রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি বিজ্ঞান পদবাচ্য ? পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও।

by - March 31, 2022

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি বিজ্ঞান পদবাচ্য ? পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও। 

Define political science. Is political science a science? Argue for and against. ( In Bengali ) 




রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা :- 


অধ্যাপক গেটেল বলেছেন , রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল রাষ্ট্র কী ছিল - তার ঐতিহাসিক অনুসন্ধান , বর্তমান রাষ্ট্র সম্পর্কে বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কেমন হওয়া উচিত - সে সম্পর্কে রাষ্ট্রনৈতিক ও নীতিশাস্ত্রসম্মত আলোচনা। 

গার্ণারের মতে , রাষ্ট্রকে নিয়েই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার শুরু ও শেষ। 

বার্জেসের মতে , রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল স্বাধীনতা ও সর্বভৌমিকতার বিজ্ঞান। 

পল জাঁনে - র মতে , রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজবিজ্ঞানের সেই অংশ যা রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি এবং সরকারের নীতিসমূহ নিয়ে আলোচনা করে। 

আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডেভিড ইস্টন বলেছেন , রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল মূল্যের কর্তৃত্বমূলক বরাদ্দের আলোচনা। 

মার্কসবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে বলেছেন , রাষ্ট্রের সর্বত্র বিরোধের অস্তিত্ব বর্তমান। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে শাসক ও শাসিতের মধ্যে বিরোধ বর্তমান। রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে ও বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত এই বিরোধের উৎপত্তি , গতিপ্রকৃতি ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে। 

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে , রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেবলমাত্র রাষ্ট্রকে নিয়েই আলোচনা করেনা , সেইসঙ্গে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান , রাজনৈতিক দল , রাজনৈতিক আচার আচরণ , জনমত , চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী - ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে , রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোনো সর্বজনগ্রাহ্য ও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই বলা যেতে পারে যে , রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজবিজ্ঞানের সেই শাখা যা রাষ্ট্রের উৎপত্তি , রাষ্ট্রের বিভিন্ন উপাদান , গতিপ্রকৃতি , বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান , জনমত , আন্তর্জাতিক সম্পর্ক , সরকার ও তার বিভিন্ন রূপ - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। 


রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি বিজ্ঞান পদবাচ্য ! পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি :- 


রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান পদবাচ্য বলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতৈক্য লক্ষ্য করা যায়। একদিকে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে '' শ্ৰেষ্ঠ বিজ্ঞান '' বলে অভিহিত করেছেন। তাঁকে অনুসরণ করে লর্ড ব্রাইস , পোলক , হব্স , মন্টেস্কু , আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ - প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার পক্ষপাতী। 
কিন্তু , অগাস্ট কোঁত , মেটল্যান্ড , বার্ক - প্রমুখেরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার বিরোধিতা করেছেন। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার পক্ষে যুক্তি :- 


১. সুসংবদ্ধ ও বিশেষীকৃত জ্ঞান অর্জন সম্ভব :- বিজ্ঞান হল কোনো বিষয় সম্পর্কে সুসংবদ্ধ ও বিশেষীকৃত জ্ঞান অর্জন ও সুশৃঙ্খল পঠন - পাঠন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ক্ষেত্রেও রাষ্ট্র সম্পর্কে সুসংবদ্ধ , সুনির্দিষ্ট ও বিশেষীকৃত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন সম্ভব। তাই পোলক বলেছেন , যাঁরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন , তাঁরা বিজ্ঞান বোঝেন না। 

২. বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভব :- বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাতেও পর্যবেক্ষণ , পরীক্ষণ , তথ্য সংগ্রহ , উপাদান বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যায়।

৩. গবেষণা সম্ভব :- বিজ্ঞান যেমন বিক্ষণাগারে তার বিষয়গুলি সম্পর্কে গবেষণা করে , রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সেই বিক্ষণাগার হল সমগ্র পৃথিবী। সমগ্র পৃথিবীর রাজনৈতিক জগৎ এবং তার আদর্শ ব্যবস্থা ও কার্যকলাপ নিয়ে গবেষণা চলে। এই নিরন্তর গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়গুলি নিয়েও সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। 

৪. আচরণবাদীদের প্রয়াস :- বিগত কয়েক দশক ধরে আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ ভৌতবিজ্ঞানের পদ্ধতিগুলিকে অনুসরণ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞানসম্মত করার প্রয়াসের সাথে যুক্ত। তাঁরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় বিভিন্ন গাণিতিক কৌশল , রেখাচিত্র , তথ্য সংগ্রহ , তালিকা প্রণয়ন , সংখ্যায়ণ - ইত্যাদি পদ্ধতির প্রয়োগ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত করেছেন। 


৫. তত্ত্ব  ও তথ্য - উভয়ের ওপর গুরুত্ব :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় তত্ত্ব ও তথ্য উভয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তত্ত্ব ও তথ্য উভয়ের উপর নির্ভর করে সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হয়। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন মার্কস ও এঙ্গেলস সমাজবিকাশের বিবর্তনকে তত্ত্ব ও তথ্য উভয়ের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন। 

৬. মূল্যমান নিরপেক্ষ আলোচনা :- আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় বিভিন্ন গাণিতিক পদ্ধতি , পরিসংখ্যান - ইত্যাদির প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে মূল্যমান নিরপেক্ষ করে তুলেছেন। তাই আচরণবাদীরা মনে করেন , রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় যেহেতু গাণিতিক পদ্ধতির প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে , সেহেতু রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। 

৭. রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব :- বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলির মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাতেও রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব। বিশেষ করে জনমত সমীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে ও রাজনৈতিক নীতির বিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব। 

৮. সর্বজনীন ও সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব :- রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় ও বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সাধারণ ও সর্বজনীন সূত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এই সূত্রগুলির উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব। এছাড়াও , রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিবর্তন , বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা ও রাজনৈতিক উত্থান - পতন - ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞানের বিষয়গুলির মতই রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও সাধারণ সূত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলার বিপক্ষে যুক্তি :- 


১. বিষয়বস্তুর ব্যাপকতা ও অনিশ্চয়তা :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু অন্যান্য প্রাকৃতিক বিজ্ঞানগুলির তুলনায় অনেক ব্যাপক এবং অনিশ্চয়তা তার অন্যতম বৈশিষ্ট। এই ব্যাপক ও অনিশ্চিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিষয়গুলির মত যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ , পরীক্ষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়। 

২. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু পরিবর্তনশীল :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল আলোচনা ক্ষেত্র হল সমাজ। কিন্তু সমাজ সর্বদা পরিবর্তনশীল ; বিজ্ঞানের বিষয়গুলির মত স্থির ও অপরিবর্তনশীল নয়। তাই বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়গুলির মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়কে বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি ও পদ্ধতির সাহায্যে আলোচনা করা সম্ভব নয়। 


৩. জ্যামিতিক পদ্ধতি অবলম্বন সম্ভব নয় :- রাষ্ট্রবিজ্ঞান মানবজীবনের নানাদিক এবং রাষ্ট্রের বহুবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। মানুষের আচরণ , ক্রিয়াকলাপ - ইত্যাদি অত্যন্ত জটিল। তাই জ্যামিতিক সূত্র প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের সকল সমস্যা ব্যাখ্যা করা বা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। 

৪. নির্ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয় :- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলির মত পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষের রাজনৈতিক জীবনের সাথে জড়িত থাকে অনুভূতি ও আবেগ। কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা এগুলি পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। 

৫. আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ :- বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে মতভেদের সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে - রাষ্ট্রের উদ্ভব , রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি , গণতন্ত্র - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। 

৬. শুধুমাত্র মানুষের রাজনৈতিক জীবনের আলোচনা :- ভৌতবিজ্ঞান বস্তুজগতের প্রায় সকল বস্তুকে নিয়েই আলোচনা করে। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞান শুধুমাত্র মানুষের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করে। 


৭. রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে নীতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় :- প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান ও বিষয় সুনির্দিষ্ট প্রাকৃতিক নীতি ও নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু মানুষের রাজনৈতিক জীবন এইরকম কোনো নীতিকে অনুসরণ করে চলেনা। 

৮. গবেষণাগারে পরীক্ষা সম্ভব নয় :- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে নির্ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব। কিন্তু মানুষ , সমাজ ও মানুষের রাজনৈতিক জীবনকে কোনোভাবেই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। 

৯. মূল্যবোধ বর্জন করা সম্ভব নয় :- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলি বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান। সেখানে মূল্যবোধের কোনো স্থান নেই। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ক্ষেত্রে মানুষের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে গবেষণা ও আলোচনার সময় মূল্যবোধকে বর্জন করা সম্ভব নয়। 

১০. সিদ্ধান্ত ও ফলাফল সংখ্যায় প্রকাশ সম্ভব নয় :- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলির ফলাফল ও সিদ্ধান্ত সংখ্যায় প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ক্ষেত্রে সংখ্যার প্রয়োগ করা গেলেও তার প্রয়োগ সীমিত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ফলাফলকে কখনোই সংখ্যায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। 

১১. সর্বজনীনতার অভাব :- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয় , বিভিন্ন সূত্র ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাষ্ট্র - ব্যবস্থার পার্থক্য , রাজনৈতিক আদর্শের পার্থক্য , সামাজিক কাঠামো ও ঐতিহ্যের পার্থক্য - ইত্যাদির কারণে একটি রাজনৈতিক গবেষণার ফল সকল সমাজ বা রাষ্ট্রে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। 

১২. ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনার প্রভাব :- প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় পরীক্ষা ও যুক্তির ভিত্তিতে। কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণের ব্যক্তিগত আদর্শ ও চিন্তাভাবনার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। 


You May Also Like

0 comments