Salient Features of the British Constitution ; ব্রিটিশ সংবিধানের মুখ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ

by - December 11, 2021

ব্রিটিশ সংবিধানের মুখ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ (Salient Features of the British Constitution) :- 

ব্রিটেনের শাসনতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট :- 

ব্রিটিশ সংবিধান বা ব্রিটেনের সংবিধানের মুখ্য বৈশিষ্ট। সকল দেশের সংবিধানের কতকগুলি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই যে-কোন দেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত আলােচনা অপরিহার্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। একথা ব্রিটিশ সংবিধান সম্পর্কেও পুরােপুরি প্রযােজ্য। বরং ব্রিটিশ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত আলােচনা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ । কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শাসনব্যবস্থার উপর ব্রিটিশ সংবিধানের অল্পবিস্তর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানকালে বিভিন্ন দেশে প্রচলিত সংবিধানগুলির মধ্যে গ্রেট ব্রিটেনের সংবিধানই হল প্রাচীনতম। অধ্যাপক মুনরাে (Munro)-র মতানুসারে ব্রিটিশ সংবিধান হল সকল দেশের সংবিধানের মাতৃস্থানীয়। তিনি বলেছেন : “The British Constitution is the mother of all constitutions, the British Parliament is the mother of all parliaments.” 


১) মূলত অলিখিত :-  ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের একটি মূল বৈশিষ্ট হল এটি মূলতঃ অলিখিত। বিশ্বের আধুনিক শাসনতন্ত্রগুলির মধ্যে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র হল অলিখিত শাসনতন্ত্রের এক উল্লেখযােগ্য উদাহরণ।  ব্রিটেনের শাসনতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলি কোন একটি দলিলে লিপিবদ্ধ নেই। বিভিন্ন শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, সংস্কার, নজির, প্রথা প্রভৃতির মধ্যে এই শাসনতন্ত্রের মূল নীতিগুলি ছড়িয়ে আছে। ভারতবর্ষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের শাসনতন্ত্রের মত ব্রিটেনের শাসনতন্ত্র হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত কোন দলিল নেই। কারণ কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন ‘গণপরিষদ কর্তৃক এই শাসনতন্ত্র রচিত হয়নি। এই কারণে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার মৌলিক নিয়ম-কানুনগুলি সুসংবদ্ধভাবে কোন একটিমাত্র দলিলে লিখিত আকারে পাওয়া যায় না। বহু প্রথাগত আইন, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি, নানা নজির প্রভৃতির মধ্যে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার মূল নীতিগুলি ছড়িয়ে আছে। 

(২) এককেন্দ্রিক :- ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার কাঠামাে এককেন্দ্রিক। এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারের যাবতীয় ক্ষমতা একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে। তবে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এক বা একাধিক আঞ্চলিক সরকার থাকতে পারে। কিন্তু এই সমস্ত স্থানীয় সরকারের নিজস্ব ও স্বাধীন কোন অস্তিত্ব বা ক্ষমতা থাকে । স্থানীয় সরকারগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থার কাঠামাে ও প্রকৃতি এই ধরনের। ব্রিটেনের আইন ও শাসনবিষয়ক সকল ক্ষমতা লণ্ডনে অবস্থিত।  কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টই হল সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। শাসনকার্যের সুবিধার স্বার্থে এখানেও কাউন্টি, বরাে প্রভৃতি কতকগুলি স্থানীয় সরকার আছে। এই সমস্ত আঞ্চলিক সরকারের কিছু ক্ষমতাও আছে।


(৩) সংসদীয় গণতন্ত্র :-  ব্রিটেনে পার্লামেন্ট ভিত্তিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ব্রিটেনকে পার্লামেন্ট ভিত্তিক  শাসনব্যবস্থার মাতৃভূমি হিসাবে গণ্য করা হয়। ম্যাকেঞ্জী (Mackenzie) বলেছেন: ...it is England which is the mother of parliaments.” ব্রিটেনে পার্লামেন্ট বা সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য। হল : (ক) নিয়মতান্ত্রিক শাসক ও প্রকত শাসকের মধ্যে পার্থক্য, (খ) আইনসভার কাছে প্রকৃত শাসকের দায়িত্বশীলতা, (গ) ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি, (ঘ) শক্তিশালী বিরােধী দল প্রভৃতি। 

(8) ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতি :-  ফরাসী দার্শনিক মন্টেস্কু (Montesque) ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনুপস্থিতিই একটি বড় বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত হয়। ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় একই ব্যক্তি একাধিক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, এক বিভাগ অপর বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রয়ােজনবােধে এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজও করে। ব্রিটেনের রাজা বা রানী শাসনবিভাগের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আবার আইন-বিভাগেরও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে রাজা বা রানীসহ পালমেন্ট (King or Queen-in-Parliament) বলা হয়ে থাকে।
তবে বর্তমানে ব্রিটেনে বিচার-বিভাগের স্বাতন্ত্র্য ও নিরপেক্ষতার উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়ে থাকে। বিচার-বিভাগকে আইন-বিভাগ ও শাসন-বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে। 


(৫) সুপরিবর্তনীয়তা :-  ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র মূলত অলিখিত এবং সুপরিবর্তনীয়। যে শাসনতন্ত্রকে সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে পরির্বতন বা সংশােধন করা যায় তাকে সুপরিবর্তনীয় বা নমনীয় শাসনতন্ত্র বলে। ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করার জন্য বিশেষ কোন জটিল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় না। যে পদ্ধতিতে সাধারণ আইন পাশ করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের যে-কোন নিয়ম-কানুন সংশােধন করা যায়। তা ছাড়া ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র প্রধানতঃ রীতিনীতি, নজির, প্রথা প্রভৃতির উপর প্রতিষ্ঠিত। আর এগুলির অধিকাংশই অলিখিত ও সহজে পরিবর্তনযােগ্য। 

(৬) তত্ত্ব ও বাস্তবের মধ্যে ব্যবধান :-  ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের তত্ত্বগত ও বাস্তব রূপের মধ্যে পার্থক্য একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হিসাবে গণ্য হয়। ব্রিটেনে শাসনতান্ত্রিক মৌলিক নীতিসমহের সঙ্গে কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়ােগের যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। তত্ত্বগত বিচারে বিটেনের রাজা বা রানী হলেন সকল ক্ষমতার কেন্দ্রস্বরূপ। আর মন্ত্রিসভার সদস্যগণ রাজার পরামর্শদাতা কর্মচারীমাত্র। বিটেনে রাজশক্তির নামে সকল কাজ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটেনে সরকার আদেশ হল রাজার নির্দেশ। ব্রিটিশ আইন হল রাজার আইন। রাজাই হলেন ন্যায় বিচারের উৎস। কার্যক্ষেত্রে কিন্তু রাজা বা রানীর ক্ষমতাগুলি আনুষ্ঠানিক মাত্র। ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থায় প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী হল মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেট।

(৭) অগণতান্ত্রিক উপাদান :- ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থা মূলতঃ গণতান্ত্রিক। কিন্তু তবুও এই শাসনব্যবস্থার কিছু অগণতান্ত্রিক উপাদানও আছে। প্রথমতঃ ব্রিটেনে রাজপদ এখনও অপরিহার্য মনে করা হয়। তত্ত্বগতভাবে রাজা বা রানী সরকারের সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস। দ্বিতীয়তঃ আবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লর্ড সভাও একটি অগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। কারণ এর গঠন ব্যবস্থা অগণতান্ত্রিক। এর সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নিবাচিত হন না। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে সদস্যপদ লাভ করেন। এই ব্যবস্থা অগণতান্ত্রিক।

(৮) দুর্বল বিচারব্যবস্থা :- মার্কিন বিচারব্যবস্থার ন্যায় ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থা তেমন শক্তিশালী নয়। অসাংবিধানিকতা বা ন্যায়নীতিবােধের বিরােধিতার কারণে মার্কিন সুপ্রীম কোর্ট যে-কোন আইনকে বাতিল ঘােষণা করতে পারে। ব্রিটেনের বিচার-বিভাগ কিন্তু এত শক্তিশালী তো নয়ই, বরং বেশ দুর্বল। মার্কিন সুপ্রীম কোর্টের উল্লিখিত ক্ষমতা ব্রিটেনের বিচার-বিভাগের হাতে নেই। ব্রিটেনের বিচার-বিভাগ পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত আইন ব্যাখ্যা করতে পারে মাত্র, আইনের বৈধতা বিচার করতে পারে না।


(৯) দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা :- ব্রিটেনের রাজনৈতিক দলব্যবস্থা দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। রক্ষণশীল দল (Conservative Party) এবং শ্রমিক দল (Labour Party) হল ব্রিটেনের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল। ব্রিটেনে অন্যান্য দু-একটি রাজনৈতিক দল আছে বটে, কিন্তু এই দুটি দলেরই প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

(১০) শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রাধান্য :- ব্রিটেনের শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযােগ্য নয়। তাই এগুলির আইনগত মূল্য নেই। তবুও ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের কাঠামাে এই শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতিগুলির উপর গড়ে উঠেছে এবং টিকে আছে। জেনিংস (Jennings)-এর মতানুসারে, শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতিগুলি আইনের শুষ্ক কাঠামােকে রক্তমাংসের আবরণে সজীব করে তােলে এবং পরিবর্তনশীল ধ্যান-ধারণার সঙ্গে শাসনতন্ত্রের সংযােগ সাধন করে।

(১১) নাগরিকদের অধিকার :- নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থা উদারনৈতিক গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত। ব্রিটিশ নাগরিকগণও কতকগুলি অধিকার ভােগ করতে পারেন। কিন্তু ভারতবর্ষ বা মার্কিন যুক্তরাষ্টের মত এখানে নাগরিক অধিকারগুলি কোন একটি দলিল বা শাসনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ নেই। তবুও ব্রিটিশ নাগরিকগণ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় অধিক ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার ভােগ করেন।

(১২) আইনের অনুশাসন :- ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থায় আইনের অনুশাসন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসাবে গণ্য হয়। আইনের অনুশাসন বলতে দেশের শাসনব্যবস্থায় আইনের সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাধান্যকে বোঝায়। স্বাভাবিক আইন (Natural Law) সম্পর্কিত ধারণা থেকে আইনের অনুশাসনের ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। আইনের অনুশাসন হল ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের একটি মৌল নীতি। শাসকের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ রাখা এবং জনগণের অধিকার ও ন্যায়ের আদর্শকে প্রসারিত করার ক্ষেত্রে ‘আইনের অনুশাসন” নীতির অবদান অনস্বীকার্য।


(১৩) পার্লামেন্টের সার্বভৌমিকতা :- ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থায় পার্লামেন্টের আইনগত সর্বাত্মক প্রাধান্য সুপ্রতিষ্ঠিত। পার্লামেন্টের এই সার্বভৌমত্ব ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাসনতান্ত্রিক নীতি ও বৈশিষ্ট্য। পার্লামেন্টের এই আইনগত প্রাধান্য হল ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি। ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থায় পার্লামেন্ট যে-কোন আইন পাস করতে পারে, পরিবর্তন করতে পারে, অথবা বাতিল করতে পারে। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের ক্ষমতা আইনত অবাধ ও অসীম।

(১৪) বিবর্তনের ফল :- বিবর্তনশীলতা ও ধারাবাহিকতা ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এই শাসনতন্ত্র কোনো গণপরিষদ বা জাতীয় সংস্থা কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কোনো দিনে রচিত হয়নি। সুদীর্ঘকাল ধরে দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশের ধারায় এই শাসনতন্ত্র গঠিত ও বিবর্তিত হয়েছে।

(১৫) রাজকীয় প্রজাতন্ত্র :- তত্ত্বগত বিচারে রাজতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র হল পরম্পর-বিরােধী শাসনব্যবস্থা। রাজতন্ত্র বলতে এক বংশানুক্রমিক শাসনব্যবস্থাকে বোঝায়। আর প্রজাতন্ত্রে কোন বংশানুক্রমিক বা উত্তরাধিকারমূলক পদ থাকে না। প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ হয় নির্বাচনমূলক। সুতরাং এদিক থেকে রাজতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্রের সমাহার একই দেশের শাসনব্যবস্থায় অসম্ভব। ব্রিটেনে কিন্ত এই উভয় ব্যবস্থার এক অভিনব সমাবেশ ঘটেছে। ব্রিটেনকে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের ধারক হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে রাজতন্ত্রের ন্যায় বংশানুক্রমিক ব্যবস্থাও একটি অতি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্রিটেনে তার অস্তিত্বকে অব্যাহত রেখেছে। | ব্রিটেনে এখনও রাজতন্ত্র আছে ঠিক। কিন্তু এই রাজতন্ত্রের প্রকৃত কোন ক্ষমতা নেই। ব্রিটেনের রাজা বা রানী নিয়মতান্ত্রিক শাসকমাত্র। রাজশক্তির হাতে প্রকৃত কোন ক্ষমতা নেই। প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী হল মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেট।

তবে ব্রিটেনের এই রাজতন্ত্রের সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের তেমন কোন বিরােধ নেই। বলা হয় যে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের গণতন্ত্রীকরণ ঘটেছে। তার ফলে প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে তার সহাবস্থানের কোন অসুবিধা হয়নি। বহু শতাব্দীর ক্রমবিকাশের ধারায় ব্রিটেনের চরম রাজতন্ত্র ‘মুকুটযুক্ত প্রজাতন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে।

You May Also Like

0 comments