তাত্ত্বিক দিকের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ের তত্ত্বগত ধারণা উপলব্ধি করে এবং ব্যবহারিক দিকের মাধ্যমে সেগুলিকে বাস্তবে প্রয়োগ করার কৌশল আয়ত্ত্ব করে। 

১১. মনোবৈজ্ঞানিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত :- 
একটি পাঠক্রম রচনার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞান সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করে। পাঠক্রম রচনার পূর্বে শিক্ষার্থীর বয়স , মেধা , যোগ্যতা , সামর্থ্য , চাহিদা - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণ করতে মনোবিজ্ঞান সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

১২. কর্ম অভিজ্ঞতার গুরুত্ব :- 
প্রতিটি আধুনিক পাঠক্রমে কর্ম অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কর্ম অভিজ্ঞতা হল - শিক্ষার্থী নিজের কাজ , পঠন - পাঠনে অংশগ্রহণ - ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেই অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এর ফলে শিক্ষার্থী সচেতনভাবে , কারো সাহায্য ছাড়াই ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন জ্ঞান ও কৌশলগুলিকে আয়ত্ত্ব করতে পারবে।       

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো      
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (64)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates