Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার নীতি। 




সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার নীতি :- 


বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব নীতি অনুসরণ করা উচিত সেগুলি হল - 

১. গণতান্ত্রিকতার নীতি :-
ব্যক্তি যেমন নিজ ইচ্ছায় বৃত্তি গ্রহণ করে , ঠিক সেরকমভাবেই বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর প্রতি আকৃষ্ট করে তুলবে এবং সেক্ষেত্রে তার দক্ষতার বিকাশের সুযোগ তৈরী হবে। 

২. নির্দিষ্ট সময়ের নীতি  :- 
বিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত সময়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনা করা উচিত। এর ফলে একদিকে যেমন সকল শিক্ষার্থী সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে এবং নিজের পছন্দমত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করতে পারবে ; তেমনি অন্যদিকে বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীর আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। 

৩. সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্যের নীতি :- 
বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য থাকা উচিত। সুপরিকল্পিত উপায়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনা করতে পারলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া সম্ভব। 

৪. সুযোগ্য শিক্ষক নির্বাচনের নীতি  :- 
বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুযোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকের একান্ত প্রয়োজন। একজন সুযোগ্য শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীর মধ্যে গঠনমূলকভাবে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির রূপরেখা তৈরী করে সেগুলির যথার্থ বাস্তবায়ন ঘটাতে এবং সফলভাবে শিক্ষার উদ্দেশ্য পূরণ করতে। 

৫. যথার্থ নেতৃত্ব নির্বাচনের নীতি  :- 
বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালিত হয়। এগুলির প্রকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন - বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞান কর্মশালা - এই দুটি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী চরিত্রগতভাবে ভিন্ন। তাই সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার সময় নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দক্ষতা সম্পন্ন নেতৃত্ব নির্বাচন করা উচিত। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৬. শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের নীতি  :- 
বিদ্যালয়ে পরিচালিত বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থী যে কোনো এক একাধিক ক্ষেত্রে লিপ্ত হচ্ছে কি'না - সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা অনাগ্রহ , লাজুক স্বভাব , সুযোগ না পাওয়া - ইত্যাদি কারণে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করেনা। ফলে শিক্ষার উদ্দেশ্য অসম্পূর্ণ থেকে যায়। 

৭. উপকরণের যোগান সংক্রান্ত নীতি :- 
বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার জন্য বিভিন্ন উপকরণ প্রয়োজন। এই সকল উপকরণগুলি বিদ্যালয়ে যথেষ্ট পরিমানে না থাকলে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি যথার্থভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। উপকরণগুলিই শিক্ষার্থীকে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। যেমন বিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি ফুটবল থাকলে শিক্ষার্থীরা সহজেই সেই বলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে। 

৮. তথ্য নথিভুক্তি ( Data record ) সংক্রান্ত নীতি  :- 
বিদ্যালয়ে পরিচালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির সম্পর্কে সকল তথ্য নথিভুক্ত রাখা উচিত। যেমন - কোন কোন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনা করা হচ্ছে , তাতে কারা কারা অংশগ্রহণ করছে , অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারা কারা বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে - ইত্যাদি। এইসকল তথ্য একটি লম্বা সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট উপযুক্ত শিক্ষর্থীকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। 

৯. পাঠক্রমকে অবহেলা না করার নীতি  :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি বৈচিত্রময় এবং শিক্ষার্থীরা সহজেই এগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তবে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনার সময় গুরুত্বসহকারে খেয়াল রাখা উচিত যাতে পাঠক্রম কোনোভাবেই অবহেলিত না হয়। কেননা , পাঠক্রম অবহেলিত হলে শিক্ষার্থী তার মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হবে। 

১০. শৃঙ্খলা রক্ষার নীতি  :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি আনন্দদায়ক এবং সেগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকে। তাই বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনার সময় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

১১. মূল্যায়নের নীতি  :- 
বিদ্যালয়ে পরিচালিত প্রতিটি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মূল্যায়ন হওয়া উচিত। তবে পাঠক্রমের ক্ষেত্রে যেমন মূল্যায়নের নীতি অনুসরণ করা হয় , সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে তা ভিন্নধর্মী হতে হবে। যেকোনো সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে মূল্যায়ন ও পুরস্কারের ব্যবস্থা শিক্ষার্থীকে উৎসাহিত করে তোলে। 

১২. স্থানীয় বিষয়ে গুরুত্ব প্রদানের নীতি  :- 
বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় বিষয়গুলিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এর ফলে একদিকে যেমন স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে , তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির সঙ্গে একাত্মবোধ করতে পারবে। 

১৩. শিক্ষামূলক ভূমিকা সংক্রান্ত নীতি :- 
বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে। তাই প্রতিটি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর একটি শিক্ষামূলক ভূমিকা থাকা উচিত। বিদ্যালয়ে এমন কোনো সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনা করা উচিত নয় - যা শিক্ষাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে গুরুত্বহীন। 

১৪. বৈচিত্রের নীতি :-   
বিদ্যালয়ে পরিচালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি অবশ্যই বৈচিত্রময় হওয়া উচিত। তা না হলে সেগুলি শিক্ষার্থীর নিকট একঘেঁয়ে ও বিরক্তিকর হয়ে উঠবে এবং শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বৈচিত্রপূর্ণ সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষার্থীকে সহজেই আকৃষ্ট করবে। 

১৫. নমনীয়তার নীতি :- 
বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পরিচালনার সময় অবশ্যই নমনীয়তার নীতি অনুসরণ করা উচিত। অনাবশ্যক কঠোরতা , কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ , শৃঙ্খলা রক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা হরণ করা - ইত্যাদি বিষয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির প্রতি অনীহা তৈরী করবে।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো    
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর গুরুত্ব বা উপযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা কর। 

সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর শিক্ষামূলক গুরুত্ব। 



সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর শিক্ষামূলক গুরুত্ব। 

১. দৈহিক ও মানসিক বিকাশ :-
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী দৈহিক ও মানসিক উভয় ধরণের বিকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। দৈহিক সুস্থতা ও দৈহিক বিকাশকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মানসিক বিকাশ ঘটানো অর্থহীন। তাই সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি শিক্ষার্থীকে দৈহিক বিকাশের পথ প্রশস্ত করে। ফলে শিক্ষার্থী উপযুক্ত জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। 

২. নেতৃত্বদানের শিক্ষা :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি শিক্ষার্থীর মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানের দক্ষতা তৈরী করে। বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে শিক্ষার্থীদেরকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানের মানসিকতা গড়ে ওঠে। 

৩. মানবিক গুণাবলীর বিকাশ :- 
পাঠক্রমের সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এইসকল মানবিক গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম হল - উদার মনোভাব , প্রীতি , সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা , সংবেদনশীলতা , সংবেদনশীলতা , বন্ধুপ্রীতি - ইত্যাদি। 

৪. সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক গুণাবলীর বিকাশেও সহায়তা করে। এইসকল সামাজিক শিক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম হল - মত প্রকাশের ক্ষমতা , সংযোগসাধনের ক্ষমতা , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি , পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের ক্ষমতা , নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা , সুনাগরিকের শিক্ষা , সেবামূলক মনোভাব - ইত্যাদি। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উক্ত বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা গ্রহণ করে ও সমাজে উপযুক্ত নাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৫. নৈতিক ও চারিত্রিক বিকাশ :- 
সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিক ও চারিত্রিক বিকাশ ঘটাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান , ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , সামাজিক পরিষেবামূলক কার্যাবলী - ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তোলে। 

৬. বিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষণ :- 
বিদ্যালয়ে পালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি চরিত্রগতভাবে বৈচিত্রময়। শ্রেণীকক্ষের কঠোরতা , মূল্যায়ন - ইত্যাদির কঠোরতা এখানে না থাকায় শিক্ষার্থী সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ বোধ করে। ফলে পরোক্ষভাবে বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ তৈরী হয়। 

৭. শৃঙ্খলাবোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিকাশ :- 
বিদ্যালয়ে পালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলির সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের উপর। ফলে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিকাশ গড়ে ওঠে। 

৮. সৃজনশীলতার বিকাশ :- 
শিক্ষার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন সুপ্ত প্রতিভাগুলি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। সংগীত , অঙ্কন , সাহিত্য রচনা , খেলাধুলা , বৈজ্ঞানিক প্রয়োগ , হাতের কাজ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর নিকট উন্মোচিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সৃজনশীলতার আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে। 

৯. অবসর যাপনের শিক্ষা :- 
অবসর যাপনের শিক্ষা হল শিক্ষার্থীর জীবনের একটি মূল্যবান শিক্ষা। অবসর যাপনের শিক্ষা যথার্থ হলে শিক্ষার্থীর জীবন হয়ে ওঠে অর্থপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। সহপাঠক্রম শিক্ষার্থীদের কৃষ্টিমূলক বিকাশে উৎসাহিত করে। শিক্ষার্থী অবসর সময়ে নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সৃজনশীলতাকে অনুসরণ করে। যথার্থ অবসর যাপনের শিক্ষা শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। 

১০. জাতীয়তাবোধ ও আন্তর্জাতিকতাবোধের শিক্ষা :- 
বিদ্যালয়ে পালিত বিভিন্ন জাতীয় দিবস - যেমন - স্বাধীনতাদিবস পালন , প্রজাতন্ত্র দিবস পালন , স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস পালন - ইত্যাদি ; এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দিবস যেমন - বিশ্ব পরিবেশ দিবস , আন্তর্জাতিক নারী দিবস - ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও আন্তর্জাতিকতাবোধের চেতনা গড়ে ওঠে।     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর পার্থক্য। 

পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির তুলনামূলক আলোচনা। 



পাঠক্রম ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির পার্থক্য। 


১. পূর্বনির্ধারিত :-
প্রতিটি পাঠক্রম পূর্বনির্ধারিত। শিক্ষার্থীদের বয়স , সামর্থ্য ইত্যাদির ভিত্তিতে সুপরিকল্পিতভাবে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা পাঠক্রম রচিত হয়। 
কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি পূর্ব নির্ধারিত হতেও পারে আবার না'ও হতে পারে। যেমন বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন হল একটি পূর্বনিধারিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি ; কিন্তু হঠাৎ করে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়টি সবসময় পূর্বনির্ধারিত থাকে না। 

২. মূল্যায়ণ :- 
প্রতিটি পাঠক্রমের চূড়ান্ত স্তর হল মূল্যায়ণ। প্রতিটি শিক্ষার্থীর দক্ষতা যাঁচাইয়ের ক্ষেত্রে মূল্যায়ণ হল একটি প্রথাগত রীতি। 
কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি বিদ্যালয়ে পালন করা হলেও সেবিষয়ে কোনো মূল্যায়ণ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয়না। 

৩. তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক :- 
পাঠক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের প্রতিই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক দিকের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হলেও তাত্ত্বিক দিকটি সাধারণতঃ উপেক্ষিত থাকে। 

৪. শিক্ষক :-
পাঠক্রম পরিচালনা করেন নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষক নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে বুৎপত্তি অর্জন করেন এবং শিক্ষকতার যোগ্যতা অর্জন করেন। 
কিন্তু সহকপাঠক্রমিক কার্যাবলি পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো যোগ্যতা বাঞ্চনীয় নয়। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বিষয়গুলি শিক্ষক , ছাত্র - সকলের দ্বারা সামগ্রিকভাবে পরিচালিত হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৫. শংসাপত্র :- 
পাঠক্রম হল একটি প্রথাবদ্ধ বিষয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পাঠক্রমের শেষে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী শংসাপত্র লাভ করে। এই শংসাপত্র তাকে ভবিষ্যৎ পঠন - পাঠন ও বৃত্তি ক্ষেত্রে সহায়তা করে। 
কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শংসাপত্রের ব্যবস্থা থাকলেও সেই শংসাপত্র ভবিষ্যৎ পঠন - পাঠনে খুব একটা গুরুত্ব পায় না। 

৬. শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ :- 
পাঠক্রমে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কর্তব্য এবং বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীকে পাঠক্রমের প্রতিটি স্তরে অংশগ্রহণ করতে হয়। যেমন বিদ্যালয়ের পঠন - পাঠন ও পরীক্ষায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। 
কিন্তু বিদ্যালয়ে পরিচালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের নিকট আবশ্যিক কর্তব্য নয়। তারা ইচ্ছা করলে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলিতে অংশগ্রহণ করতেও পারে আবার না'ও পারে। 

৭. সামাজিকীকরণ :- 
পাঠক্রমের একটি অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর সামাজিকীকরণ। তাত্ত্বিক দিক দিয়ে সেই লক্ষ্যে পাঠক্রমের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সংযোজিত করা হলেও বাস্তবে শিক্ষার্থীর সামাজিকীকরণের বিষয়টি সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর মাধ্যমেই সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। 

৮. বৈচিত্র :- 
আধুনিক পাঠক্রমে বৈচিত্রময় বিষয়ের সংযোজন ঘটানো হলেও স্বভাবগতভাবে তা শিক্ষার্থীর নিকট অতি দ্রুত একঘেঁয়ে বলে মনে হয়। কেননা পাঠক্রমের মধ্যে বৈচিত্র যতই থাকুক না কেন , প্রকৃতপক্ষে তা পঠন - পাঠন ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক। 
কিন্তু বিদ্যালয়ে পালিত সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলিতে শিক্ষার্থী সর্বদা আকর্ষণবোধ করে এবং তা পরোক্ষভাবে বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। 

৯. সৃজনশীলতা :- 
পাঠক্রমের মধ্যে বিভিন্ন জ্ঞানমূলক বিষয়ের সংযোজন ঘটানো হলেও তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশে যথেষ্ট নয়। 
কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীগুলি খুব সহজেই শিক্ষার্থীর মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়িয়ে তোলে। যেমন , বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে সাহিত্যপাঠ শিক্ষার্থীকে সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে - এমন সম্ভাবনা খুব কম ; কিন্তু বিদ্যালয় পত্রিকার জন্য লেখা চাওয়া হলে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সহজেই সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হয়ে উঠবে। 

১০. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ :- 
বিদ্যালয়ে পাঠক্রম পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে। এক্ষেত্রে প্রতিটি স্তরভেদে নির্দিষ্ট কর্তৃত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। 
কিন্তু সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকেনা এবং এগুলি পরিচালিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগে।     

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো   
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন : সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট। 

বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন কাকে বলে ? বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের বৈশিষ্টগুলি আলোচনা কর। 

বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের বৈশিষ্ট। 




বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন :- 


বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের ধারণার আত্মপ্রকাশ ঘটে ম্যাক্স ওয়েবারের সমাজ - দর্শনের সূত্র ধরে। যেসকল সামাজিক সংগঠন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে কৃত্রিমভাবে তৈরী হয় তাদের বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন বলে। বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন সর্বদা পূর্বপরিকল্পনাভিত্তিক। বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলিতে সাধারণ উদ্দেশ্যের পরিবর্তে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক হল গৌণ অর্থাৎ বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আবর্তিত হয় শুধুমাত্র উদ্দেশ্য ও চাহিদার ভিত্তিতে। 

বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের বৈশিষ্ট :- 


১. উৎপত্তিগতভাবে কৃত্রিম :- 
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন মানুষের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা প্রয়োজন পূরণের তাগিদে কৃত্রিমভাবে জন্ম নেয়। মানুষ সচেতনভাবে বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির জন্ম দেয়। মানব সমাজের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত এমন একটিও বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের উদাহরণ পাওয়া যাবেনা যার উৎপত্তি কৃত্রিমভাবে হয়নি। 

২. পূর্বপরিকল্পিত :-
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন মানুষের পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে জন্ম গ্রহণ করে। মানুষ তার নিজের এবং সমাজের প্রয়োজন পূরণের জন্য নির্দিষ্ট সামাজিক সংগঠনের তাগিদ অনুভব করে। তারপর সম্পূর্ণ একটি নতুন বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের জন্ম দেয় পূর্বপরিকল্পনার ভিত্তিতে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. সদস্যপদ :- 
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের সদস্যপদ ঐচ্ছিক ; অর্থাৎ সদস্যপদ গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণ ব্যক্তির ইচ্ছাধীন হয়ে থাকে। ব্যক্তি তার প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুসারে এক বা একাধিক বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করে। তাছাড়া , সদস্যপদ বর্জন করাটাও ব্যক্তির ইচ্ছাধীন। অন্যদিকে বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলিও তার সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করতে পারে। 

৪. উদ্দেশ্য :- 
বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলি সাধারণ উদ্দেশ্যের পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়। যেমন , বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে , ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদানের জন্য। বিদ্যালয়ের পক্ষে মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় ; আবার , ব্যাঙ্কের পক্ষে শিক্ষা প্রসারের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট। 

৫. সাংগঠনিক দিক :- 
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন পরিচালনার জন্য একটি সংগঠনের প্রয়োজন হয়। বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলি তার সংগঠনের মাধ্যমে তার সদস্যদের চাহিদা পূরণ করে এবং নিজ উদ্দেশ্য সফল করে। সংগঠনগুলি বিভিন্ন স্তরবিশিষ্ট হয় এবং প্রতিটি স্তরের নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির সফলতা নির্ভর করে সংগঠনের প্রতিটি অংশের নির্দিষ্ট ভূমিকা যথাযথভাবে পালনের উপর। 

৬. কর্তৃত্ব :-
বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির প্রতিটি স্তরে নির্দিষ্ট কর্তৃত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নির্দিষ্ট কর্তৃত্ব তার নির্দিষ্ট দায়িত্বের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন। নির্দিষ্ট কর্তৃত্ব তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির উদ্দেশ্য সফল হতে পারেনা। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. পরিচালনার নিয়ম - নীতি :- 
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট নিয়ম - নীতির ভিত্তিতে। এই নিয়ম নীতি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির কর্তৃত্ব তথা পরিচালক এবং সাধারণ সদস্য উভয়ের উপর প্রযুক্ত হয়। কোনো একপক্ষ যথাযথভাবে নিয়মবিধি পালন না করলে তাকে দায়িত্ব বা সদস্যপদ ত্যাগ করতে হয়।  যেমন ব্যাঙ্ক , বিদ্যালয় - ইত্যাদি সংগঠনগুলি কঠোরভাবে নিজেস্ব নিয়ম নীতিকে অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। 

৮. সংগঠন ও সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক :-
বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির সঙ্গে তার সদস্যদের সম্পর্ক গৌণ প্রকৃতির। এক্ষেত্রে সম্পর্ক শুধুমাত্র কাজ , চাহিদা , কর্তব্য , উদ্দেশ্যপূরণ - ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। যেমন একজন ব্যাঙ্ক কর্মীর সঙ্গে একজন উপভোক্তার সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে গৌণ। এই জাতীয় সম্পর্ক হল চুক্তিনির্ভর ও পরোক্ষ প্রকৃতির। 

৯. বাস্তব প্রয়োজন ভিত্তিক :- 
প্রতিটি বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন মানুষের বাস্তব প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়। প্রতিটি সমাজে মানুষের প্রয়োজন ও চাহিদা বহুমুখী ; যেমন - শিক্ষা , চিকিৎসা , ব্যাঙ্কিং পরিষেবা , পৌর পরিষেবা , আইন - শৃঙ্খলা রক্ষা - ইত্যাদি। এই বহুমুখী চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যেই বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির জন্ম হয়। মানব সমাজে এমন একটিও বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠন পাওয়া যাবেনা যার সঙ্গে মানুষের বাস্তৱ প্রয়োজনের কোনো সম্পর্ক নেই। 

১০. স্থায়িত্ব :- 
বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির সময়কাল ও স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার উদ্দেশ্য ও কার্যক্ষেত্রের উপর। যেসকল বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ থাকে তাদের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়। যেমন - শিক্ষা , চিকিৎসা , ব্যাঙ্কিং পরিষেবা , পৌর পরিষেবা , আইন - শৃঙ্খলা রক্ষা - ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রয়োজনীয়তা সর্বদা বর্তমান ; তাই এই জাতীয় বিধিবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলির স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়।      

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো           
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

সমাজ ও জনসম্প্রদায়ের পার্থক্য।  

সমাজ ও জনসম্প্রদায়ের তুলনামূলক আলোচনা।  




সমাজ ও জনসম্প্রদায়ের পার্থক্য। 


১. সমাজ হল একটি বিমূর্ত বিষয়। অর্থাৎ , পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে সমাজকে অনুভব করা যায়না এবং তার কোনো নির্দিষ্ট পার্থিব রূপ নেই। 
কিন্তু জনসম্প্রদায় হল একটি মূর্ত প্রতিষ্ঠান। জনসম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি উপাদানকে নির্দিষ্টরূপে অনুভব করা যায়। 

২. সমাজ হল ব্যক্তিবর্গের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের জাল। সমাজস্থ প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে আবদ্ধ। 
অন্যদিকে জনসম্প্রদায় হল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণ। এই জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক না থাকলেও তারা জনসম্প্রদায় হিসাবে বিবেচিত হবেন। 

৩. সমাজ একটি ব্যাপক ধারণা। নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই সমাজের কোনো নির্দিষ্ট সীমা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। 
অপর দিকে জনসম্প্রদায়ের একটি সীমাবদ্ধ পরিসর আছে এবং সমাজের তুলনায় জনসম্প্রদায়ের পরিধি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৪. নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলকে সমাজের উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়না। সমাজের ধারণাটি অনেক ব্যাপক যা কোনো ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। 
কিন্তু , নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল জনসম্প্রদায়ের একটি অপরিহার্য উপাদান। জনসম্প্রদায় গড়ে উঠতে গেলে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল থাকতেই হবে। 

৫. সমাজ সর্বদা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সমাজের মধ্যে অবস্থানকারী ব্যক্তিবর্গ তাদের যাবতীয় প্রয়োজন সমাজের মধ্যেই পূরণ করতে পারে। 
পক্ষান্তরে , জনসম্প্রদায়ের স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিষয়টি আপেক্ষিক। জনসম্প্রদায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। 

৬. সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অভিন্নতা ও বিভিন্নতা উভয়ই বর্তমান। রাজনীতি , অর্থনীতি , সমাজনীতি , সংস্কৃতি - ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ লক্ষ্য করা যায়। 
কিন্তু অভিন্নতা হল জনসম্প্রদায়ের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট। জনসম্প্রদায়ের মধ্যে ভাষা , রীতিনীতি , সংস্কৃতি , মূল্যবোধ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। 

৭. সমাজের ক্ষেত্রে '' আমরা বোধ '' বা We feeling বিষয়টি থাকতেও পারে আবার না'ও থাকতে পারে। আসলে সমাজ একটি বৃহত্তর বিষয়। এর মধ্যে এই ধরণের সমাজবোধ তৈরী হওয়া সাধারণত সম্ভব হয়না। 
কিন্তু , জনসম্প্রদায়গত মানসিকতা জনসম্প্রদায়ের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট। এই ঐক্যবোধ বা জনসম্প্রদায়গত মানসিকতা না থাকলে জনসম্প্রদায়ের অস্তিত্ব অর্থহীন হয়ে পড়ে।

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (64)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates