Pages

Powered by Blogger.
1ST SEMESTER SUGGESTION 2 ND YEAR SUGGESTION 2ND SEMESTER 3RD SEMESTER BENGALI NOTES CU suggestion. EDUCATION NOTES ENGLISH COMPULSORY GBU Suggestion. HISTORY EUROPE & WORLD HISTORY NOTES POL SC NOTES SOCIOLOGY NOTES WBCS 2020

NANDAN DUTTA

A new approach for exam notes .

কার্বনারি আন্দোলন কাকে বলে ? কার্বোনারি আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব আলোচনা কর। 




কার্বনারি আন্দোলন ও তার উদ্দেশ্য :- 


ইতালির ঐক্য আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে কার্বোনারি আন্দোলন একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। কার্বোনারি কথাটি এসেছে কার্বন অর্থাৎ অঙ্গার থেকে। কার্বোনারি সমিতির সদস্যরা জ্বলন্ত অঙ্গার বহন করে ইতালির মুক্তির আদর্শ প্রচার করত। ইতালির মুক্তিই ছিল কার্বনারিদের একমাত্র ব্রত। 

বস্তুতঃপক্ষে কার্বোনারি ছিল একটি গুপ্ত সমিতি। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের ভিয়েনা সম্মেলনের আঘাতে ইতালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কার্বোনারিদের হাত ধরেই ইতালির জাতীয়তাবাদ পুনরায় ফিনিক্স পাখির মত ভস্মস্তূপ থেকে নতুন করে উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল। 

কার্বোনারি সমিতির প্রধান কেন্দ্র ছিল নেপলস। কার্বোনারিদের উদ্দেশ্যগুলি ছিল - 
(ক ) ইতালিতে বিদেশি শাসনের অবসান করে ইতালির স্বাধীনতা অর্জন। 
(খ ) গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। 
(গ ) ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা। 
(ঘ ) নতুন সংবিধান প্রবর্তন করা। 
(ঙ ) নৈতিকতা ও সমাজতন্ত্রের উপর গুরুত্ব আরোপ করা। 

ঐতিহাসিক ম্যারিয়ট (Marriott) বলেছেন , কার্বোনারিরা প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনমত প্রতিষ্ঠা করে। এমনকি খ্রিস্টান ধর্মের গণতান্ত্রিক আদর্শ ও পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের আদর্শ জনগণের সামনে তুলে ধরে সমগ্র ইতালি জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। 

কার্বোনারি আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য :- 


১. আত্মসমীক্ষার সুযোগ :- 
কার্বোনারি আন্দোলন ইতালির জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের সামনে আত্মসমীক্ষার সুযোগ প্রস্তুত করে। এতদিন পর্যন্ত কার্বোনারিরা মূলতঃ ষড়যন্ত্র , সশস্ত্র অভ্যুত্থান - ইত্যাদি কর্মপন্থা অনুসরণ করে চলত। এছাড়া আন্দোলনের সঙ্গে ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িত ছিল। কিন্তু কার্বোনারি আন্দোলনের ব্যর্থতার ফলে ইতালির জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ নতুন ধরণের ও ত্রুটিমুক্ত কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। 

২. ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন :- 
আপাতদৃষ্টিতে কার্বোনারি আন্দোলন ব্যর্থ হলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল সুদূরপ্রসারী। ইতালি থেকে বিদেশি শাসনের অবসান - যা ছিল কার্বোনারিদের মূল দাবী - তা তৎকালীন সময়ে প্রতিটি জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিকে প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। ফলে কার্বোনারি আন্দোলন ব্যর্থ হলেও কার্বোনারিদের সেই দাবী শীঘ্রই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. ইতালির পরবর্তী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অনুপ্রেরণা :- 
কার্বোনারি আন্দোলন ইটালিতে সংগঠিত পরবর্তী বৈপ্লবিক আন্দোলনগুলিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। বিশেষ করে ম্যাৎসিনির ইয়ং ইতালি আন্দোলন কার্বোনারি আন্দোলন দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিল। 

৪. রিসর্জিমেন্টো :- 
রিসর্জিমেন্টো কথাটির অর্থ পুনর্জাগরণ ভিয়েনা সম্মেলন ইতালির জাতীয়তাবাদে প্রবল আঘাত হানলেও ফরাসি বিপ্লবের আদর্শগত দিকগুলি সমগ্র ইউরোপ জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরী করে। তাই ইতালিতে কার্বনারী আন্দোলন ব্যর্থ হলেও ইতালিবাসীর পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে কার্বোনারি আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল। 

৫. উদারনৈতিক আদর্শের প্রসার :- 
ফরাসি বিপ্লব প্রসূত প্রগতিশীল ও উদারনৈতিক আদর্শগুলি কার্বোনারিদের মাধ্যমে সমগ্র ইতালি জুড়ে প্রসারিত হয়। ফলে কার্বোনারি আন্দোলন ব্যর্থ হলেও সেই আদর্শগুলির প্রভাব মুছে ফেলা যায়নি। 

৬. রক্ষণশীলতার বিরোধিতা :- 
১৮১৫ সালের ভিয়েনা সম্মেলন ইতালি সহ সমগ্র ইউরোপকে রক্ষনশীলতার চাদরে মুড়ে ফেলেছিল। বলা বাহুল্য যে , ভিয়েনা সম্মেলন ছিল ইউরোপীয় প্রগতিশীলতার পক্ষে প্রধান অন্তরায়। কিন্তু কার্বোনারিরা ভিয়েনা সম্মেলনের রক্ষণশীল নীতির তীব্র বিরোধিতা করে এবং প্রগতিশীল সংস্কার ও উদারনৈতিক আদর্শগুলি প্রতিষ্ঠার দাবী জানায়। ফলে ইউরোপীয় জনগণের মধ্যে আশার আলো যুগিয়েছিল। 

৭. অস্ট্রিয়ার স্বরূপ উন্মোচন :- 
কার্বোনারি আন্দোলনের ফলেই ইউরোপে অস্ট্রিয়ার প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত হয়। সীমাহীন বর্বরতা , অত্যাচার ও নিষ্ঠুর দমন নীতি প্রয়োগ করে কার্বোনারি আন্দোলনসহ অন্যান্য জাতীয়তাবাদী আন্দোলনগুলিকে অস্ট্রিয়া দমন করে। তাই কার্বোনারি আন্দোলনের ফলেই ইতালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন অস্ট্রিয়া বিরোধী হয়ে ওঠে। 

৮. বৈপ্লবিক সাহিত্যের প্রসার :- 
কার্বোনারি আন্দোলনের হাত ধরে ইতালিতে বৈপ্লবিক সাহিত্যের প্রসার তীব্রতর হয়। এই সকল সাহিত্যের মাধ্যমে প্রচলিত রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা , ব্যক্তি স্বাধীনতা , নাগরিক অধিকার - ইত্যাদি প্রগতিশীল আদর্শের প্রচার করা হয় এবং সর্বপরি ইতালি থেকে বৈদেশিক শাসনের অবসান ঘটাতে না পারলে ইতালির উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয় - তা জনসাধারণের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এইসকল সাহিত্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল ক্যাভুর সম্পাদিত  রিসর্জিমেন্টো পত্রিকা। 

৯. ইতালিবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তার :- 
কার্বোনারি সমিতির সদস্যগণ ইতালিবাসীর মধ্যে যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তার ঘটিয়েছিল - তা ছিল কার্বোনারি আন্দোলনের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী সাফল্য। কার্বোনারি আন্দোলন ব্যর্থ হলেও সেই চেতনা মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। মানুষ উপলব্ধি করেছিল ইতালির স্বাধীনতা অর্জন ব্যতীত অন্য কোনো পথেই ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়। 

কার্বোনারি আন্দোলন কতটা সফল হয়েছিল - সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্যায়ে কার্বোনারি আন্দোলন এক সুদূরপ্রসারী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল - সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল , প্রভাব , গুরুত্ব।  




ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল , প্রভাব , গুরুত্ব।  

ইউরোপের ইতিহাসে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের তাৎপর্য বিবেচনা করে ঐতিহাসিক লর্ড ক্রোমার ক্রিমিয়ার যুদ্ধকে ''ইউরোপের ইতিহাসের জলবিভাজিকা '' রূপে উল্লেখ করেছেন। আবার অন্যদিকে রবার্ট মরিয়ার মন্তব্য করেছেন - তৎকালীন সংগঠিত যুদ্ধগুলির মধ্যে ক্রিমিয়ার যুদ্ধ ছিল একান্তই সার্থকতাবিহীন যুদ্ধ। লর্ড সলসবেরি অনুরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাঁর ভাষায় - '' England put her money on the wrong horse.''  । 
তবে ঐতিহাসিকদের মধ্যে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের গুরুত্ব বিষয়ে মতভেদ থাকলেও ক্রিমিয়ার যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফলাফল উভয়ই প্রাসঙ্গিক। 

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ফল :- 


১. প্যারিসের সন্ধি :- 
১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের সন্ধি দ্বারা ক্রিমিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটে। এই সন্ধির শর্তগুলি ছিল - 
(ক ) মোলডেভিয়া ও ওয়ালাকিয়া - র প্রদেশদুটি রাশিয়া তুরস্ককে প্রত্যার্পণ করে। 
(খ ) তুরস্কের খ্রিস্টান প্রজাবর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দাবী রাশিয়া পরিত্যাগ করে। 
(গ ) কৃষ্ণসাগরের উপর থেকে কোনো একক শক্তির আধিপত্য অস্বীকার করে তাকে নিরপেক্ষ রাখা হল।(ঘ ) দানিউব নদীকে আন্তর্জাতিক নদী বলে ঘোষণা করা হল ; ফলে দানিউব নদীর উপর সকল রাষ্ট্রের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 
(ঙ ) তুরস্ক সার্বিয়ার স্বায়ত্তশাসন স্বীকার করে। 
(চ ) রাশিয়া তুরস্ককে বেসারবিয়া ফিরিয়ে দেয়। 

২. রাশিয়ার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পরাজয় :- 
প্যারিসের সন্ধিতে স্পষ্টরূপে রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধ  করা হয়। ইতিপূর্বে রাশিয়া তুরস্কের মোলডেভিয়া ও ওয়ালাকিয়া প্রদেশদুটি দখল করলেও ক্রিমিয়ার যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে উভয় প্রদেশই রাশিয়ার হাতছাড়া হয়। কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের সকল দুর্গ ও সেনাশিবির রাশিয়া সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তুরস্ককে কেন্দ্র করে নিকট - প্রাচ্যে রাশিয়া শক্তিবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখেছিল - তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. তুরস্কের রাজনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ :- 
প্যারিসের সন্ধি দ্বারা তুরস্ক রাশিয়ার আগ্রাসনের হাত থেকে সাময়িকভাবে মুক্তিলাভ করে। তুরস্ককে ইউরোপীয় রাষ্ট্রমন্ডলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইউরোপীয় বৃহৎ শক্তিবর্গের তুরস্ককে কেন্দ্র করে নিজ নিজ স্বার্থ জড়িত ছিল। তারা তুরস্ককে রাজনৈতিক নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। রাজনৈতিক উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্ক অভ্যন্তরীণ সংস্কারে মনোনিবেশ করার সুযোগ পায়। 

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ ফল :- 


৪. রাশিয়ায় সংস্কার কর্মসূচির সূচনা :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে রাশিয়া তার পুরাতনতন্ত্র ও সংস্কার বিমুখতাকে দায়ী করে। এর ফলে রাশিয়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রগতিশীল সংস্কার সাধন করা হয়। জার আলেকজান্ডার ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ করেন। 

৫. ইউরোপ সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে ইউরোপ সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতির পরিবর্তন ঘটে। রাশিয়ার জার ভিয়েনা সম্মেলনের প্রধান সমর্থক হলেও ইউরোপীয় শক্তিবর্গ প্যারিস সম্মেলনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিজিত অচলগুলি কেড়ে নেয়। কৃষ্ণ সাগর এলাকাতেও রাশিয়ার অগ্রগতি প্রতিরোধ করা হয়। ফলে রাশিয়া ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে এশিয়াতে সাম্রাজ্য বিস্তারের নীতি গ্রহণ করে। 

৬. রাশিয়ার এশিয়া নীতি :- 
ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর রাশিয়া এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে। মোঙ্গলিয়ার কিছু অংশ , ককেশাস অঞ্চল , সমরখন্দ , বোখারা - ইত্যাদি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও রাশিয়ার সেনাবাহিনী আফগানিস্তান পর্যন্ত অগ্রসর হয় এবং ভারতেও রুশ আক্রমণের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। 

৭. তৃতীয় নেপোলিয়নের রাজনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধি :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়লাভের ফলে ফ্রান্স তথা ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের রাজনৈতিক মর্যাদা ও গুরত্ব প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়। ফ্রান্স সমগ্র ইউরোপে শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ইউরোপের সকল ক্ষেত্রে তৃতীয় নেপোলিয়ন নিয়ন্ত্রকের মর্যাদায় উন্নীত হন। প্রকৃতপক্ষে তৃতীয় নেপোলিয়ন চেয়েছিলেন ফ্রান্সের শক্তিবৃদ্ধি করে ভিয়েনা চুক্তি ভেঙে ফেলতে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৮. ইংল্যান্ডের বিপুল ক্ষতি :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ইংল্যান্ড বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় এবং ইংল্যান্ড ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সমগ্র ইউরোপ জুড়ে ইংল্যান্ড একটি দুর্বল অর্থনীতিতে পরিণত হয়। মিত্রপক্ষ জয়লাভ করলেও যেহেতু ইংল্যান্ডের প্রত্যক্ষ কোনো লাভ হয়নি , সেহেতু ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পর ইউরোপে ইংল্যান্ডের মর্যাদাহানি ঘটে। 

৯. ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠা :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ ফল হিসাবে ইটালির ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। যেহেতু ইতালি ক্রিমিয়ার যুদ্ধে মিত্রপক্ষের হয়ে যোগদান করে , তাই যুদ্ধের পর ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন ক্যাভুরের নেতৃত্বে ইতালির ঐক্য আন্দোলনে পিডমন্টের পক্ষ অবলম্বন করেন। ক্যাভুর প্যারিস সম্মেলনে ইতালির সমস্যাকে সমগ্র ইউরোপের সমস্যারূপে উপস্থাপিত করতে সফল হন এবং ইউরোপীয় শক্তিবর্গের সাহায্য নিয়ে ক্যাভুর অস্ট্রিয়ার হাত থেকে ইতালির মুক্তি ছিনিয়ে নেন। 

১০. জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠা :- 
যেহেতু প্রাশিয়া ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছিল , তাই রাশিয়ার জার প্রাশিয়ার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করায় জার অস্ট্রিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাই বিসমার্ক যখন ঐক্যবদ্ধ জার্মান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তখন রাশিয়া বিসমার্ককে সহায়তা স্বরূপ অস্ট্রো - প্রাশিয়া যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকেন। ফলে বিসমার্ক সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ করেন। 

১১. বলকান জাতীয়তাবাদের প্রসার :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলাফল বলকান জাতীয়তাবাদীদের উৎসাহিত করে। বলকান জাতীয়তাবাদীরা নতুন উদ্যমে সংগঠিত হয় ও তাদের স্বাধীনতার দাবী জোরালো হয়। এ প্রসঙ্গে ক্রোমার বলেছেন - A fresh movement was set on foot towards Balkan reconstruction.  ।  বস্তুতঃপক্ষে ক্রোমার বলকান জাতীয়তাবাদের উদ্ভবের পেছনে ক্রিমিয়ার যুদ্ধকেই একমাত্র কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।   

১২. আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি :- 
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পর যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউরোপীয় শক্তিবর্গ এক অভিনব ও কার্যকরী পন্থা অবলম্বন করে। ঠিক হয় , ইউরোপীয় শক্তিগুলি পারস্পরিক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে আন্তর্জাতিক সভা আহ্বান করা হবে এবং সেখানেই আলাপ - আলোচনার মাধ্যমে সকল প্রকার বিরোধের মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে। 

পরিশেষে বলা যায় , ইউরোপের ইতিহাসে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক ; সুদূরপ্রসারী নয়। তবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলে পরোক্ষভাবে ইতালির ঐক্য ও জার্মানির ঐক্য সংগঠিত হয় এবং তৃতীয় নেপোলিয়ন ভিয়েনা চুক্তি ভাঙতে চেষ্টা করেন - এই ঘটনাগুলি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায়না।   

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো  
Share
Tweet
Pin
Share
No comments

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণগুলি লেখ। 




ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণগুলি লেখ। 

ক্রিমিয়ার যুদ্ধ ইউরোপীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা সন্ধির পর ইউরোপ বড় কোনো যুদ্ধের সাক্ষী থাকেনি। কিন্তু ক্রিমিয়ার যুদ্ধের ফলে ইউরোপের ৪০ বছরের সেই শান্তির যুগের অবসান ঘটে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ইউরোপের প্রায় সকল বৃহৎ শক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করে। আপাত দৃষ্টিতে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ছিল অতি তুচ্ছ। জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র স্থানের অধিকার কার হাতে থাকবে এই নিয়ে গ্রিক ও ল্যাটিন ধর্মযাজকদের দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত একটি বৃহৎ যুদ্ধের জন্ম দেয়। তবে , ঐতিহাসিকভাবে একথা প্রমাণিত যে , ক্রিমিয়ার যুদ্ধের মূলে ছিল বেশ কিছু রাজনৈতিক বিষয়। 

১. গ্রোটোর গির্জা সংক্রান্ত বিরোধ :-
তুর্কির সুলতান ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দের এক চুক্তির দ্বারা যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান জেরুজালেমের গ্রোটোর গির্জা ও অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব ক্যাথলিক গির্জাকে প্রদান করেন। ক্যাথলিক ফ্রান্স এই দায়িত্বের রক্ষাকর্তা নিযুক্ত হয়। কিন্তু ফরাসি বিপ্লবের পর ফ্রান্স শক্তিহীন হয়ে পড়লে সেই সুযোগে রাশিয়া গ্রোটোর গির্জার অধিকার তুর্কির সুলতানের কাছ থেকে হস্তগত করেন। কিন্তু এরপর তৃতীয় নেপোলিয়ন ফ্রান্সের সিংহাসনে বসলে গ্রোটোর গির্জা সংক্রান্ত ফ্রান্সের পূর্বতন অধিকার প্রবলভাবে দাবী করেন।     

২. তৃতীয় নেপোলিয়নের উদ্দেশ্য :- 
গ্রোটোর গির্জা সংক্রান্ত ফ্রান্সের পূর্বতন অধিকার দাবী করার পেছনে সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য ছিল। তৃতীয় নেপোলিয়নের সিংহাসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল ক্যাথলিকদের সমর্থন। তাই তৃতীয় নেপোলিয়ন ক্যাথলিক ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের সমর্থনলাভের উদ্দেশ্যে তুর্কি সুলতানের নিকট ফ্রান্সের সেই পূর্বতন অধিকার দাবী করেন। এছাড়া , এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে রাশিয়ার বিরোধিতা করার সুযোগটিও তৃতীয় নেপোলিয়নের কাছে আকর্ষণীয় ছিল।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৩. তৃতীয় নেপোলিয়নের দাবীর প্রতি ক্যাথলিক রাষ্ট্রবর্গের সমর্থন :- 
গ্রোটোর গির্জার অধিকার সংক্রান্ত তৃতীয় নেপোলিয়নের দাবী ক্যাথলিক রাষ্ট্রগুলিকে উৎসাহিত করেছিল। অস্ট্রিয়া , স্পেন , সার্ডিনিয়া , পর্তুগাল , বেলজিয়াম সহ অন্যান্য ক্যাথলিক রাষ্ট্রগুলি তৃতীয় নেপোলিয়নের দাবীর প্রতি সমর্থন জানায়। ফলে তৃতীয় নেপোলিয়নের দাবী আরো জোরদার হয় এবং তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। 

৪. তুর্কি সুলতানের ভূমিকা :- 
ইতিপূর্বেই তুর্কির সুলতান গ্রোটোর গির্জার রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার ফ্রান্সকে প্রদান করেছিলেন। কিন্তু ফরাসি বিপবের পর ফ্রান্সের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া সেই অধিকার হস্তগত করে। কিন্তু তৃতীয় নেপোলিয়ন জোরালোভাবে ফ্রান্সের পূর্বতন অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবী জানালে তুরস্কের সুলতান ফ্রান্সকে সেই অধিকার প্রদান করেন এবং ল্যাটিন ধর্মযাজকদের সামান্য কিছু অধিকার প্রদান করেন। 

৫. রাশিয়ার দাবী ও জার নিকোলাসের উদ্দেশ্য :-
তুরস্কের সুলতান গ্রোটোর গির্জা সংক্রান্ত ফ্রান্সের সকল দাবী মেনে নিলে রাশিয়ার জার নিকোলাস অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তিনি ফ্রান্সের অধিকার বাতিল করার জন্য তুরস্কের সুলতানের উপর চাপ তৈরী করতে থাকেন। আসলে জার নিকোলাসের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কের সুলতানের অধীনস্থ অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য স্থাপন। তাই তুরস্কের সুলতান রাশিয়ার দাবী মানতে অস্বীকার করলে জার নিকোলাস তুরস্কের মোলদাভিয়া ও ওয়ালাচিয়া অধিকার করেন। এরফলে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরী হয়। 

৬. ইংল্যান্ডের ভূমিকা :- 
ইতিমধ্যে জার নিকোলাস তুরস্ক সম্পর্কে ইংল্যান্ডকে এক প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে বলা হয় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স মিলিতভাবে তুরস্ক দখল করবে এবং তুরস্ক বিজয় সম্পন্ন হলে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবে। কিন্তু ইংল্যান্ড নিকট - প্রাচ্যে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত ছিল। তাই ইংল্যান্ড জার নিকোলাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কেননা , ইংল্যান্ড বিশ্বাস করত তুরস্ক বর্তমানে ইউরোপের রুগ্ন ব্যক্তি রূপে পরিচিত হলেও উপযুক্ত পরিস্থিতিতে তুরস্ক নিজের পূর্ব গৌরব ফিরে পেতে পারে। তাই তখন রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে তুরস্ক বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। 

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো

৭. তুরস্কের আপোষ - প্রস্তাব :- 
গ্রোটোর গির্জার অধিকারকে কেন্দ্র করে তুরস্কের উপর রাজনৈতিক চাপ বেড়েই চলেছিল। একদিকে ফ্রান্স দাবী থেকে অনড় ছিল এবং অন্যদিকে রাশিয়া কূটনৈতিকভাবে তুরস্ককে ব্যাতিব্যাস্ত করে তুলেছিল। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের সুলতান রাশিয়ার নিকট এক আপোষ প্রস্তাব প্রেরণ করেন। কিন্তু এই আপোষ প্রস্তাবে গ্রোটোর গির্জার অধিকার সরাসরি রাশিয়ার হাতে আসবে এমন কোনো উল্লেখ না থাকায় রাশিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তুরস্ক সুলতানের অধীনস্থ সকল অঞ্চলের সকল খ্রিস্টান প্রজাদের উপর অধিকারের দাবী জানায়। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। 

৮. অস্ট্রিয়ার ভূমিকা :- 
অস্ট্রিয়া ক্রিমিয়ার যুদ্ধ এবং যুদ্ধের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ''শত্রুতাপূর্ণ নিরপেক্ষতা'' নীতি গ্রহণ করে। কেননা , পূর্ব ইউরোপ রাশিয়ার শক্তিবৃদ্ধির অর্থ ছিল অস্ট্রিয়ার প্রাধান্যকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া। তাই এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়া প্রকৃতপক্ষে ফ্রান্সকেই সমর্থন করে। এর পেছনে ছিল ক্যাভুরের মারাত্মক রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতা। ক্যাভুর ঐক্যবদ্ধ ইতালি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সমর্থন লাভ করতে চেয়েছিলেন। 

৯. রুশ আক্রমণ ও ভিয়েনা নোট :- 
রাশিয়ার সকল দাবী অস্বীকার করা হলে রাশিয়া তুরস্ক আক্রমণ করে ও মোলদাভিয়া ও ওয়ালাচিয়া প্রদেশ দুটি দখল করে। এই ঘটনা ইউরোপীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , অস্ট্রিয়া , প্রাশিয়া সম্মিলিতভাবে শান্তি স্থাপনের প্রয়াস শুরু করে। তারা '' ভিয়েনা নোট '' নামক এক প্রস্তাব জার নিকোলাসের কাছে পাঠায়। কিন্তু তুরস্কের খ্রিস্টান জনগণ রাশিয়া কর্তৃক না তুরস্ক কর্তৃক রক্ষিত হবেন তা নিয়ে জার ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্ট্যান্ডফোর্ডের বাদানুবাদ সৃষ্টি হয় রাশিয়া সকল প্রকার শান্তি প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করেন। 

১০. তুরস্ক কর্তৃক যুদ্ধ ঘোষণা :- 
রাশিয়া শান্তি প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলে ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , পিডমন্ট - সার্ডিনিয়া তুরস্কের পক্ষে যোগদান করে এবং তুরস্ক রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রাশিয়া নিরপেক্ষ থাকলেও অস্ট্রিয়া রাশিয়ার প্রতি বিরোধিতামূলক নিরপেক্ষতা নীতি গ্রহণ করে। 
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুকালের মধ্যেই জার নিকোলাসের মৃত্যু ঘটে। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের সন্ধির মাধ্যমে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটে।  

এই ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রশ্নোত্তরের তালিকা / সূচীপত্রের জন্য এখানে CLICK করো
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

Followers

Pages

  • Home
  • Privacy Policy
  • Disclaimer
  • CONTACT ME
  • About Me

Contact Form

Name

Email *

Message *

About me

Hallow viewers , myself Nandan Dutta [Subhankar Dutta], reside at Maheshpur,Malda.
I made this website for the students of B.A. courses under Gour Banga University. Here you can get suggestions of different subjects like HISTORY , SOCIOLOGY , POLITICAL SCIENCE & EDUCATION.
In future I will add MCQ sections of those subjects.


Categories

  • 1ST SEMESTER SUGGESTION (1)
  • 2 ND YEAR SUGGESTION (1)
  • 2ND SEMESTER (1)
  • 3RD SEMESTER (8)
  • BENGALI NOTES (21)
  • CU suggestion. (1)
  • EDUCATION NOTES (141)
  • ENGLISH COMPULSORY (16)
  • GBU Suggestion. (7)
  • HISTORY EUROPE & WORLD (46)
  • HISTORY NOTES (68)
  • POL SC NOTES (64)
  • SOCIOLOGY NOTES (72)
  • WBCS 2020 (1)

recent posts

Blog Archive

  • May 2025 (3)
  • April 2025 (20)
  • March 2025 (12)
  • February 2025 (8)
  • November 2024 (5)
  • October 2024 (2)
  • September 2024 (2)
  • June 2024 (2)
  • March 2024 (6)
  • February 2024 (4)
  • October 2023 (5)
  • May 2023 (5)
  • April 2023 (1)
  • December 2022 (1)
  • November 2022 (13)
  • September 2022 (2)
  • August 2022 (7)
  • July 2022 (29)
  • June 2022 (10)
  • May 2022 (25)
  • April 2022 (24)
  • March 2022 (16)
  • February 2022 (19)
  • January 2022 (21)
  • December 2021 (46)
  • November 2021 (5)
  • October 2021 (6)
  • September 2021 (5)
  • August 2021 (41)
  • July 2021 (43)
  • June 2021 (31)
  • May 2021 (7)
  • April 2021 (1)
  • July 2020 (1)
  • June 2020 (3)
  • April 2020 (1)
  • November 2019 (1)
  • July 2019 (1)
  • June 2019 (1)
  • May 2019 (1)
  • April 2019 (2)
  • January 2019 (1)

Pages

  • Home
  • 2nd SEM ভাষাতত্ত্ব :
  • বাংলা উপভাষা
  • দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব
  • ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাম্যের অধিকারগুলি আলোচনা করো।
  • হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। তাকে কি উত্তর পথনাথ বলা যায় ?
  • ভারতীয় সংবিধানের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য :-
  • উদারনীতিবাদ : সংক্ষিপ্ত ধারণা :-
  • চোল শাসনব্যবস্থা :-
  • গুপ্তযুগ সুবর্ণযুগ সম্পর্কিত আলোচনা।
  • ৬. উদাহরণসহ মধ্যযুগের বাংলাভাষার কয়েকটি বৈশিষ্ট আল...
  • 1. Marxism
  • আধুনিক বাংলা ভাষা ও তার বৈশিষ্ট।
  • Discuss the career and achievements of Samudragupta .
  • ভাষাতত্ত্ব

Created with by ThemeXpose | Distributed by Blogger Templates