Merit and demerits of Demonstration Method

by - June 10, 2021

1. Concept of Demonstration Method .

2. Features of Demonstration Method .

2. Merits of Demonstration Method .

3. Demerits of Demonstration Method .




প্রতিপাদন পদ্ধতি-র ধারণা :- 

শ্রেণী শিক্ষনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যথার্থ ব্যবহার উপযোগী পদ্ধতি হল প্রতিপাদন পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে শিক্ষক - শিক্ষিকা শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যে স্থিরীকৃত বিষয়বস্তুকে যথার্থ শিক্ষণ প্রদীপনের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন উপযোগী পরীক্ষা , উদাহরণ ও বাস্তব অবস্থার আলোচনা অনুসারে উপস্থাপন করেন তাকে বলা হয় প্রতিপাদন পদ্ধতি। 

আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতিতে বক্তৃতা পদ্ধতিকে সরিয়ে এই প্রতিপাদন পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় প্রতিপাদন পদ্ধতির যথার্থ প্রয়োগে শিক্ষার্থী - শিখনকে আদর্শ করে এই পদ্ধতি। তাই বক্তৃতা পদ্ধতি অপেক্ষা শ্রেণিশিক্ষনে প্রতিপাদন পদ্ধতি খুবই যথার্থ এবং ব্যবহার উপযোগী। 


প্রতিপাদন পদ্ধতির মুখ্য বৈশিষ্ট :- 

১. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর যুগপৎ অংশগ্রহণ এখানে থাকে। 

২. শিক্ষার্থী যেমন শিক্ষকের শিক্ষণ কার্য মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে তেমনি শিক্ষক - শিক্ষিকাও শিক্ষার্থীর বোধগম্যতার মাত্রাকে পরিমাপ করেন। 

৩. শিক্ষণ উপকরণ , প্রদীপন , শিক্ষা ও শিক্ষার্থী পৃথকভাবে পাঠ্য বিষয় সাপেক্ষে ব্যবহার করেন। 

৪. শিক্ষণ দ্বারা উপনীত সিদ্ধান্তে / তত্ত্বে যেমন যথার্থ ব্যাখ্যা , উদাহরণ ও যুক্তি শিক্ষক - শিক্ষিকা উপস্থাপন করেন , তেমনি শিক্ষার্থীও যথার্থ যুক্তি , ব্যবহার , উদাহরণ ও বাস্তব ক্ষেত্র অনুযায়ী যথার্থ জ্ঞান লাভ করে। 

৫. শ্রেণীকক্ষে এই পদ্ধতিতে পাঠদানের ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একসঙ্গে সক্রিয় থাকে। 

৬. সমগ্র শিক্ষাদান কাজে শিক্ষার্থী খুবই আগ্রহী এবং মনোযোগী হয়। সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব জীবনে পাঠের উপযোগিতাও নিজেরা বুঝতে পারে। 

৭. পাঠ্য বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শিক্ষক - শিক্ষিকা শ্রেণীকক্ষে উপস্থাপন করতে পারেন। 

৮. শিক্ষার্থীরা সার্বিকভাবে বিষয়জ্ঞান অর্জন করতে পারে। নিজেদের কোনো ভ্রান্ত ধারণাকেও তারা যুক্তি সহকারে বর্জন ও পরিমার্জন করতে পারে। 

৯. একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে বিষয়বস্তুকে উপস্থাপন করা যায়। 


প্রতিপাদন পদ্ধতির সুবিধা :- 

১. এই পদ্ধতিটি সহজে ব্যবহার করা যায়। সামান্য শিক্ষা প্রদীপন , ব্ল্যাকবোর্ড ও বিষয় পরিকল্পনা থেকে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। 

২. এই পদ্ধতিতে ব্যয় কম। কিন্তু শিক্ষক - শিক্ষিকাদের বিষয় চিন্তন প্রয়োজন। 

৩. শ্রেণীকক্ষের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। 

৪. বক্তৃতা পদ্ধতি , প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি , পরীক্ষা পদ্ধতি , সমস্যা সমাধান পদ্ধতি - প্রভৃতি সবগুলির সমন্বয়ে এই পদ্ধতি তৈরী। 

৫. এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শ্রবণ ক্ষমতা ও দর্শন ক্ষমতার মাধ্যমে চিন্তন দক্ষতা , পর্যবেক্ষণ দক্ষতা , বোধগম্যতার দক্ষতা ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর দক্ষতার বিকাশ ঘটে। 

৬. শিক্ষক - শিক্ষিকাদের পাঠের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে অংশগ্রহণ ঘটে। ফলে তারা সক্রিয় শিখনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। 

৭. পুস্তকভিত্তিক জ্ঞানকে এখানে বাস্তব পরীক্ষামূলক দিকে প্রয়োগ করতে শেখে। 

৮. বিষয়বস্তুগত যথার্থ ধারণা ও জ্ঞান জন্মায়। 

৯. শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক - শিক্ষার্থী সম্পর্ক মধুর হয়। 

১০. বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী সমানভাবে পাঠে অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরাও এই পদ্ধতিতে খুবই উপকৃত হয়। 

১১. শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ অভিমুখী চিন্তন ও সৃজনী দক্ষতার বিকাশ ঘটে।      


প্রতিপাদন পদ্ধতির অসুবিধা :- 

১. শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক ভালো হলেও শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের শিখন চাহিদা মেটাতে পারে না। 

২. শিক্ষক - শিক্ষিকা দক্ষতার সঙ্গে পাঠ পরিচালনা করলেও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদা ও অসুবিধার দিকে যথাযথ দৃষ্টি দিতে পারেন না। 

৩. বিষয় অংশের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ কম থাকায় , সকল শিক্ষার্থী বিশেষত যারা শিক্ষার অগ্রগতিতে মাঝারি মানের বা পশ্চাৎপদ তাদের পক্ষে শ্রেণী শিখনে যথাযথ অংশগ্রহণ করা অসুবিধা হয়ে যায়। 

৪. আবার শিক্ষক - শিক্ষিকা যদি পশ্চাৎপদ শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা করেন তবে শিক্ষায় অগ্রসর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে অমনোযোগী হয়ে পড়বে। 

৫. বিভিন্ন স্তরের ক্রমিক পর্যায়ে যদি শিক্ষক - শিক্ষিকা এই পদ্ধতি প্রয়োগে ব্যর্থ হন বা দক্ষতা দেখাতে না পারেন , তবে শ্রেণীতে শৃঙ্খলার অভাব দেখা যায়। 



You May Also Like

0 comments