Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা কাকে বলে ? সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার বিভিন্ন বৈশিষ্টগুলি লেখ। 

সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা এবং তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট। 




সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার ধারণা :- 


সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার মূলকথা হল জ্ঞানার্জন। পুঁথিগত জ্ঞানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশ ঘটানই হল সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার মূল লক্ষ্য। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষায় শিক্ষার্থী ও পাঠক্রমের মাঝে শিক্ষক সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করেন। এই ধরণের শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী নিষ্ক্রিয় শ্রোতার ভূমিকা পালন করে। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা সর্বদা পূর্বপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত। 

সুতরাং বলা যেতে পারে , সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা হল মূলতঃ বিদ্যালয় শিক্ষা যা শিক্ষকের উপর পূর্ণমাত্রায় নির্ভরশীল এবং পুঁথিগত জ্ঞানের সঞ্চালন ঘটানোই হল এই ধরণের শিক্ষার মূল লক্ষ্য। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকলেও শিক্ষার্থীর বক্তব্য এখানে কম গুরুত্ব পায়। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা পুরোপুরি স্মৃতির উপর নির্ভরশীল। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার বৈশিষ্ট :- 


১. বিদ্যালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ :-
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা বিদ্যালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই ধরণের শিক্ষা বিদ্যালয়ে শুরু হয় এবং পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চতর শ্রেণীতে পৌঁছনোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়। সম্পূর্নরূপে বিদ্যালয়কেন্দ্রিক এই শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

২. একমুখী :- 
শিক্ষার সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা প্রক্রিয়া একমুখী। অর্থাৎ এই ধরণের শিক্ষায় জ্ঞান শিক্ষক হতে শিক্ষার্থী অভিমুখে সঞ্চালিত হয়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন ; শিক্ষার্থী সেখানে নিষ্ক্রিয় শ্রোতা মাত্র। শ্রেণিকক্ষ এবং পঠন - পাঠনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ শিক্ষকের হাতে থাকে এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী শিক্ষা পরিচালিত হয়। 

৩. শিক্ষকের উপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল :- 
যেহেতু সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা অধিক মাত্রায় শিক্ষকের উপর নির্ভরশীল সেহেতু অযোগ্য শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষার্থীদের নিকট বিভ্রান্তিমূলক ও ভ্রান্ত শিক্ষা উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী সম্পূর্ণরূপে শিক্ষকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা হ্রাস পায়। 

৪. স্মৃতির উপর নির্ভরশীলতা :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা স্মৃতির উপর প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। যেকোনো বিষয়কে মুখস্থ করা , মূল্যায়নকালে তার উত্তর লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন - ইত্যাদি হল সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার মূল প্রক্রিয়া। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের চেনা সমস্যার বাইরে সাবলীল আচরণ করতে পারেনা। 

৫. মূল্যায়নকেন্দ্রিক :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা মূল্যায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাঁচাই হয়। শিক্ষার্থীর অন্যান্য গুণাবলীগুলিকে সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিগোচর করে দেওয়ার ফলে সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষায় কখনোই শিক্ষার্থীর প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব হয়না। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৬. তত্ত্ব নির্ভর :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা ব্যবহারিক কাজের তুলনায় তত্ত্বের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যার উপর ভিত্তি করে তত্ত্বজ্ঞান অর্জন করাই হল সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার মূল লক্ষ্য। ফলে শিক্ষা শেষে বৃত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

৭. জ্ঞানার্জন :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার মূলকথা হল জ্ঞানার্জন। শ্রেণীকক্ষে পঠন - পাঠন প্রক্রিয়ায় পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকের অভিজ্ঞতাও শিক্ষার্থীর মধ্যে সঞ্চালিত হয়। পাঠক্রমের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানবার সুযোগ শিক্ষার্থীরা পায়। ফলে তাদের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। 

৮. নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার পর্যায়ভুক্ত। বিদ্যালয় এবং অভিভাবক দ্বারা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই ধরণের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর বিশেষ স্বাধীনতা থাকে না এবং তাকে পূর্বনির্ধারিত পাঠক্রম , মূল্যায়ন - ইত্যাদিতে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ করতে হয়। 

৯. ডিগ্রি :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হল ডিগ্রি। শিক্ষার্থী এখানে একটি নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তি হয় এবং কোর্স শেষে মূল্যায়নের পর তাকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এই ডিগ্রি লাভের মাধ্যমে শিক্ষার্থী অপর একটি উচ্চতর কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষায় ডিগ্রি ব্যতীত শিক্ষার্থীর অন্য কোনোরূপ যোগ্যতা যাঁচাইয়ের মাপকাঠি নেই। 

১০. দাতা - গ্রহীতা সম্পর্ক :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে দাতা - গ্রহীতা সম্পর্ক তৈরী হয়। শিক্ষক এখানে জ্ঞান প্রদানের প্রধান মাধ্যম এবং শিক্ষার্থী জ্ঞানের নিষ্ক্রিয় শ্রোতা বা গ্রহীতা। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১১. কৃত্তিমতা :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা প্রায় সম্পূর্ণরূপেই একটি কৃত্রিম প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীর পাঠক্রম , মূল্যায়ন , পঠন - পাঠন পদ্ধতি সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত। এখানে শিক্ষার্থীর নিজস্ব আশা - আকাঙ্খা ও চাহিদার কোনো গুরুত্ব থাকেনা। 

১২. গতিহীন প্রক্রিয়া :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা একটি গতিহীন প্রক্রিয়া। সামাজিক পরিবর্তন ও বিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ধরণের শিক্ষায় পরিবর্তনের সুযোগ কম। ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেনা। 

১৩. নির্দেশনা :- 
শিক্ষা নির্দেশনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা পরিচালিত হয়। নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীর মধ্যে সঞ্চালনের চেষ্টা করা হয়। বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয়গুলির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচিত হতে সাহায্য করে নির্দেশনা। 

১৪. আর্থিক বিষয় :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। বিদ্যালয় রক্ষনাবেক্ষন , শিক্ষা পরিচালনা , নির্দেশনা প্রদান - ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তাই পিছিয়ে পড়া রাষ্ট্র গুলির পক্ষে অনেকসময় এই বিপুল ব্যায়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

১৫. উপযোগিতাভিত্তিক :- 
সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা নির্দিষ্ট উপযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এর মূল লক্ষ্য হল কোনো এক প্রকার বিশেষ জ্ঞান , কৌশল বা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের উপযুক্ত হিসাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। শিক্ষার্থী এখানে নিজের অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশের পরিবর্তে জীবনযুদ্ধের ইঁদুর দৌড়ে নিজেকে নিয়োজিত করে। 

পরিশেষে বলা যায় , সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশ সাধন পরিপূর্ণরূপে না করতে পারলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা শিক্ষার্থীকে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন উপহার দেয় , জ্ঞানের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচিতি ঘটায় - যা শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন নতুন জ্ঞান লাভের প্রেষণা যোগায়।    

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো                   

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের সমন্বয়। 

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে তুমি কোনটিকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে কর ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। 

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা কর। 




শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের সমন্বয়। 


শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য কেবলমাত্র ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ; সমাজ এখানে গৌণ বিষয়। ব্যক্তির বিভিন্ন চাহিদাগুলি পূরণের মাধ্যমে ব্যক্তির বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হল ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য। শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার লক্ষ্যের প্রবক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন - স্যার পার্সি নান , বার্ট্রান্ড রাসেল , স্বামী বিবেকানন্দ - প্রমুখ। 

অন্যদিকে শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য শিক্ষাকে সামাজিক কল্যানে নিয়োজিত করার পক্ষপাতী। ব্যক্তি এখানে গৌণ বিষয়। শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যগুলি সমাজকে কেন্দ্র করে রচিত হয়। শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রবক্তাদের মতে , কোনো ব্যক্তিই সমাজের উর্দ্ধে নয়। সমাজই ব্যক্তিকে তার দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে এবং চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রবক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন - হার্বার্ট স্পেনসার , মহাত্মা গান্ধী - প্রমুখ। 

তবে আধুনিক শিক্ষাবিদ , দার্শনিক ও মনোবিদরা - প্রত্যেকেই শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে কোনো একটিকে চরমভাবে গ্রহণ করার পক্ষপাতী নন। তাঁদের মতে , শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে কোনো একটিকে চরমভাবে গ্রহণ করলে তা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের পক্ষেই ক্ষতিকারক হবে। তাই আধুনিককালে শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার পক্ষপাতী। এর পেছনে তাঁদের যুক্তিগুলি হল - 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

ব্যক্তি ও সমাজের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা :- 
কোনো ব্যক্তির পক্ষেই সমাজের বাইরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় ; আবার , ব্যক্তিকে ছাড়া কোনো সমাজ গঠিত হতে পারেনা। তাই ব্যক্তি ও সমাজ একে অপরের উপর নির্ভরশীল ও পরিপূরক। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সামাজিক পরিবেশেই গড়ে ওঠে ; আবার সমাজের বিবর্তন , ইতিবাচক সংস্কার - ইত্যাদি ব্যক্তির মাধ্যমেই ঘটে থাকে। তাই শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক উভয়ই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত। 

ব্যক্তি ও সমাজকল্যাণে শিক্ষা :- 
শিক্ষার মাধ্যমে একই সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজ কল্যাণ সাধিত হয়। ব্যক্তিকে প্রদত্ত শিক্ষা সমাজকল্যাণের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত হয় এবং সমাজ সর্বদা শিক্ষা সহ ব্যক্তির অন্যান্য চাহিদা পূরণে সক্রিয় হয়। তাই ব্যক্তিকে সেই সকল শিক্ষাই দেওয়া উচিত যা সমাজকল্যাণের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত হবে। ব্যক্তি সকল প্রকার আশা আকাঙ্খা পূরণ করে সমাজের মধ্যেই। তাই শিক্ষা সর্বদা সমাজকল্যাণে নিয়োজিত হওয়া উচিত ; তা না হলে ব্যক্তি স্বার্থ বিপন্ন হবে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

শিক্ষা ও সামাজিক উৎপাদন :- 
শিক্ষা ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তির মধ্যে উৎপাদনশীলতা গড়ে তোলে। এই উৎপাদনশীলতার দ্বারা ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত হয় ও সমাজের কল্যাণ সাধন করে। যদি শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির মধ্যে এমন ধরণের উৎপাদনশীলতা তৈরী করা হত - যা সমাজে প্রচলিত বা গ্রহণযোগ্য নয় - তাহলে ব্যক্তির সেই উৎপাদনশীলতার মূল্য হত শূন্য। তাই শিক্ষা ব্যক্তির মধ্যে সেই ধরণের উৎপাদনশীলতা তৈরী করে যা সমাজের প্রয়োজনে নিয়োজিত করা যায়। মহাত্মা গান্ধী তাঁর বুনিয়াদি শিক্ষার মধ্যে শিক্ষার সঙ্গে সামাজিক উৎপাদনশীলতার বিষয়টিকে যুক্ত করেছিলেন। 

শিক্ষা প্রকল্প ও কর্মসূচী :- 
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচী যুক্ত থাকে। এই প্রকল্প ও কর্মসূচীগুলি শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান সম্পর্কে এবং নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে অবগত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , বিদ্যালয়ের তরফে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী গ্রহীত হলে বর্তমান প্রকৃতিতে সবুজের অভাবে প্রকৃতি যে ভীষণভাবে বিপন্ন - সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অবগত হয় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের কর্তব্যকেও উপলব্ধি করতে পারে। তাই শিক্ষা প্রকল্প ও কর্মসূচীগুলি একদিকে যেমন সামাজিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যায় আবার অন্যদিকে শিক্ষার্থীর মধ্যেও বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলে। 

পরিশেষে বলা যায় , ব্যক্তি ও সমাজের যথার্থ বিকাশের জন্য শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য ও সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের মধ্যে আদর্শ সামঞ্জস্য বিধান করা প্রয়োজন। তাই বর্তমান শিক্ষাবিদগণ ও শিক্ষাদর্শনিকগণ শিক্ষাক্ষেত্রে উভয়কেই প্রয়োজনানুসারে গ্রহণ করেছেন।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো                

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য কাকে বলে ? শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর। 

শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য : ধারণা , সুবিধা ও অসুবিধা। 




শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের ধারণা :- 


শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রবক্তাদের মতে শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য শিক্ষাকে সমাজকল্যাণের উপাদান হিসাবে পরিচালিত করে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েরই বিকাশ সাধন করে। প্রতিটি শিশু সমাজের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে এবং সমাজের মধ্যেই বেড়ে ওঠে এবং সমগ্র জীবন অতিবাহিত করে। তাই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমাজের একটি বিরাট ভূমিকা থাকে। সমাজতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির সমাজের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। 

হেগেল বলেছেন , রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নতির মধ্যে দিয়েই ব্যক্তি কল্যাণ সম্ভব। ব্যক্তির স্বার্থেই শিক্ষা সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য কেন্দ্রিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। 

মনোবিদ রস শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য হিসাবে সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে , সমাজের কল্যাণের মধ্যে দিয়েই ব্যক্তির কল্যাণ সাধিত হয়। 

ডিউই - এর মতে , সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সামর্থ্য গড়ে তোলে। এই সামর্থ্যগুলি ছাড়া ব্যক্তির জীবন পরিপূর্ণ হতে পারে না।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের সুবিধা :-


(i) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীর জীবন রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বে গড়ে ওঠে। ফলে যারা দুর্বল , বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন - তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে শিক্ষা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদান করে। 

(ii) শিক্ষার পরিকাঠামো , গতিধারা - ইত্যাদি নির্ধারণ করে সমাজ। তাই সমাজ কল্যাণ ব্যাতীত অন্য কোনো লক্ষ্যে শিক্ষা পরিচালিত হতে পারেনা। শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের উন্নতি সাধিত হলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তির কল্যাণ সংগঠিত হয়। 

(iii) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। সমাজতান্ত্রিক শিক্ষায় ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন নিয়ম , আদব - কায়দা , রীতিনীতি - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। 

(iv) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। সমাজতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি বৃহত্তর সমাজের সমাজের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এবং সেই মত নিজেকে পরিচালিত করতে পারে। 

(v) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে যথার্থ অভিযোজনে সাহায্য করে। সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে বিশেষ বিশেষ সামর্থ্য প্রদান করে তাকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। ফলে ব্যক্তি তার সমাজে একজন সফল নাগরিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। 

(vi) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা সমাজে শিক্ষার প্রসারকে সর্বজনীন করে তোলে। সমাজে যদি শুধুমাত্র শিক্ষার  ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য প্রচলিত থাকতো তাহলে শিক্ষা সমাজের কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থেই শিক্ষা পরিচালিত হত। কিন্তু শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য সেই সমস্যার সমাধান করে। 

(vii) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য সমাজে শ্রমবিভাজনের গতিধারাকে অব্যাহত রাখে। শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য ব্যক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদনশীলতার সঙ্গে পরিচিত করায়। ফলে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদনশীলতার সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের অসুবিধা / সীমাবদ্ধতা :- 


(i) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যকে মনোবিজ্ঞান তীব্রভাবে সমালোচনা করে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে প্রতিটি শিশু স্বতন্ত্র্য সত্তা নিয়ে জন্মায়। তাদের প্রত্যেকের চাহিদা , সামর্থ্য , দক্ষতা - সবই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির হয়। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক শিক্ষাধারা শিশুদের সেই ভিন্নতাকে গুরুত্ব না দিয়ে সকলকে একই ধরণের শিক্ষায় অভ্যস্থ করে তোলার পক্ষপাতী - যা বিজ্ঞানসম্মত নয়। 

(ii) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য সামাজিক শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে। এর ফলে ব্যক্তিস্বার্থ উপেক্ষিত হয় ; শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে না। 

(iii) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়না। এইভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতা বাধা পেয়ে তা পক্ষান্তরে সমাজের অগ্রগতিকেই প্রতিরোধ করে। 

(iv) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যে শিক্ষার লক্ষ্য শাসকের আদর্শে প্রভাবিত হতে বাধ্য। শাসক নিজেদের ইচ্ছা অনুসারে শিক্ষাধারাকে পরিচালিত করতে পারেন নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে। 

(v) যেহেতু শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যে ব্যক্তির স্বতন্ত্র্য চাহিদাগুলিকে উপেক্ষা করা হয় তাই সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য কখনোই ব্যক্তির সৃজনশীলতা ও কৃষ্টিমূলক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে পারেনা। 

(vi) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছা , সামর্থ্য ও আগ্রহ অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়না। 

(vii) যেহেতু শিক্ষার্থী তাঁর নিজের অন্তর্নিহিত সত্তার পূর্ণ বিকাশ স্বাভাবিকভাবে ঘটাতে পারেনা , তাই সমাজতান্ত্রিক শিক্ষাধারা গণতন্ত্রেরও পরিপন্থী।  

পরিশেষে বলা যায় , শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও তার নেতিবাচক দিকগুলিকে উপেক্ষা করা যায়না। সমাজে শুধুমাত্র সমাজতান্ত্রিক শিক্ষাধারা প্রচলিত হওয়া কখনোই কাম্য নয়।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য কাকে বলে ? শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর। 



শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য :- 


শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের ধারণা :- 


শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য ব্যক্তির সর্বাঙ্গীন উন্নতির উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে। ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রবক্তাদের মতে ব্যক্তি হল প্রধান বিবেচ্য বিষয় এবং ব্যক্তির উন্নয়নের মাধ্যমেই সমাজের ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব। ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা একজন ব্যক্তির সবধরণের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তাকে উপযুক্ত করে তোলে এবং উপযুক্ত ও সক্ষম ব্যক্তিবর্গের দ্বারাই সমাজের যাবতীয় কল্যাণ ও অগ্রগতি সাধিত হয়। ব্যক্তিস্বাধীনতার অন্যতম প্রবক্তা রুশো ব্যক্তির বিকাশের উপরেই অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ ব্যক্তির মধ্যে থাকা অন্তর্নিহিত সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনকেই শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন। 

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রবক্তাগণ :- 


শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রধান প্রবক্তাগণ হলেন - স্বামী বিবেকানন্দ , রুশো , টমাস শিল্ড , স্যার পার্সি নান , বার্ট্রান্ড রাসেল , সক্রেটিস - প্রমুখ। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের সুবিধা :- 


(i) পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তি পরস্পরের তুলনায় স্বতন্ত্র্য। তাদের আশা - আকাঙ্খা , চাহিদা , মেধা , দক্ষতা - সবই স্বতন্ত্র্য। একমাত্র ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির সেই সকল ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। কেবলমাত্র ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণাঙ্গ বহিঃপ্রকাশ সম্ভব। 

(ii) ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা প্রতিটি ব্যক্তিকে দক্ষ ও উৎপাদনশীল করে তোলে। এই দক্ষ ব্যক্তিবর্গ সমাজের কল্যাণ সাধনে নিয়োজিত হয়। ব্যক্তির বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে ব্যক্তিকে সমাজের পক্ষে উপযোগী ও কার্যকর করে তোলে ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা। 

(iii) শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্যের প্রধান ত্রুটি হল দলগত পঠন - পাঠন। দলগত পঠন - পাঠনে কখনোই ব্যক্তির স্বতন্ত্র্য সত্তার বিকাশ ঘটতে পারেনা। কিন্তু ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির একক সত্তা পরিপূর্ণতা লাভ করে। 

(iv) সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা কখনোই ব্যক্তিকে আত্মোপলব্ধিতে সহায়তা করে না। ভাববাদী শিক্ষা দার্শনিকগণ আত্মোপলব্ধিকেই শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তাই একমাত্র ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির আত্মোপলব্ধি সম্ভব। 

(v) ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সমাজেরও বিকাশ ও কল্যাণ সাধন করে। একটি সমাজে অবস্থানকারী ব্যক্তিবর্গের দ্বারা সমাজ কল্যাণ সম্ভব হয়। তাই ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিবর্গের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধিত হলে তার ফলস্বরূপ সমাজেরও কল্যাণ সাধিত হয়। 

(vi) জৈবিক মতবাদের প্রবক্তাগণ মনে করেন প্রতিটি মানুষ একটি পৃথক জৈবিক সত্তা। ব্যক্তির প্রয়োজনেই সমাজ গঠিত হয় , সমাজের প্রয়োজনে ব্যক্তি জন্ম নেয়না। তাই পরিবেশের মুখ্য উপাদান ব্যক্তি ; সমাজ নয়। যেহেতু ব্যক্তিই পরিবেশের মুখ্য উপাদান , সেহেতু ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির বিকাশ সম্ভব। 

(vii) আজ পর্যন্ত সমাজের যা কিছু কল্যাণ সাধিত হয়েছে , যা কিছু বিবর্তন হয়েছে - তা সমাজের কিছু নির্দিষ্ট দক্ষ ও প্রগতিশীল ব্যক্তির মাধ্যমে। তাই বলা যেতে পারে ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ উভইয়েরই কল্যাণ সাধন করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের অসুবিধা :- 


(i) চরম ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে আত্মসর্বস্ব ও স্বার্থপর করে তুলতে পারে। বস্তুতঃ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে সমাজের ভূমিকা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায়না। তাই আত্মসর্বস্ব ব্যক্তি সমাজের পক্ষে কখনোই কল্যাণকর হতে পারেনা। 

(ii) ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যক্তিকে চূড়ান্ত স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অবাধ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর হয়ে ওঠে। এমনকী , সেই চূড়ান্ত ও অবাধ স্বাধীনতা সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারার ফলে ব্যক্তি নিজের জীবনকেও দুর্বিসহ করে তোলে। অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা ব্যক্তিকে উশৃঙ্খল করে তোলে। 

(iii) শিক্ষার ব্যক্তিকেন্দ্রিক মতবাদে বিশ্বাসী শিক্ষাবিদগণ প্রয়োগবাদের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। মনীষীদের দ্বারা সমাজকল্যাণ সাধিত হয় ঠিকই ; কিন্তু মনীষীগণ সমাজ ও সংস্কৃতি দ্বারাও গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন - একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। 

(iv) প্রতিটি ব্যক্তি যেহেতু সমাজের অংশ তাই সমাজকে বাদ দিয়ে কোনো ব্যক্তির সর্বাঙ্গীন উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। ব্যক্তির শিক্ষা , বেক্তিত্ব সবই সমাজের মধ্যেই নির্মিত হয়। তাই শুধুমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ কারো পক্ষেই মঙ্গলজনক নয়। 

(v) শিক্ষার লক্ষ্য হিসাবে কখনোই সমাজ কল্যাণকে উপেক্ষা করা যায়না। ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষার প্রবক্তাগণ ব্যক্তিকে অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করে সমাজকে উপেক্ষা করেছেন। এর ফলে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েরই প্রগতি ব্যাহত হয়। 

(vi) অর্থনৈতিক দিক দিয়েও ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা কাম্য নয়। কেননা , সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষার আর্থিক ভার বর্তমান কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। 

পরিশেষে বলা যায় , শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যের কিছু সুবিধা থাকলেও সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিতান্ত্রিক শিক্ষা কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষা একটি সামাজিক বিষয়। তাই সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা প্রবর্তিত হলে যে সমস্যাগুলি দেখা দেবে - তাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায়না।    

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো        
 
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

শিক্ষার বিভিন্ন লক্ষ্যগুলি আলোচনা কর।   

অথবা , শিক্ষার বিভিন্ন প্রকার লক্ষ্যগুলি কী কী ? 




শিক্ষার বিভিন্ন প্রকার লক্ষ্য :- 


যেহেতু শিক্ষা একটি বহুমুখী প্রক্রিয়া - তাই শিক্ষার লক্ষ্যও বহুমুখী। শিক্ষা কখনোই লক্ষ্যহীন হতে পারেনা। সমাজ বিকাশ ও বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাই শিক্ষার লক্ষ্যগুলিও পরিবর্তনশীল। ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা দার্শনিকগণ শিক্ষার ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য সম্পর্কে আলোকপাত করলেও তাঁরা সকলেই শিশুর সার্বিক উন্নয়ন ও মানব জীবনের সর্বাঙ্গীন উৎকর্ষতার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার সাধারণ লক্ষ্যগুলি নিম্নরূপ। 

১. ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য :- 
ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য রচিত হয়। প্রতিটি ব্যক্তির দৈহিক , বৌদ্ধিক , সামাজিক , কৃষ্টিমূলক , নৈতিক , সৃজনশীল , প্রাক্ষোভিক , মূল্যবোধ - ইত্যাদি উপাদানের সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্য পরিচালিত হয়। প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে ব্যক্তিতান্ত্রিক লক্ষ্যগুলির সমাবেশ ঘটিয়ে ব্যক্তি ও সমাজ কল্যাণ উভয়ই চরিতার্থ করা সম্ভব হয়। 

২. সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য :- 
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের মধ্যেই সে বেড়ে ওঠে এবং তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। তাই ব্যক্তির সামাজিক দিকগুলির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে তার মধ্যে সামাজিকতার বিকাশ ঘটানোই হল শিক্ষার সমাজতান্ত্রিক লক্ষ্য। যেহেতু ব্যক্তি , শিক্ষা ও সমাজ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত - তাই সামাজিক লক্ষ্যগুলি সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনশীল। 

৩. জ্ঞানার্জনের লক্ষ্য :- 
শিক্ষার একটি অন্যতম লক্ষ্য হল জ্ঞানার্জন। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার পরিচিত ও অপরিচিত জগৎ , কর্মজগৎ - ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে। শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তি বিশ্ব - ব্রহ্মান্ডের বিভিন্ন রহস্যের সঙ্গে পরিচিত হয় , আর্থ - সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে পরিচিত হয় , রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক কাঠামো সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. বৃত্তিমূলক লক্ষ্য :- 
শিক্ষা মানুষের মধ্যে উৎপাদনশীলতা তৈরি করে এবং শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার সমাজের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে পরিচিত হয়। বৃত্তিশিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারে। এককথায় বলা যায় , শিক্ষার বৃত্তিমূলক লক্ষ্য ব্যক্তিকে জীবিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। 

৫. শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের লক্ষ্য :- 
শিশুর যথার্থ বিকাশ শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও শিশুর বৃদ্ধি শিক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। কিন্তু তবুও , যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর বৃদ্ধিকে গঠনমূলক পথে পরিচালিত করা যায়। এছাড়াও শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি শিশুর দৈহিক , বৌদ্ধিক , সামাজিক , কৃষ্টিমূলক , নৈতিক , সৃজনশীল , প্রাক্ষোভিক , মূল্যবোধ - ইত্যাদির সর্বাঙ্গীন বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষা পরিচালিত হয়। 

৬. অভিযোজনের লক্ষ্য :- 
Horney ও Raymont উভয়ই শিক্ষার অভিযোজনের লক্ষ্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মানব সভ্যতার ইতিহাস বিবর্তিত ও বিকশিত হয়েছে অভিযোজনের হাত ধরেই। যথার্থ শিক্ষার মাধ্যমে শিশু পরিবর্তনশীল প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে সার্থক অভিযোজন ঘটিয়ে নিজের বিকাশ ঘটাতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. নৈতিক লক্ষ্য :- 
শিক্ষার নৈতিক লক্ষ্যের অন্যতম প্রবক্তা হলেন হার্বার্ট। তাঁর মতে , শিক্ষা একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য হল শিশুর নৈতিকতার বিকাশ। দার্শনিক Locke শিশুর নৈতিক চরিত্র গঠনকেই শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য বলে দাবী করেছেন। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছেন - শিক্ষার লক্ষ্য হল মানুষের নৈতিক গুণাবলীকে বিকশিত করা। 

৮. আধ্যাত্মিক লক্ষ্য :- 
শিক্ষার আধ্যাত্মিক লক্ষ্যের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন ভাববাদী শিক্ষা - দার্শনিকগণ। রবীন্দ্রনাথ , স্বামী বিবেকানন্দ , ফ্রয়েবেল - সকলেই শিক্ষার আধ্যাত্মিক লক্ষ্যকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন। তাঁদের মতে , সকল শিক্ষার মূল লক্ষ্য হল নিজেকে জানা এবং নিজেকে জানার মধ্যে দিয়ে এই জগতের সকল বন্ধন থেকে মুক্তিলাভ করা। 

৯. কৃষ্টিমূলক ও সৃজনশীলতার লক্ষ্য :- 
শিক্ষা মানুষের কল্পনাশক্তি , দার্শনিকবোধ - ইত্যাদির উন্নতি ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃজনশীল মনোভাব গড়ে তোলে। শিক্ষা ব্যক্তির কৃষ্টি ও সৃজনশীলতাকে যথার্থ পথে পরিচালিত করে। বস্তুতঃ মানব সভ্যতার বিকাশলাভ ঘটেছে ব্যক্তির কৃষ্টিমূলক ও সৃজনশীল মানসিকতার মাধ্যমেই। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির সেই সৃজনশীলতাকে সঠিক অভিমুখে পরিচালিত করা বাঞ্চনীয়। 

১০. সাংস্কৃতিক লক্ষ্য :- 
প্রতিটি সমাজের নিজস্ব সংস্কৃতি বর্তমান। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের পরিচিত সমাজের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করার পাশাপাশি বৃহত্তর জগতে প্রচলিত সংস্কৃতি সম্পর্কেও জ্ঞানলাভ করে। এইভাবে শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি যেমন একদিকে সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে তেমনি অন্যদিকে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঞ্চালনেও শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

১১. গণতান্ত্রিকতার লক্ষ্য :- 
বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শগুলির মধ্যে গণতান্ত্রিকতার আদর্শ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি সমাজ গণতন্ত্রকে নিজেদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় স্থান দিয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি গণতন্ত্রের মূল বক্তব্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে এবং তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব গড়ে ওঠে। এইভাবে জাতীয় জীবনে শিক্ষা গণতন্ত্রের প্রসারে সহায়ক হয়ে ওঠে। 

১২. জাতীয় সংহতি ও জাতীয়তাবোধের লক্ষ্য :- 
জাতীয় সংহতি রক্ষার একটি প্রধান উপাদান হল শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি তার জাতীয় জীবন সম্পর্কে পরিচিত হয়। নিজেদের ভাষা , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য - ইত্যাদির ভিত্তিতে তারা একটি জাতিতে পরিণত হয় এবং তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে শিক্ষা একটি প্রধান উপাদান। শিক্ষা ব্যতীত কোনো সমাজেই সুষ্ঠভাবে জাতীয় সংহতি রক্ষা ও জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটানো সম্ভব নয়। 

পরিশেষে বলা যায় যে , আধুনিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন। সেই লক্ষ্য চরিতার্থ করতে শিক্ষা ব্যক্তিজীবনের ভিন্ন ভিন্ন বিকাশের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ; যার ফলে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়েরই কল্যাণসাধন হয়।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো        
 
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (64)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates