যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সুবিধা - অসুবিধা।

by - February 17, 2022

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সুবিধা - অসুবিধা। 

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের দোষ - গুণ। 

Merit and demerits of the federal government. ( In Bengali ) 




যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সুবিধা বা গুণ :-  

  
১. জাতীয় ও আঞ্চলিক স্বার্থের সমন্বয়সাধন :- যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে আঞ্চলিক স্বতন্ত্র ও স্বাধীনতার সাথে সাথে জাতীয় ঐক্য ও স্বার্থের সমন্বয়সাধন করা সম্ভব হয়। একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ পূরণ এবং প্রাদেশিক সরকার গুলির মাধ্যমে আঞ্চলিক স্বার্থ পূরণ এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গুলির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যাগুলি সুরাহা - ইত্যাদির ফলে জাতীয় ঐক্য ও স্বার্থের সাথে আঞ্চলিক ও স্থানীয় স্বার্থের মধ্যে সমন্বয়সাধন ঘটে। 

২. ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ নীতির সুবিধা :-  যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নীতির ফলে ক্ষমতা কেবলমাত্র একটি সরকারের অধীনস্থ না থেকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য গুলির সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলির মধ্যে বন্টিত হয়। ফলে সর্বক্ষেত্রে কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয় এবং বিভিন্ন সমস্যাগুলির যথাযথ সমস্যা সমাধানের সম্ভব হয়। 


৩. আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষা :- আঞ্চলিক স্বতন্ত্রতা রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের যেহেতু ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটে সেহেতু আঞ্চলিক সরকারগুলো সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার মাধ্যমে যথেষ্ট স্বাধীনতা ও ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। ফলে আঞ্চলিক স্বতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে প্রাদেশিক সরকার গুলি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্বাধীন ভাবে পালন করতে পারে। 

৪. আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্বে নিয়ন্ত্রণ :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্র সরাসরি শাসন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে , আমলাতন্ত্রের পক্ষে সমগ্র শাসন ব্যবস্থার উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়না। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় আমলাতন্ত্রের সাথে সাথে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমান্তরাল শাসন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ফলে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের অভাব - অভিযোগ ও সমস্যাগুলির যথাযথ সমাধান সম্ভব হয়। 

৫. রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ :- যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার সর্বদা রাজনৈতিক চেতনা বিকাশে সহায়ক হয়।  যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ সরকার এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে জনগণের রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধি পায়। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গুলিতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক যোগদান তাদের রাজনৈতিক চেতনার স্তরকে বৃদ্ধি করে। 

৬. প্রশাসনিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রশাসনিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।  একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যদিকে রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলি - প্রত্যেকের সংবিধান প্রদত্ত বা তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব এবং কর্তব্য বন্টিত থাকে। এই সকল দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রতিটি অংশ অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ও স্থানীয়স্বায়ত্ত শাসিত সংস্থাগুলিকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেহেতু সংবিধানে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য তালিকাভুক্ত থাকে সেহেতু কর্তব্য এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্ন এখানে আসে না। ফলে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা এবং উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়। 


৭. বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা :- ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য সাধন করে। সাধারণত বৃহৎ ও বিপুল জনসংখ্যারভুক্ত দেশগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত থাকে। একটি বৃহৎ ও বিপুল জনসংখ্যাভুক্ত দেশ রাজনীতি , অর্থনীতি , সংস্কৃতি - ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়।  যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার এই সকল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য গঠনের ক্ষেত্রে সহায়ক আচরণ করে থাকে। 

৮. স্বৈরাচার প্রতিরোধ :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী আচরণ প্রতিহত করতে সমর্থ হয়। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নীতি স্বীকৃত হয় , সেহেতু কেন্দ্র , রাজ্য এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলি সকলেই সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। তাই এখানে কোনো একটি সরকার বা শাসন প্রতিষ্ঠানের স্বৈরাচারী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়  প্রত্যেকটি সরকার নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার - এই সকল উদ্যোগ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার বা অন্য যেকোনো সরকার  স্বৈরাচারের অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। 

৯. আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা ও গণতান্ত্রিকতা :- আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারগুলিতে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন সভার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা থাকে। কিন্তু এখানে এই ক্ষমতা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি আইনসভার হাতে ন্যাস্ত থাকে না। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাজ্য আইনসভাগুলির হাতেও যৌথভাবে অর্পিত থাকে। যে কোন আইন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা , গবেষণা - ইত্যাদির সুফল ভোগ করা যায়।  

১০. বৃহৎ রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত :- একটি বৃহৎ রাষ্ট্রে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কাম্য। কেননা একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা একটি মাত্র এককেন্দ্রিক সরকারের হাতে থাকলে তা একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থাকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়না। এছাড়াও একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের জনসংখ্যা , সংস্কৃতি , রাজনীতি - ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্র দেখা যায়। শুধুমাত্র এককেন্দ্রিক সরকার এই  বৈচিত্র্যময় পরিমন্ডলে দক্ষতার সাথে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতে সক্ষম হয় না। তাই বৃহৎ রাষ্ট্রগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার অবশ্যই কাম্য। 

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অসুবিধা বা দোষ 


১. শাসন ব্যবস্থার দুর্বলতা :- যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ নীতি স্বীকৃত হয় সেহেতু এককেন্দ্রিক সরকার অপেক্ষা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারগুলি দুর্বল প্রকৃতির বলে বিবেচিত হয়। এই জাতীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সকল ক্ষমতা থাকেনা - তা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলির মধ্যে বন্টিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্র-রাজ্য , একটি রাজ্যের সাথে একাধিক রাজ্য , স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গুলির সাথে রাজ্যের বিরোধ প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারগুলি এককেন্দ্রিক সরকারগুলি দুর্বল হতে বাধ্য হয়। 

২. আন্তর্জাতিক নীতি রূপায়নে জটিলতা :- আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সহায়তা না পেলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে নীতি প্রণয়নে সক্ষম হয় না। একটি বৃহৎ রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি ও আদর্শের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এই ভিন্ন ভিন্ন নীতি ও আদর্শের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। রাজ্যগুলির আদর্শ ও কর্মসূচির সাথে কেন্দ্রীয় আদর্শ ও কর্মসূচির সমন্বয়সাধন না হলে তা আন্তর্জাতিক নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। 


৩. কেন্দ্র - রাজ্য বিরোধের সম্ভাবনা :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক ক্ষমতা বন্টিত থাকার ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সহজেই বিরোধের সম্ভবনা তৈরী হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে মতবিরোধের জন্ম নিলে তা রাজ্যগুলির স্বার্থকে বিপন্ন করে আবার কেন্দ্রও অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতি নির্ভরশীল থাকে। ফলে কেন্দ্র - রাজ্য মতবিরোধে কেন্দ্রের স্বার্থও বিপন্ন হয়। 

৪. পরিবর্তনশীলতার পক্ষে উপযুক্ত নয় :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। তাই প্রশাসনিক রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্রুত সংবিধানের পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। সংবিধানের দুষ্পরিবর্তনীয়তা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলিতে ভিন্ন ভিন্ন দল ক্ষমতাসীন থাকার ফলে তাদের মধ্যে খুব সহজেই মতবিরোধের জন্ম নেয়। এই মতবিরোধ রাজ্য এবং জাতির স্বার্থ পূরণের এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। 

৫. আদালতের প্রাধান্য :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংবিধান এবং আদালতের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠাতা থাকে। সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস সংবিধান। কাজেই আইনসভা প্রণীত আইন এবং শাসন বিভাগের বিভিন্ন নির্দেশগুলির বৈধতা বিচার করতে পারে আদালত। আদালত ইচ্ছা করলে যেকোনো আইন বা নির্দেশকে অবৈধ বলে ঘোষণা করতে পারে। ফলে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। 

৬. সঙ্কটকালীন পরিস্থিতির পক্ষে উপযুক্ত নয় :- যেকোনো আপৎকালীন বা সংকটকালীন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কাম্য নয়। যেকোনো আপৎকালীন বা সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতা বন্টিত থাকার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না এবং জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয় না। তাই আপৎকালীন বা  সংকটকালীন পরিস্থিতির সাথে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 


৭. কেন্দ্রের হাতে অধিক ক্ষমতা :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংবিধান কর্তৃক ক্ষমতা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে বন্টিত হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে অধিকাংশ ক্ষমতায় ন্যস্ত থাকে। কেন্দ্র সরকার  একচ্ছত্রভাবে রাজ্য সরকারের চেয়ে অনেক বেশি অধিকার ও ক্ষমতা ভোগ করে থাকে। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। এই নির্ভরশীলতা রাজ্যের উন্নতির গতিধারাকে বাধা দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য বিরোধের সৃষ্টি হয়। 

৮. প্রাদেশিকতা উদ্ভবের ক্ষেত্রে সহায়ক :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংকীর্ণতা , প্রাদেশিকতা , বিচ্ছিন্নতাবাদ -  ইত্যাদির বিকাশ খুব সহজেই ঘটতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি বিশেষ কোনো একটি রাজ্য বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রতি বহুদিন ধরে উদাসীন থাকে সেই রাজ্য বা অঞ্চলের যদি বিশেষ কোনো দাবিদাওয়া বহুদিন যাবৎ পূরণ না হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় খুব সহজেই আঞ্চলিকতাবাদ , প্রাদেশিকতা - ইত্যাদির উদ্ভব ঘটে। 

৯. প্রশাসনিক মন্থর গতি :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এককেন্দ্রিক ব্যবস্থার তুলনায় মন্থর গতিসম্পন্ন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিভিন্নভাবে এক্তিয়ার সম্পর্কিত বিরোধ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিরোধের সূচনা করে। ফলে এই ধরনের বিষয়গুলি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে মন্থর গতি সম্পন্ন করে তোলে। 

১০. ব্যয়বহুল :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। একদিকে কেন্দ্র বা জাতীয় সরকার এবং অন্যদিকে প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য সরকার এবং তার সাথে সাথে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা - এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যয় এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার তুলনায় অত্যন্ত বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অংশের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। 

১১. বিচার বিভাগের সাথে আইন ও শাসন বিভাগের বিরোধের সম্ভাবনা :- যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আদালত সংবিধানের ব্যাখ্যাকর্তা রূপে বিবেচিত কাজ করে। তাই অনেক সময় আদালত - শাসন ও আইন বিভাগকে স্বপ্রণোদিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যত হয়। ফলে বিচার বিভাগের সাথে শাসন ও আইন বিভাগের বিরোধের সম্ভাবনা তৈরি হয়। 



You May Also Like

0 comments